• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

জার্মানিতে বছরে সাড়ে চার কোটি বাচ্চা মোরগ হত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১১ নভেম্বর ২০১৮, ১২:১৭

জার্মানিতে প্রতি বছর সাড়ে চার কোটি বাচ্চা মোরগ কেটে বা গ্যাস দিয়ে মেরে ফেলা হয়। কারণ, সেগুলো ডিম উৎপাদন করতে পারে না। তবে আশার কথা হচ্ছে, মোরগ হত্যা কমানোর এক উপায় বের করেছেন গবেষকরা। ডয়েচে ভেলের।

ব্যাপক হারে বাচ্চা মোরগ হত্যা না করে বরং ভিন্ন পন্থায় উৎপাদিত ডিম প্রথমবারের মতো জার্মানির বাজারে ছাড়া হয়েছে। বাচ্চা মোরগ কারণ হচ্ছে, এসব মোরগের মাংস ব্রয়লারের মোরগের মতো ভালো নয়, আর সেগুলো ডিমও উৎপাদন করতে পারে না।

তবে, প্রাণি অধিকার কর্মীরা এভাবে বাচ্চা মোরগ হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন সময়। তা সত্ত্বেও এতদিন বর্বর এই পন্থা বন্ধের কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। যদিও এখন পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। জার্মানির কৃষি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে লাইপসিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক নতুন এক পন্থা আবিষ্কার করেছেন, যা ব্যবহার করে একটি ডিম পরীক্ষা করেই বোঝা যাবে যে সেটি মোরগ হবে না কি মুরগি।

জার্মানির কৃষিমন্ত্রী ইউলিয়া ক্ল্যোকনার বৃহস্পতিবার বার্লিনে এই বিষয়ে বলেন, এই পন্থায় ভবিষ্যতে মোরগ হত্যার জন্য দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হবে না।

নতুন উদ্ভাবিত পন্থায় ডিমের খোলসের মধ্যে সুক্ষ্ম একটি ফুটো করে কিছু তরল বের করে পরীক্ষা করা হয় এবং তখন বোঝা যায় যে ভবিষ্যতে এই ডিম ফুটে মোরগ নাকি মুরগি বের হবে। মোরগ ডিমগুলো তখন শুরুতেই আলাদা করে সেগুলো দিয়ে উচ্চমানের প্রাণীখাদ্য তৈরি করা যায়।

ইতোমধ্যে কিছু হ্যাচারি এই পন্থা ব্যবহার শুরু করেছে। আর সেসব হ্যাচারিতে উৎপাদিত ডিমও বার্লিনের ২২৩টি সুপারমার্কেটে বিক্রি শুরু হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী বছর সাড়ে পাঁচ হাজার সেন্টারে এমন ডিমের দেখা মিলবে, যেগুলোর উৎপাদনের পুরো প্রক্রিয়ায় কোনও মোরগ হত্যা করা হয়নি।

আরও পড়ুন :

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ভাসানচরে রোহিঙ্গা নাগরিককে গলা কেটে হত্যা
শিশুকে গলাকেটে হত্যা, নানা গ্রেপ্তার 
লক্ষ্মীপুরে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭
তিন ভাই-বোনকে গুলি করে হত্যা, ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
X
Fresh