যুক্তরাষ্ট্রে চার্চে নির্যাতিত শিশুদের পাশে দাঁড়ালেন পোপ
যুক্তরাষ্ট্রের ৩০০-র বেশি ‘শিকারি’ ধর্মযাজকের হাতে নির্যাতনের শিকার সহস্রাধিক শিশুর পক্ষাবলম্বন করেছেন ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিস। বৃহস্পতিবার ভ্যাটিকান থেকে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। খবর দ্য লোকালের।
ভ্যাটিকান এক বিবৃতিতে বলেছে, ভুক্তভোগীদের পাশে রয়েছেন পোপ। শিশুদের যৌন নির্যাতন পদ্ধতিগতভাবে লুকিয়েছে ক্যাথলিক চার্চ। মঙ্গলবার মার্কিন গ্র্যান্ড জুরির এমন এক রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর ভ্যাটিকানের পক্ষ থেকে এই বিবৃতি এলো।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই ট্র্যাজিক ভয়াবহতার কারণে যেসব নিরপরাধের জীবন ধ্বংস হয়েছে চার্চ তাদের কথা শুনতে চায়।
সেখানে বলা হয়, এই ভয়াবহ অপরাধের শিকার ব্যক্তিদের অনুভূতি এই দুই শব্দ প্রকাশ করতে পারে, তা হচ্ছে লজ্জিত এবং দুঃখিত।
-------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : অ্যাপলের সার্ভার হ্যাক করলো অস্ট্রেলিয়ান কিশোর
-------------------------------------------------------
ভ্যাটিকানের ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, অতীত থেকে চার্চগুলোকে শিক্ষা নিতে হবে এবং নির্যাতনকারী এবং যার এমন নির্যাতন ঘটার অনুমতি দিয়েছে তাদের জবাবদিহিতায় আওতায় আনতে হবে।
এদিকে আগামী সপ্তাহে পোপের আয়ারল্যান্ডের সফরকে সামনে রেখে দেশটির শীর্ষ বিশপ বলেছেন, মানুষজন ‘দুঃখিত হওয়া অভিব্যক্তির’ চেয়ে আরও বেশি কিছু চায়। ব্রিটিশ মিডিয়া দেয়া একাধিক সাক্ষাৎকারে আর্চবিশপ ইমন মার্টিন অব আরমাগ এবং প্রাইমেট অব অল আয়ারল্যান্ড বলেছেন, আয়ারল্যান্ড ও বিশ্বজুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত চার্চগুলোর নির্যাতন নিয়ে পোপকে কথা বলতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের চার্চে নির্যাতন নিয়ে এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০০২ সালে বোস্টন গ্লোব প্রথম ম্যাসাচুসেটসে শিশু নির্যাতনকারী ধর্মযাজকদের কথা ফাঁস করে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার গ্র্যান্ড জুরির ওই প্রতিবেদনের পর দুজন ধর্মযাজকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। তাদের মধ্যে একজন তার দোষ স্বীকার করে নেয়। তবে জড়িত অধিকাংশ ধর্মযাজকই মারা গেছেন। আর বেশির ভাগ অপরাধই অনেক আগে ঘটেছে তাদের বিচারের আওতায় আনা খুব কষ্টসাধ্য।
গ্র্যান্ড জুরি জানাচ্ছে, নির্যাতনের শিকার এক হাজারের বেশি শিশুকে চিহ্নিত করা গেছে, কিন্তু ‘প্রকৃত সংখ্যা’ আরও ‘কয়েক হাজার’।
আরও পড়ুন :
এ/ এমকে
মন্তব্য করুন