পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী
চার বছর ধরে বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসা চার্লস মিশেল যুগের অবসান ঘটতে যাচ্ছে। অভিবাসীদের সহায়তা করার পক্ষে উত্থাপন করা তার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির সংসদ। এরপরই তিনি এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।
গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে অনেকটা বাধ্য করা হয় তাকে। অবশ্য তার এই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। মূলত দেশটির জাতীয়তাবাদী দলসহ গ্রিনদের সমর্থন না পাওয়ায় মিশেল তার পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।
ডানপন্থী একটি জোট গড়ার মধ্য দিয়ে ২০১৪ সালে অক্টোবরে ক্ষমতায় আসেন বর্তমানে ৪২ বছর বয়সী মিশেল। ক্ষমতাগ্রহণকালে তার বয়স ছিল ৩৮। এর মাধ্যমে ১৮৪১ সালের পর থেকে তিনি বেলজিয়ামের সবচেয়ে তরুণ প্রধানমন্ত্রী হন।
আগামী বছর মে মাসে বেলজিয়ামে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মিশেলের পদত্যাগ নিশ্চিত হলে দেশটিতে আগাম নির্বাচন হতে পারে।
গত জুলাইয়ে জাতিসংঘের ১৯৬ সদস্য রাষ্ট্র গ্লোবাল কম্প্যাক্ট ফর সেইফ, অর্ডারলি এন্ড রেগুলার মাইগ্রেশন চুক্তির বিষয়ে একমত হয়। গত সপ্তাহে মারাকেশে ১৬৪ দেশ চুক্তিটিতে স্বাক্ষর করে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রসহ ইইউভুক্ত অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, ইতালি, পোল্যান্ড ও স্লোভাকিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিটিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানালেও বেলজিয়াম এতে সমর্থন জানায়।
মারাকেশ অভিবাসন চুক্তির প্রতি সমর্থন জানিয়ে মিশেল বলেছিলেন, এই চুক্তি ইউরোপীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে আরও ভালো সুযোগ তৈরি করেছে।
কিন্তু ইউরোপীয় সমালোচকদের বিশ্বাস, এই চুক্তির ফলে ইউরোপে অভিবাসন সংকট আরও বাড়বে।
ডি/ এমকে
মন্তব্য করুন