• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ব্রাজিলের পাসপোর্ট বানিয়েছিল কিম ও তার বাবা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৫:১৯

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ও তার বাবা প্রয়াত কিম জং ইল প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ব্রাজিলিয়ান পাসপোর্ট যোগাড় করেছিলেন। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলছেন ১৯৯০ এর দশকে পশ্চিমা দেশে ঘুরতে যেতে ওই পাসপোর্ট ব্যবহার করে তারা ভিসার জন্য আবেদন করেন। খবর চ্যানেল নিউজ এশিয়ার।

ওই পাসপোর্টে উত্তর কোরিয়ার বর্তমান নেতার নাম লেখা ছিল ‘জোসেফ পোয়াগ’। আর তার বাবার নাম লেখা ছিল ‘ইজং চোয়’। ওই পাসপোর্ট ব্যবহার করে কমপক্ষে দুইটি দেশে ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন তারা। আগেও কিম পরিবার মিথ্যা পরিচয় ব্যবহার করে ভ্রমণ করেছে বলে জানা যায়। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান পাসপোর্টের ওই ফটোকপি এর আগে কখনও প্রকাশ করা হয়নি।

একজন সিনিয়র পশ্চিমা নিরাপত্তা কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেছেন, তারা ব্রাজিলিয়ান পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিদেশি দূতাবাস থেকে ভিসা পাওয়ার চেষ্টা করেছে।

তিনি বলেন, এরমধ্য দিয়ে ক্ষমতাসীন পরিবারের বিদেশ ভ্রমণ ও পালানোর সম্ভাব্য একটি চেষ্টা লক্ষ্য করা যায়।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: দাড়ির স্টাইল নিষিদ্ধ করে পাকিস্তানে প্রস্তাব পাস
--------------------------------------------------------

উত্তর কোরিয়ায় ব্রাজিল দূতাবাস এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এদিকে ব্রাজিলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্রাজিলের একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই দুটি পাসপোর্টের কাগজপত্র বৈধ ছিল। তবে সেগুলো কনস্যুলেটে ছবি ছাড়া পাঠানো হয়েছিল।

তবে ওই আবেদনের ভিত্তিতে তারা ভিসা পেয়েছিলেন কিনা সেটি এখনও অস্পষ্ট।

কিন্তু নিরাপত্তা সূত্রগুলো বলছে, ব্রাজিল, জাপান ও হংকং ভ্রমণে ওই পাসপোর্ট ব্যবহার করা হয়েছে।

এর আগে ২০১১ সালে জাপানি পত্রিকা ইয়োমিউরি শিমবুন জানায়, ১৯৯১ সালের ব্রাজিলিয়ান পাসপোর্ট ব্যবহার করে শিশু কিম টোকিও ভ্রমণ করেন। কিন্তু টোকিও ভ্রমণের ঘটনা ঘটে ওই ব্রাজিলিয়ান পাসপোর্টে যে ইস্যু তারিখ রয়েছে সেটির আগেই। কিম জং উন না জোসেফ পোয়াগ?

১০ বছর বয়সী ওই পাসপোর্ট দুটিতে প্রাগে ব্রাজিল দূতাবাসের সিল রয়েছে। যেখানে পাসপোর্ট ইস্যুর তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬ উল্লেখ করা হয়েছে। নিরাপত্তা সূত্রগুলো বলছে, ফেস রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে যে ওই দুটি ছবি কিম ও তার বাবারই ছিল।

কিম জং উনের ছবি লাগানো পাসপোর্ট, যেখানে তার নাম জোসেফ পোয়াগ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে তার জন্মতারিখ হিসেবে লেখা ছিল ১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৩।

উত্তর কোরিয়ার বর্তমান নেতা কিম সম্পর্কে খুব বেশি জানা যায় না। এমনকি তার জন্মতারিখ নিয়েও বিতর্ক আছে। যখন তার ব্রাজিলিয়ান পাসপোর্ট বানানো হয়েছিল তখন কিমের বয়স ১২ থেকে ১৪ হয়ে থাকতে পারে।

কিম সুইজারল্যান্ডে বের্নে একটি আন্তর্জাতিক স্কুলে পড়াশোনা করেছেন বলে জানা যায়। সেখানে তিনি একটি দূতাবাসের গাড়ি চালকের ছেলে হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন।

আর কিম জং ইলের পাসপোর্ট ইজং চোয় নামে বানানো হয়েছে। সেখানে তার জন্মতারিখ ৪ এপ্রিল, ১৯৪০ সাল উল্লেখ করা হয়েছে। তবে তার প্রকৃত জন্ম সাল ১৯৪১।

পাসপোর্টে কিম ও তার বাবার জন্মস্থান হিসেবে ব্রাজিলের সাও পাওলোর নাম লেখা ছিল।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, তাদের শুধু ওই ফটোকপি দেখার সুযোগ হয়েছে, তাই সেগুলো কোনো রকম পরিবর্তন করা হয়েছে কিনা বলার সুযোগ নেই।

আরও পড়ুন:

এ/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
যুদ্ধের জন্য সেনাবাহিনীকে জোর প্রস্তুতির নির্দেশ কিমের
খাদ্যের বিনিময়ে রাশিয়াকে ৬৭০০ কনটেইনার অস্ত্র দিয়েছে উ. কোরিয়া!
X
Fresh