• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ কী অভ্যুত্থানে মারা গেছেন?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৯ মে ২০১৮, ১৮:১৭
ফাইল ছবি

প্রায় এক মাস হয়ে যাচ্ছে কিন্তু সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে জনসম্মুখে দেখা যাচ্ছে না। আর এই নিয়ে ইরানের কয়েকটি মিডিয়ার দাবি করেছে, গেলো মাসে সম্ভাব্য এক সামরিক অভ্যুত্থানে নিহত হয়েছেন সৌদির আরবের সবচেয়ে শক্তিশালী এই ব্যক্তি।

আরব রাষ্ট্রকে পাঠানো গোয়েন্দা সার্ভিসের রিপোর্টের বরাত দিয়ে কায়হান পত্রিকা জানিয়েছ, ২১ এপ্রিল রিয়াদের রাজপ্রাসাদে হামলায় সৌদির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দুটি গুলি লাগে। কিন্তু ওই ঘটনার পর থেকে যুবরাজ মোহাম্মদকে আর জনসম্মুখে দেখা না যাওয়ায় সন্দেহ তৈরি হয়েছে যে তিনি হয়তো মারা গেছেন।

ইরানের প্রেস টিভি বলছে, ওইদিনের পর থেকে যুবরাজ মোহাম্মদের নতুন ছবি বা ভিডিও প্রকাশ করেনি সৌদি কর্তৃপক্ষ। এমনকি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও তার প্রথম সফরে রিয়াদ গেলে সেখানেও যুবরাজ মোহাম্মদকে দেখা যায়নি।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : প্রিন্স হ্যারি-মেগান মার্কেলের রাজকীয় বিয়ে
--------------------------------------------------------

ইরানের আরেক সংবাদমাধ্যম ফার্স নিউজ অ্যাজেন্সি জানাচ্ছে, যুবরাজ মোহাম্মদ প্রায় সবসময়ই মিডিয়ার সামনে হাজির হন। কিন্তু রিয়াদে ওই গুলিবর্ষণের ঘটনার পর ২৭ দিন ধরে যুবরাজ মোহাম্মদের অনুপস্থিতি তার স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

গেলো মাসে ২১ তারিখ কয়েকটি মিডিয়ার খবরে জানা যায়, রিয়াদে সৌদি রাজপ্রাসাদে ভারি গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। যেটি একটি সম্ভাব্য অভ্যুত্থান হিসেবে বর্ণনা করেছে মিডিয়াগুলো। যদিও সৌদি কর্তৃপক্ষের দাবি, রাজপ্রাসাদের কাছে অননুমোদিত একটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করার ঘটনা ঘটেছে। তবে অনেক মিডিয়ায় খবর বের হয়, বাদশাহ সালমানকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়। সৌদির একজন বিশ্লেষক আলি আল-আহমেদ জানান, বাদশাহ সালমানকে ওইসময় কিং খালেদ সেনাঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়।

যদিও ওই সেনা অভ্যুত্থানের এক সপ্তাহ পর ২৮ এপ্রিল বাদশাহ সালমানের সঙ্গে দেখা মেলে যুবরাজ মোহাম্মদের। এদিন দেশটির কিদ্দিয়ায় কয়েকশ’ কোটি ডলারের একটি বড় বিনোদন রিসোর্ট উদ্বোধন করেন বাবা-ছেলে।

এদিকে গতকাল ১৮ মে যুবরাজ মোহাম্মদের ব্যক্তিগত অফিসের পরিচালক বাদের আল-আসাকের একটি গ্রুপ ছবি টুইট করেন। ওই ছবিতে দেখা যায় প্রিন্স মোহাম্মদ, আবুধাবির যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন যায়েদ আল নাহিয়ান, বাহরাইনের কিং বিন ইসা এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাতাহ আল-সিসি পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছেন।

আল-আসাকের টুইটে লিখেন, কয়েকদিন আগে মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাতাহ আল-সিসি আয়োজনে দুই ভাইয়ের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে ওই ছবি কবেকার সেটি জানাননি আল-আসাকের।

মধ্যপ্রাচ্যের দুই ক্ষমতাধর দেশ সৌদি আরব এবং ইরান এই অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই করছে। ইয়েমেন ও সিরিয়া সংঘাতে উভয় দেশ বিপরীত পক্ষকে সমর্থন দিয়ে আসছে। তবে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা যখন সৌদি আরবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে তখন থেকে রিয়াদ এবং তেহরানের সম্পর্ক আরও খারাপ আকার ধারণ করে। একইসঙ্গে ইয়েমেনের এ বিদ্রোহীগোষ্ঠীকে ইরান অর্থ এবং অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে বলে অভিযোগ আনে সৌদি।

প্রিন্স মোহাম্মদ, আবুধাবির যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন যায়েদ আল নাহিয়ান, বাহরাইনের কিং বিন ইসা এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাতাহ আল-সিসি

২০১৬ সালের জানুয়ারিতে তেহরান এবং মাশদাদে সৌদি দূতাবাসে হামলার ঘটনার পর ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত ইরানের শিয়া মতাবলম্বী শীর্ষ নেতা শেখ নিমর আল নিমরসহ আরও ৪২ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে রিয়াদ।

গেলো বছরের ডিসেম্বরে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি দুই দেশের সম্পর্ক পুনরায় স্থাপনে দুটি শর্ত জুড়ে দেন। তিনি বলেন, ইয়েমেনে অমানবিক বোমা হামলা ও ইসরায়েলের সঙ্গে ভ্রান্ত বন্ধুত্ব বাতিল করতে হবে রিয়াদকে।

চলতি বছরের মার্চে মার্কিন প্রভাবশালী দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আগামী ১০-১৫ বছরের মধ্যে ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের যুদ্ধ আসন্ন বলে সতর্ক করে দেন সৌদি যুবরাজ। একইসঙ্গে সামরিক দ্বন্দ্ব এড়াতে ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

আরও পড়ুন :

এ/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বৈষম্যমূলক পেনশন প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির
এনএসআইয়ের নতুন পরিচালক সালেহ মোহাম্মদ তানভীর
পুরস্কারের জন্য কোনো সুপারিশ করতে হয়নি: মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান
হাবিপ্রবিসাস সেরা সংগঠক আরটিভির ফাহিমুল্লাহ্
X
Fresh