টোবলেরন চকলেট হালাল হওয়ায় ক্ষিপ্ত ইউরোপের ডানপন্থী দল
টোবলেরন নামের চকলেট সুইজারল্যান্ডসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে খুব জনপ্রিয়। বিশেষ করে আকৃতির কারণে অনেকেই এটা পছন্দ করেন। কিন্তু ত্রিভুজাকৃতির এই চকলেটটি সবাইকে বর্জনের আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপের ডানপন্থী দলের সদস্যরা।
এই চকলেট হালাল সনদ পেয়েছে বলে জেনেছে ডানপন্থী দল। এরপরই চকলেটটি বয়কটের আহ্বান জানায় তারা।
হালাল মূলত একটি আরবি শব্দ। এর মাধ্যমে বোঝায় ইসলামিক নিয়ম-নীতি অনুসারে খাবারটি খাওয়া যাবে। ইসলামিক আইন শূকরের মাংস এবং অ্যালকোহলকে অনুমোদন দেয়না। এছাড়া অনুমোদিত প্রাণীর মাংস খেতে হয় যথাযথভাবে জবাইয়ের মাধ্যমে।
সিএনএন বলছে, টোবলেরন তাদের চকলেট তৈরির ধরনে কোনও পরিবর্তন আনেনি। কিন্তু গত এপ্রিলে সুইজারল্যান্ডের বার্নে অবস্থিত এই চকলেটের কারখানা হালাল সনদ পাওয়ার বিষয়টিকে অনেকে খুব বাজেভাবে নিয়েছে।
এ সম্পর্কে জার্মানির ন্যাশনালিস্ট অলটারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) পার্টির এক মুখপাত্র বলেন, এর মাধ্যমে ইউরোপে ইসলামিকরণ দেখানো হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে এএফডির জর্গ মিউথেন ব্যাঙ্গাত্মকভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন, জার্মানি কিংবা ইউরোপ কোথাও ইসলামিকরণের জায়গা নেই। তার এই বক্তব্যের সঙ্গে পরবর্তীতে অনেকেই সম্মতি জানান এবং ভবিষ্যতে চকলেটটি বর্জন করবেন বলে ঘোষণা দেন।
এক টুইটার ব্যবহারকারী টুইট করেন, আমি আর জীবনে কখনও টোবলেরন চকলেট কিনবো না। তিনি হ্যাশট্যাগে লিখেছেন, বয়কট টোবলেরন অর্থাৎ টোবলেরন বর্জন করুন।
ফেসবুকে অন্য একজন লিখেছেন, খুবই খারাপ হয়েছে। আমি এটা খেতে খুব পছন্দ করতাম। কিন্তু আমি মুসলিম খাবার পছন্দ করি না। অপর একজন লিখেছেন, এখন থেকে আমি টোবলেরন খাব।
এদিকে টোবলেরন উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মন্ডেলেজ জানান, আট মাস আগে হালাল সনদ পায় বার্নের ওই কারখানা। কিন্তু এর তৈরি প্রক্রিয়ায় কোনও পরিবর্তন আনা হয়নি।
হালাল সনদ প্রদানকারী অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ডিপার্টমেন্ট অব হালাল সার্টিফিকেশনের কর্মকর্তা উমর আল কাদরি বলেন, বেশিরভাগ বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের হালাল সনদ আছে। বিশ্বের ২০০ কোটি মুসলমান হালাল খাবার খায়। এজন্য বেশি মুনাফা অর্জন করতে প্রতিষ্ঠানগুলোর এদিকে নজর দিতে হয়।
আরও পড়ুন :
ডি/পি
মন্তব্য করুন