ইসরায়েলের সেনাবাহিনীতে অস্ত্র সরবরাহকারী কোম্পানিকে অর্থ দেবে না এইচএসবিসি
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহকারী ইন্টারন্যাশনাল ডিফেন্স ইলেক্ট্রনিকস কোম্পানি এলবিট সিস্টেমস লিমিটেডকে অর্থ দেবে না ব্যাংকিং জায়ান্ট এইচএসবিসি।
ফিলিস্তিনপন্থি অ্যাক্টিভিস্টদের একটি ক্যাম্পেইনের পর ব্যাংকটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে কাতার-ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।
এইচএসবিসি’র একাধিক সূত্র বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমটিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কিন্তু এখনও ব্যাংকটি এ সংক্রান্ত কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করেনি।
ব্যাংকটি বলছে, এটি রাজনৈতিক বিষয়গুলোতে কোনও অবস্থান নেয় না কিন্তু আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের নীতিগুলো পর্যবেক্ষণ করে, যা ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত।
ওয়ার অন ওয়ান্ট নামের একটি অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ ২০১৭ সালে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, এলবিট সিস্টেমসে ৩.১ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড বিনিয়োগ করেছে এইচএসবিসি।
দারিদ্র্য ও মানবাধিকারের অপব্যবহার নির্মূলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এই অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ জানায়, ব্যাংকটি মোট ৮৩১.৫ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড বিনিয়োগ করেছে এমন সব কোম্পানিতে, যারা এসব অর্থ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর যন্ত্রপাতি সরবরাহে ব্যয় করেছে।
এসব কোম্পানির মধ্যে আছে রোলস রয়েস এবং বিএই সিস্টেমস। অবশ্য বেসামরিক গ্রাহকদের একটি বড় অংশও এদের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় বন্দর শহর হাইফা-ভিত্তিক কোম্পানি এলবিট ড্রোন, এয়ারক্র্যাফট, ওয়াপন কন্ট্রোল সিস্টেমস ও কামানসহ সামরিক ও বেসামরিক গ্রাহকদের ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি নির্মাণ করে থাকে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী, যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী এবং ব্রিটিশ রাজকীয় বিমানবাহিনীও এই কোম্পানির গ্রাহক।
যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে নজর রাখতে আমেরিকান কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন সংস্থা যে পর্যবেক্ষক যন্ত্রপাতিগুলো ব্যবহার করে, সেগুলোও সরবরাহ করে এলবিট।
ওয়ার অন ওয়ান্ট জানায়, ২৪ হাজারেরও বেশি মানুষ এলবিটে বিনিয়োগের বিষয়ে তাদের উদ্বেগ জানিয়ে এইচএসবিসি’কে ইমেইল করে। এদিকে ব্যাংকটির যুক্তরাজ্য শাখায়ও অ্যাক্টিভিস্টরা এই বিষয়ে তাদের বক্তব্য জানায়।
গ্রুপটির সিনিয়র ক্যাম্পেইনার রিভকা বার্নার্ড বলেন, ব্যাংকটি প্রথমবারের মতো একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ নিলো কিন্তু তাদের এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি বলেন, এলবিটের মতো কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসা করা মানে সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘন থেকে মুনাফা অর্জন করা, যা অনৈতিক এবং আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী।
আরও পড়ুন :
- হিলারির থেকে ‘সবচেয়ে প্রশংসিত নারী’র খেতাব কেড়ে নিলেন মিশেল
- মোদিকে ইমেইল করে জানালেন এলিয়েন সব তথ্য নিয়ে যাচ্ছে
কে/এসএস
মন্তব্য করুন