• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

খাশোগিকে হত্যার পর জড়িতদের একজন তার পোশাক পরে ঘোরাঘুরি করেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২২ অক্টোবর ২০১৮, ১৯:২৯
ছবি: সিএনএন

সৌদি আরবের ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যায় জড়িত সন্দেহভাজন ১৫ জনের একজন তার পোশাক পরে সৌদি দূতাবাস থেকে বের হয়ে ইস্তাম্বুল শহরে ঘোরাঘুরি করেন।

সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে একজন সিনিয়র তুর্কি সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে একথা জানিয়েছে সিএনএন। তিনি বলেন, ইস্তাম্বুল শহরের বিভিন্ন জায়গার ক্যামেরায় এটি ধরা পড়েছে।

খাশোগি নিখোঁজের ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে তুরস্কের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা একটি ভিডিও ফুটেজ পায়। এতে দেখা যায়, খাশোগির জামাকাপড়, নকল দাড়ি ও চশমা পরে সন্দেহভাজন এই ব্যক্তি দূতাবাসের পেছনের দরজা দিয়ে যান।

গত ২ অক্টোবর খাশোগি সৌদি দূতাবাসে ঢোকার ঘণ্টাখানেক পর তার জামাকাপড় পরা এই ব্যক্তিকে দেখা যায় ইস্তাম্বুলে অবস্থিত বিশ্ববিখ্যাত ব্লু মস্কে (মসজিদ)। তুর্কি তদন্তকারীদের মতে, এই ব্যক্তির নাম মুস্তাফা আল-মাদানি।

একজন সিনিয়র তুর্কি কর্মকর্তা বলেন, ভিডিও দেখে মনে হচ্ছে মাদানিকে খাশোগি সাজানোর জন্যই ইস্তাম্বুলে নিয়ে আসা হয়। গত ৬ অক্টোবর থেকে আমরা যা বলে আসছি, তা পাল্টায়নি। এটা একটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড এবং মরদেহটি পরে দূতাবাস থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।

মাহাদিকে খাশোগি সাজানোর জন্য ইস্তাম্বুলে পাঠানো হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে একটি সৌদি সূত্র বিষয়টি স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটিই করেননি। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, এটা ইচ্ছাকৃত হত্যা ছিল না।

খাশোগি হত্যায় জড়িত সন্দেহভাজন ১৫ সদস্যের দলের অন্যদের তুলনায় প্রায় দশ বছরের বড় মাদানি। দূতাবাসের পেছনের দরজা দিয়ে বের হওয়ার সময় তার সঙ্গে আরও একজন ছিলেন। এসময় মাদানির পরনে ছিল খাশোগির কালো ব্লেজার, ধূসর রঙের জামা এবং ট্রাউজার।

চার ঘণ্টা আগে মাদানি যখন সামনের দরজা দিয়ে দূতাবাসে প্রবেশ করেন, তখনও তার সঙ্গে ছিলেন একজন। এসময় তার পরনে ছিল ব্লু ও সাদা চেক জামা এবং গাঢ় নীল রঙের ট্রাউজার। তার মুখে দাঁড়িও ছিল না।

উল্লেখ্য, খাশোগি নিখোঁজের পর দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সৌদি সরকার দাবি করে আসছিল, তিনি দূতাবাস থেকে জীবিত অবস্থায় বেরিয়ে যান। গত শুক্রবার প্রথমবারের মতো দেশটি স্বীকার করে, খাশোগি দূতাবাসের মধ্যে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির সময় মারামারির ঘটনায় নিহত হন।

তবে সৌদি রাজপ্রাসাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র সিএনএনকে জানায়, ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক খাশোগিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।

এদিকে রোববার সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবায়ের যুক্তরাষ্ট্রের ফক্স নিউজকে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে বলেন, খাশোগিকে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা খুন করেছেন এবং এটা ছিল ‘ভয়ঙ্কর ভুল’। যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের নির্দেশে এই কাজ করা হয়নি।

এছাড়া খাশোগির মরদেহ কোথায় সে সম্পর্কেও কোনও তথ্য দিতে পারেননি তিনি।

আরও পড়ুন :

কে/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রিয়াদে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত
ইসরায়েলকে সহায়তা প্রসঙ্গে যা জানাল সৌদি আরব
কোরবানির ঈদের সম্ভাব্য তারিখ
ওমরাহ ভিসার মেয়াদে পরিবর্তন
X
Fresh