যুক্তরাজ্যে স্কুলগামী প্রতি তিন কিশোরীর একজন যৌন হয়রানির শিকার
যুক্তরাজ্যে স্কুল ইউনিফরম পরা প্রতি তিন কিশোরীর একজন প্রকাশ্যে যৌন হয়রানির শিকার হয়। এছাড়া দুই-তৃতীয়াংশ কিশোরী অপ্রত্যাশিতভাবে কামুক দৃষ্টির শিকার হয়। বেশির ভাগ মেয়েই তাদের বেড়ে ওঠার সব পর্যায়ে রাস্তাঘাটে এই ধরনের হয়রানির শিকার হয়।
সোমবার বিশ্বের সবচেয়ে বড় বেসরকারি শিশু দাতব্য কমিশন ‘প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল ইউকে’র একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানায় বিবিসি। গত জুনে ১৪ থেকে ২১ বছর বয়সী এক হাজার কিশোরী এবং একাডেমির সঙ্গে কথা বলে এই প্রতিবেদন তৈরি করে ‘প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল ইউকে’।
এতে বলা হয়, ৬৬ শতাংশ মেয়েকে প্রকাশ্যে অপ্রত্যাশিতভাবে যৌন বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় অথবা তাদের সঙ্গে যৌন বা শারীরিক ভঙ্গিতে যোগাযোগ করা হয়। ৩৫ শতাংশ মেয়ের শরীরে প্রকাশ্যে হাত দেয়া হয়। আট বছর বয়সী অনেক মেয়েও হয়রানির শিকার বা প্রত্যক্ষদর্শী হয়।
আরও বলা হয়, প্রতি তিন জনের মধ্যে একজনের বেশি স্কুল ইউনিফরম পরা কিশোরী কামুক দৃষ্টির শিকার হয় এবং তাদের দেখে নেকড়ের গর্জনের মতো শিস দেয়া হয়। এই এক হাজার কিশোরীর এক-চতুর্থাংশ জানায় কোনও অনুমতি ছাড়াই অপরিচিতরা তাদের ছবি তোলে বা ভিডিও করে।
বার্মিংহ্যামের ১৯ বছর বয়সী মালিকাহ বলেন, আমি একা পথচলার সময় কেউ না কেউ আমাকে অনুসরণ করে। আমার বাবা আমাকে নিতে না আসা পর্যন্ত আমি মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকার ভান করি।
১৮ বছর বয়সী এক মেয়েও রাস্তায় হয়রানি হওয়ার কথা জানান। এই বিষয়ে তার বাবার মন্তব্য, তুমি ভালো করেই জান কোন ধরনের ছেলের এমনটা করে। ১৭ বছর বয়সী আরেকজন বলেন, এটা এখন স্বাভাবিক হয়ে গেছে।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল ইউকে’র প্রধান নির্বাহী তানিয়া ব্যারন বলেন, স্কুলগামী মেয়েদের যৌন হয়রানির শিকার হওয়া খুবই উদ্বেগজনক। প্রকাশ্যে ১২ বছর বয়সী মেয়েদের নেকড়ের গর্জনের মতো শিস এবং, ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাদের শরীরে হাত দেয়া কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
আরও পড়ুন :
কে/ এমকে
মন্তব্য করুন