সেই চেইন মাইগ্রেশনেই নাগরিকত্ব পেলেন ট্রাম্পের শ্বশুর-শাশুড়ি
অভিবাসন ইস্যুতে ব্যাপক সরব মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি তার প্রশাসন অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে আসা ঠেকাতে আইন করা, দেয়াল দেয়ার মতো সব পরিকল্পনাও করছে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সবচেয়ে বেশি বিরক্ত চেইন মাইগ্রেশন ব্যবস্থার ওপর। অথচ সেই চেইন মাইগ্রেশন ব্যবস্থা ব্যবহার করেই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হলেন তার শ্বশুর-শাশুড়ি। খবর সিএনএন, সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের।
বৃহস্পতিবার ভিক্টর ও আমালিজা নাভস নাগরিকত্ব পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাদের অভিবাসন বিষয়ক আইনজীবী মাইকেল ওয়াইল্ডস।
তিনি বলেন, সব কিছু ঠিকমতোই হয়েছে, পরিবারের এমন একটি দারুণ দিনে তারা খুবই কৃতজ্ঞ এবং আনন্দিত। তবে বাবা-মা নাগরিকত্ব পাওয়ার পর কোনও মন্তব্য করেননি ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া।
স্লোভেনিয়ার নাগরিক ভিক্টর ও আমালিজা নাভস গ্রিনকার্ড নিয়ে অনেকদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন। তাদের জামাতা ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রায়ই তাদের ওয়াশিংটন দেখা গেছে।
ভিক্টর ও আমালিজার নাগরিকত্বের বিষয়ে অবগত একটি সূত্র জানিয়েছে, মেলানিয়া ট্রাম্প তার বাবা-মাকে গ্রিনকার্ড স্পন্সর করেন। এর ফলে তার বাবা-মা যুক্তরাষ্ট্রে অনির্দিষ্টকালের জন্য বসবাস ও কাজ করার অনুমতি যা শেষপর্যন্ত তাদের নাগরিকত্বও এনে দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর উল্লেখ করে ফ্যামিলি ভিসার এই ক্যাটাগরি বাতিলের চেষ্টা করেন ট্রাম্প ও তার মিত্ররা।
তবে কোন প্রক্রিয়ায় মেলানিয়া ট্রাম্পের বাবা-মা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পেয়েছেন সেটি নিয়ে মন্তব্য করেননি আইনজীবী ওয়াইল্ডস। কিন্তু তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতির সমালোচনা করেছেন।
ওয়াইল্ডস বলেন, আমি জোরালোভাবেই পারিবারিক একত্রীকরণে বিশ্বাস করি। এটি অভিবাসন নীতি এবং আইনের ভিত্তি, আর এর মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষ এক হয়েছে।
হাতে গোনা কয়েকটি পদ্ধতিতে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনকার্ড লাভ করতে পারেন অভিবাসীরা। পারিবারিক সংযোগের ভিত্তিতেই অধিকাংশ অভিবাসী প্রতি বছর নাগরিকত্ব পেয়ে থাকেন। কর্ম ভিসা, উদ্বাস্তু এবং আরও কয়েকটি বিশেষ ক্যাটাগরিতেও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পেয়ে থাকেন অভিবাসীরা।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং বৈধ স্থায়ী বাসিন্দারা যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য তাদের পরিবারের সদস্যদের (বাবা-মা, প্রাপ্তবয়স্ক ভাইবোন এবং বিবাহিত বা অবিবাহিত প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানকে) স্পন্সর করতে পারেন। তবে ট্রাম্প প্রশাসন এটি ঠেকানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ভিক্টর (৭৩) ও আমালিজা নাভস (৭১) দুজনই অবসরপ্রাপ্ত। তবে তারা ট্রাম্প পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন এবং ফার্স্ট পরিবারের সঙ্গে মার-আ-লাগো এবং নিউ জার্সির বেডমিন্সটারে ঘুরতে যান।
এপি/জেএইচ/এ/এসএস
মন্তব্য করুন