রোগমুক্তির জন্য চাবুকাঘাত খাচ্ছেন এই ভারতীয় নারীরা!
হাঁটু গেড়ে সারিবদ্ধভাবে মাথা নিচু করে বসে আছেন প্রায় পাঁচ হাজার নারী। আর দুজন পুরোহিত তাদের চাবুকাঘাত করছে। এসময় পুরো বিষয়টা উপভোগ করছেন কয়েক হাজার মানুষ। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পুরোহিতদের এই কাণ্ড দেখছে পুলিশও। খবর মিররের।
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুতে এই অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনার ভিডিতে দেখা গেছে, ওই নারীরা ধূলিময় রাস্তার ওপর হাঁটু গেড়ে বসে রয়েছে; এসময় তাদের জোরপূর্বক পেটাচ্ছে ধর্মীয় নেতারা।
প্রতি বছর বিজয়া দশমীর উৎসবে এই গণ বেত্রাঘাতের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। যে অনুষ্ঠানে নারী ও শিশুরা চাবুকের আঘাত খেতে হাজির হয়।
অশুভ আত্মা দূর করতে ও সব রোগ মুক্তির জন্য অদ্ভুত এবং বেদনাদায়ক এই ধর্মীয় আচার পালন করা হয়।
নারীরা ঐতিহ্যবাহী কাপড়ে হাঁটু গেড়ে বসে থাকেন, এসময় যন্ত্রণা অসহ্য হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের চাবুকাঘাত করা হয়।
তামিলনাড়ুর শ্রী আচাপান মন্দির কর্তৃপক্ষের আয়োজনে ‘রোগমুক্তি’র অনুষ্ঠানের একজন চাবুকাঘাতকারী ৬০ বছর বয়সী চিল্লির দাবি, একবার চাবুকাঘাত শরীরে ব্যথা এবং অন্যান্য অশুভ থেকে শুরু করে সব ধরনের রোগ থেকে মুক্তি দেবে।
চাবুকাঘাত খেতে হাজির হয়েছেন এই নারীরা
১৪ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রী এই ধর্মীয় আচারে অংশ নিয়ে তার পিঠে ‘লাল দাগ’ পড়ে গেছে। তিনি বলেন, এটা খুব যন্ত্রণাদায়ক, অনেক জ্বালাপোড়া করে কিন্তু অশুভ আত্মা এবং রোগ থেকে মুক্তি পেতে আমাদের এই কষ্ট সহ্য করতে হবে।
এভাবে কাউকে আঘাত করা অপরাধ কিনা জানতে চাওয়া হলে পুরোহিত বলেন, ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে তারা এখানে ছুটে আসে।
তিনি বলেন, যদি কেউ চাবুকাঘাত খেতে না আসে, তাহলে আমরা তাদের বাড়ি গিয়ে চাবুকাঘাত খেতে বলবো না।
ভারতের মতো দেশে যেখানে বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ, জাতিগোষ্ঠীর লোকের বসবাস সেখানে এ ধরনের আচার নতুন কিছু নয়। দেশটির বিভিন্ন প্রত্যন্ত গ্রামে মানুষজন নিজেদের সমস্যার সমাধানে আধুনিক চিকিৎসার পরিবর্তে ‘অন্ধ বিশ্বাস’কে বেছে নেয়।
আরও পড়ুন :
এ
মন্তব্য করুন