যৌন কেলেঙ্কারিতে চিলির সব বিশপের পদত্যাগ
শিশুদের যৌন নিপীড়ন ও তা ধামাচাপার দেয়ার ঘটনায় চিলির ৩৪ জন রোমান ক্যাথলিক বিশপের সবাই পোপ ফ্রান্সিসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তারা তাদের ‘মারাত্মক ভুল ও তা গোপনের জন্য’ ভুক্তভোগী এবং চার্চের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। খবর বিবিসির।
তবে এটা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি যে, পোপ তাদের ওই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন কিনা।
যৌন নির্যাতনকারী এক যাজকের পক্ষে সাফাই দেয়া এবং বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত চিলির এক ধর্মগুরুকে তিন বছর আগে বিশপের পদমর্যাদা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর থেকে ব্যাপক সমালোচিত হন পোপ ফ্রান্সিস।
একজন ধর্মযাজকের যৌন নিপীড়ন ধামাচাপা দেয়া একজন বিশপের সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই গাওয়ার পর থেকেই চিলিতে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন পোপ ফ্রান্সিস।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : এবার যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ায় স্কুলে বন্দুক হামলায় নিহত ১
--------------------------------------------------------
গেলো জানুয়ারিতে ওই যৌন কেলেঙ্কারি নিয়ে পোপ বলেন যে, তিনি এ ঘটনায় ‘ব্যথা ও লজ্জা’ অনুভব করছেন।
কোনো একটি দেশের উচ্চ পর্যায়ের খ্রিস্টান ধর্মগুরুরা একসঙ্গে পদত্যাগ করতে চাওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম।
ঘটনার মূলে রয়েছেন বিশপ হুয়ান ব্যারোস। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ যে, তিনি ক্যাথলিক চার্চে নিজের পদমর্যাদাকে ব্যবহার করে তিনি তার গুরু ক্যাথলিক যাজক ফারনান্দো কারাদিমার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের একটি চলমান তদন্ত বন্ধের চেষ্টা করেছিলেন।
খুবই প্রভাবশালী যাজক ফাদার কারাদিমাদের বিরুদ্ধে ভ্যাটিকানের তদন্তে ১৯৭০ ও ৮০’র দশকে কমবয়সী ছেলেদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এ ঘটনায় তাকে আজীবন ‘প্রায়শ্চিত্ত ও প্রার্থনা’র শাস্তি দেয়া হয়। তবে এটি অনেক পুরনো ঘটনা হওয়ায় ফাদার কারাদিমার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
বিশপ হুয়ান ব্যারোস
এদিকে ওই যৌন নিপীড়নের ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টার সঙ্গে হুয়ান ব্যারোসের সম্পৃক্ততা থাকার পরও তিন বছর আগে তাকে বিশপ হিসেবে নিয়োগ দেন পোপ ফ্রান্সিস।
হুয়ান ব্যারোসের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সম্পর্কে জানার পরও তাকে বিশপ হিসেবে নিয়োগ দেন পোপ ফ্রান্সিস। কারণ হিসেবে পোপ বলেন, হুয়ান ব্যারোস নিজে যৌন নিপীড়নে যুক্ত ছিলেন না।
এমনকি জানুয়ারিতে চিলি সফরের সময় বিশপ ব্যারোসের পক্ষে পোপ বলেন, সত্য প্রমাণিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোকে ‘অপবাদ’ আখ্যা দেয়া উচিত। পোপের ওই বক্তব্যের পর তিনি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন।
আরও পড়ুন :
এ
মন্তব্য করুন