বিজেপির বিরুদ্ধে ইভিএম হ্যাকিংয়ের অভিযোগ, পদক্ষেপ নেবে ইসি
ভারতে গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নিম্ন তরঙ্গ কম্পনের মাধ্যমে ইভিএম হ্যাক করেছে বলে অভিযোগ করায় প্রযুক্তিবিদ সৈয়দ শুজার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারতীয় নির্বাচন কমিশন।
মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ইকোনমিকস টাইমসের বরাত দিয়ে জিনিউজ জানিয়েছে, লন্ডনে শুজার সংবাদ সম্মেলনে কয়েক ঘণ্টার পরই তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার চিন্তাভাবনা শুরু করে দেয় নির্বাচন কমিশন।
গণমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, শুজার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৫ ১(বি) ধারায় (বিভ্রান্তিমূলক নথি প্রকাশ্যে আনা) এফআইআরের আবেদন জানাবে নির্বাচন কমিশন।
সোমবার লন্ডনে ভিডিও কনফারেন্সে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে ‘ইলেক্ট্রনিকস করপোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেডে’র(ইসিআইএল) সাবেক কর্মকর্তা দাবি করে সৈয়দ শুজা বলেন, গত লোকসভা নির্বাচনে ইভিএমে ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে। এর নেপথ্যে ছিল বিজেপি।
ইভিএম কারচুপির বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ভিএস সম্পত অবগত ছিলেন বলেও দাবি করেন তিনি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের সংসদ সদস্য কপিল সিব্বল।
শুজার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইভিএম প্রস্তুত করে কেন্দ্রীয় সংস্থা ভারত ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড এবং ইসিআইএল। গত নির্বাচনে প্রযুক্তিগত ত্রুটি পরীক্ষা করে কঠোর নিরাপত্তায় ইভিএম ব্যবহার করা হয়। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে দক্ষ ইঞ্জিনিয়ারদের পরিদর্শনে নজরদারি চালানো হয়।
এদিকে ইভিএম কারচুপির বিষয়ে অবগত থাকার কথা ভিএস সম্পত অস্বীকার করেছেন বলে জানায় ইকোনমিকস টাইমস।
নির্বাচন কমিশনের প্রযুক্তি প্যানেলের সদস্য রজত মুনা ইভিএম কারচুপির অভিযোগকে হাস্যকর বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ২০১০ সাল থেকে এই প্যানেলে সদস্য হিসেবে আছি। সৈয়দ শুজা নামে কোনও ইভিএম ডেভেলপার কাজ করেছিলেন কিনা মনে করতে পারছি না।
শুজার বক্তব্যের সমালোচনায় বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিদেশের মাটিতে বসে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিভ্রান্তি তৈরিতে কংগ্রেস ইন্ধন দিচ্ছে।
আরও পড়ুন
কে/এমকে
মন্তব্য করুন