• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

হাওড়ায় গ্রাসবাসীর অ্যাকাউন্টে ‘ভুতুড়ে টাকা’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:৩০
প্রতীকী ছবি

হঠাৎ করে নিজেদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাওয়ায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার জয়পুরের ঘোড়াবেড়িয়া-চিৎনান এবং কাশমলি—দুই পঞ্চায়েত এলাকার বহু মানুষ। কারও ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে ৬ হাজার রুপি, কারও ২০ হাজার। ৮০ হাজার রুপিও আছে। খবর আনন্দবাজারের।

শুক্রবার দুপুর থেকে তাদের মোবাইলে ওই অর্থপ্রাপ্তির বার্তা আসা শুরু হয়। শনিবারেও অব্যাহত ছিল। অ্যাকাউন্ট পরীক্ষা করেই চমকে যান গ্রাহকরা।

কিন্তু কোথা থেকে এতো টাকা এলো? উত্তর দিতে পারেননি কেউই। জেলা প্রশাসনও কিছু বলতে পারছে না। হাওড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (পঞ্চায়েত) শঙ্করপ্রসাদ পাল বলেন, খবরটা জানি। কোন খাতের টাকা, তা নিয়ে জেলার ল‌িড ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলব। সোমবার থেকে তদন্ত শুরু হবে।

তবে ঠিক কতজনের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে, তাও নিশ্চিত জানা যায়নি। কিন্তু দুই পঞ্চায়েত এলাকায় দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের অনেক গ্রাহকই টাকা পেয়েছেন। ধর্মঘটের কারণে শুক্রবার থেকে ব্যাংক বন্ধ। ফলে দুই ব্যাংকের বক্তব্য জানা যায়নি। যোগাযোগ করা যায়নি জেলা লিড ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও। ব্যাংক বন্ধ থাকায় গ্রাহকরা চলে যান কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে। সেখানে অ্যাকাউন্ট পরীক্ষার পরে অর্থপ্রাপ্তির কথা জানতে পেরে অনেক গ্রাহক কিছু কিছু টাকাও (ওই কেন্দ্রে বেশি টাকা থাকে না) তোলেন। ওই দুই পঞ্চায়েত এলাকায় কোনও এটিএম নেই। গ্রাহকরা এখন সোমবার ব্যাংক খোলার অপেক্ষায় রয়েছেন।

ঘোড়াবেড়িয়া-চিৎনান পঞ্চায়েতের ভৌমিক পাড়ার বহু জনের অ্যাকাউন্টে ২০ লাখ টাকা জমা পড়ার বার্তা এসেছে বলে দাবি করেন পঞ্চায়েত প্রধান সাবিনা মল্লিকের স্বামী বাপি মল্লিক। ঘোড়াবেড়িয়া গ্রামের মধু মল্লিকের বোন রুকসানার অ্যাকাউন্ট আছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের বাকসিহাট শাখায়। রুকসানার অ্যাকাউন্টে ২৭ হাজার টাকা জমা পড়ার খবর আসে এ দিন দুপুরে।

পেশায় দিনমজুর মধু বলেন, বোন ৭ বছর আগে অ্যাকাউন্ট খুলেছে। লেনদেনও সে ভাবে করেনি। অথচ তার অ্যাকাউন্টে ২৭ হাজার টাকা জমা পড়েছে। ওই পঞ্চায়েতেরই হারুন রশিদ বলেন, কেউ টাকা পাচ্ছেন, কেউ নিরাশ হচ্ছেন। অবিলম্বে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ করা উচিত।

এই অর্থপ্রাপ্তির কথা ছড়াতেই দুই পঞ্চায়েত এ‌লাকার মানুষ ‘পাসবই’ হাতে কাস্টমার কেয়ার সেন্টারগুলোতে ভিড় জমাতে থাকেন। ভাটোরা-শিবতলা বাজারের বিভিন্ন সাইবার কাফেতেও অনলাইনে অ্যাকাউন্ট পরীক্ষা করার ভিড় হয়।

এদিকে জেলা প্রশাসন প্রথমে মনে করেছিল, গত বছরের বন্যায় যেসব চাষির ফসল নষ্ট হয়, তাদের বিমার টাকা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু পরে প্রশাসনের ভুল ভাঙে। জানা গেছে, অনেক কলেজ ছাত্র এবং দিনমজুরের অ্যাকাউন্টেও টাকা ঢুকেছে।

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বিএনপির ভারত বর্জন কর্মসূচির কারণ জানালেন নাছিম
ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার
পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার পরও কমেছে দাম
বিদেশি কোনো প্রভুর ইন্ধনে ভারত বিরোধিতা করছে বিএনপি : শেখ পরশ
X
Fresh