যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের পরিণতি কি হতে পারে?
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ মনে করে, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ দেন- এমন খবর প্রকাশিত হওয়ার পর অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠছে, এরপর যুবরাজের পরিণতি কি হতে পারে?
আমেরিকান দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, সিআইএ তাদের হাতে থাকা তথ্য-উপাত্তগুলো বিচার-বিশ্লেষণ করে এই ধারণায় উপনীত হয়েছে বলে একটি সূত্র তাদের জানিয়েছেন। অবশ্য এসব প্রমাণ যে শতভাগ নিশ্চিত তা কেউ বলছে না।
ওয়াশিংটন পোস্টের রিপোর্টের পর আমেরিকান কর্মকর্তারা এখন বলছে, এই ব্যাপারে অনেক প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা। সৌদি আরবও এই ঘটনার একটি তদন্ত করছে।
বিবিসির বিশ্লেষক ফ্রাংক গার্ডনার বলছেন, তদন্তের ফল যাই হোক যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সুনামের ওপর ইতোমধ্যেই গুরুতর প্রতিক্রিয়া পড়েছে। সৌদি সরকার হয়তো এটা প্রকাশ্যে স্বীকার করবে না। কিন্তু এটা খুবই সম্ভব যে তার ডানা কেটে দেয়া হবে, অর্থাৎ তার ক্ষমতা ও প্রভাব অন্তত কিছুটা খর্ব করা হবে।
মোহাম্মদ বিন সালমানকে যদি তার পদ থেকে একেবারেই সরিয়ে দেয়া হয়, তবে সেটা খুবই নাটকীয় ও বিস্ময়কর হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মনে করা হচ্ছে, বিন সালমানের উপাধি ও মর্যাদা হয়তো অপরিবর্তিতই থাকবে। কারণ তিনি এখনও তার পিতা বাদশাহ সালমানের প্রিয় পুত্র। তবে তার হাতে থাকা কিছু ক্ষমতা হয়তো চুপিসারে অন্যদের হাতে তুলে দেয়া হবে।
এর ফলে অনেকটা আগের মতোই ক্ষমতার ভাগাভাগির ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা হবে। এতে হয়তো দেশটিতে একটা স্থিতিশীলতা আসবে। এর ফলে যুবরাজ সালমানের শত্রু-সমালোচকের সংখ্যাও কমে আসতে পারে।
রোববার বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।
গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসে বিয়ের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহের জন্য প্রবেশ করে নিখোঁজ হন ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট খাশোগি। এরপর তুরস্ক দাবি করে তাকে দূতাবাসের ভেতরে হত্যা করা হয়েছে। সৌদি আরব প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে হত্যার কথা স্বীকার করে। তবে এখনও খাশোগির মৃতদেহের খোঁজ মেলেনি।
আরও পড়ুন :
- ১৬তম মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ঢাকায় রবার্ট মিলার
- ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই খাশোগি হত্যার পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন: ট্রাম্প
কে/পি
মন্তব্য করুন