মাইনাস ১২ ডিগ্রিতে বিমানের জরুরি অবতরণ, যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ
সাংহাইয়ের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া এয়ার ফ্রান্সের একটি বিমান বাধ্য হয়ে অবতরণ করায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রীরা। বিজনেস ইনসাইডার এক প্রতিবেদনে জানায়, এয়ার ফ্রান্সের ওই বিমানটি সাইবেরিয়ায় জরুরি অবতরণ করে।
জানা গেছে, এতে সাইবেরিয়া অঞ্চলে তিন দিন আটকে থাকতে হয় ওই যাত্রীদের। কারণ, তাদের নিতে অন্য যে বিমানটি পাঠানো হয়েছিল সেটারও যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এতে তীব্র ঠান্ডায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়ে যাত্রীরা।
প্যারিস থেকে সাংহাইগামী এই বিমানটি সাইবেরিয়ার ইরকাটস্ক অঞ্চলে অবতরণ করতে বাধ্য হয়। মূলত বিমানের কেবিনে ধোঁয়া ও অসহনীয় গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় এমনটি হয়েছে। এই বিমানে সব মিলিয়ে ২৮২ জন আরোহী ছিলেন।
এ সম্পর্কে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ এএফপিকে জানায়, সাংহাইয়ের উদ্দেশে যাওয়া বোয়িং-৭৭৭ বিমানটিতে ধোঁয়া ও বাজে গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় বিমানটির ক্রুরা এটাকে রাশিয়ার ইরকাটস্ক অঞ্চলের দিকে ঘুরিয়ে দেয়। এতে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ইরকাটস্ককে অবতরণের পর যাত্রীদের একটি হোটেলে নিয়ে আসা হয়। সোমবার তাদের নিতে অন্য একটি বিমান পাঠানো হয়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সেটাও আকাশে ওড়তে পারেনি। মস্কো টাইমস জানিয়েছে, দুটি বিমানই বোয়িং-৭৭৭।
পরের বিমানটিতে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় চতুর্মুখী বিপদে পড়তে হয় যাত্রীদের। এসব যাত্রীর কাছে
সাইবেরিয়ার তীব্র ঠাণ্ডায় টিকে থাকার মতো পোশাক ছিল না। এছাড়া রাশিয়ার ভিসা না থাকায় সারাক্ষণ পুলিশ পাহারায় থাকতে হয়েছে তাদের। শেষ পর্যন্ত বুধবার সকালে সব যাত্রীকে নিয়ে যায় এয়ার ফ্রান্সের তৃতীয় আরেকটি বিমান।
প্রসঙ্গত, ইরকাটস্ক সাইবেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের একটি শহর। অঞ্চলটি অতিরিক্ত ঠাণ্ডার জন্য বেশ পরিচিত। চলতি সপ্তাহে এর গড় তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন :
- ক্লিনটনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের বিষয়ে মুখ খুললেন মনিকা
- ‘বন্দি ছিলেন, তাই মানুষের দুর্ভোগ বোঝা উচিত সু চির’
ডি/ এমকে
মন্তব্য করুন