মার্কিন কূটনীতিকের পালিয়ে দেশত্যাগ ঠেকালো পাকিস্তান
পাকিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনায় এক মোটরবাইকচালক নিহত হওয়ার ঘটনায় জড়িত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জোসেফ ইমানুয়েল হল মার্কিন সামরিক বিমানে করে পালাতে চেষ্টা করলে তাকে আটকে দেয়া হয়েছে। খবর বিবিসির।
গতকাল শনিবার কর্নেল হল নুর খান সামরিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে যেতে দেয়া হয়নি। আফগানিস্তানের বাগরাম বিমানঘাঁটি থেকে মার্কিন বিমানবাহিনীর পরিবহন বিমান সি-১৩০ ইসলামাবাদে অবতরণ করে। যুক্তরাষ্ট্রে চলে যেতে দূতাবাস থেকে আট সঙ্গী নিয়ে কর্নেল হল বিমানঘাঁটিতে পৌঁছান।
দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার দায়িত্বরত কর্মকর্তারা হলকে চিনতে পেরে তার পাসপোর্ট নিয়ে যান। তার পাকিস্তান ত্যাগের অনুমতি আছে কিনা জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের কাছে সেই খবর নেন। পরে জানতে পারেন, তাকে পাকিস্তান ছাড়ার অনুমতি দেয়া হয়নি।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : যুক্তরাষ্ট্রের একঘরে হওয়ার আশঙ্কা বুশের
--------------------------------------------------------
এরপর কর্নেল হল সঙ্গীদের নিয়ে দূতাবাসে ফিরে যান। মার্কিন বিমানটিও বাগরামে চলে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের মুখপাত্র এ বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে আতিক বেগ নামে এক পাকিস্তানি মোটরবাইক আরোহীকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে কর্নেল হলের বিরুদ্ধে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সংযোগ সড়কে লালবাতি থাকা সত্ত্বেও একটি সাদা ফোর হুইল গাড়ি তা অতিক্রম করছে। তখন ওই মোটরসাইকেলের সঙ্গে গাড়িটির সংঘর্ষ হয়। এ সময় গাড়িটি কর্নেল হল চালাচ্ছিলেন। তবে কর্নেল হল মদ্যপ অবস্থায় গাড়িটি চালাচ্ছিলেন বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে পাকিস্তানের গণমাধ্যমে, তা নাকচ করেছে পাকিস্তানের মার্কিন দূতাবাস।
ইসলামাবাদের হাইকোর্টে কর্নেল হলের বিচারের দাবি তুলেছেন নিহত আতিক বেগের বাবা। শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট রুল জারি করেছে, কর্নেল হল সম্পূর্ণভাবে কূটনৈতিক অব্যাহতি পাবেন না। ইতোমধ্যেই তার নাম ভ্রমণের কালো তালিকায় যোগ করা হয়েছে। এর মানে, তিনি পাকিস্তানের কোনো বিমানবন্দর থেকেই দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
গত জানুয়ারিতে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইট করেন, পাকিস্তান মিথ্যা বলছে আর ধোঁকা দিচ্ছে। সে মাসেই মার্কিন সরকার ঘোষণা দেয়, তারা পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দ নিরাপত্তা সহায়তার প্রায় সবটাই কাটছাঁট করছে। কারণ দেশটি তাদের মাটিতে জঙ্গি নেটওয়ার্ক ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে।
ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। দেশটি ঘোষণা দিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আর কোনো গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় করবে না।
আরও পড়ুন :
কেএইচ/পি
মন্তব্য করুন