‘রিয়াদ-তেল আবিব সামরিক সম্পর্ক রয়েছে’
সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কোনো সম্পর্ক নেই। আর থাকলেও সেটি স্বীকার করে না রিয়াদ। তবে সুইজারল্যান্ডের একটি পত্রিকা দাবি করেছে, দুই দেশের মধ্যে ‘গোপন মিত্রতা’ রয়েছে। খবর মিডল ইস্ট মনিটরের।
সুইস সংবাদপত্র বাসলার জেইতাঙ বলছে, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব কমাতেই ইসরায়েল-সৌদির মধ্যে এই গোপন আঁতাত।
বাসলার জেইতাঙের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সঙ্কট সমাধান ও আরব দেশগুলোর এ বিষয়ে কোনো ঘোষণা না আসা পর্যন্ত এই সম্পর্ক গোপনে চালিয়ে যেতে চায় রিয়াদ। এমনকি এরপরই দুই দেশের মধ্যে দূত বিনিময় হতে পারে বলে জানাচ্ছে পত্রিকাটি।
তেল আবিব-রিয়াদের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক রয়েছে বলেও ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
রিয়াদের অসমর্থিত সূত্রের বরাতে আরো বলা হয়েছে, ইসরায়েলের কাছ থেকে অস্ত্র কেনার কথা বিবেচনা করছে সৌদি আরব। গাজা উপত্যকা থেকে ছোঁড়া রকেট হামলা মোকাবেলায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকরী প্রমাণ হওয়ার এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে রিয়াদ।
রিয়াদের দাবি ইয়েমেন থেকে ছোঁড়া মিসাইল হামলা ঠেকাতেই তারা ইসরায়েলি অস্ত্রশস্ত্র কিনতে চাচ্ছে। এদিকে সূত্রগুলো জানিয়েছে, রিয়াদ-তেল আবিব সম্পর্ক বেশ গভীর। যদিও রিয়াদ বরাবরই এই সম্পর্কের কথা এড়িয়ে গেছে।
ওই অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রিয়াদ ও অন্যান্য সুন্নি দেশেগুলো তেল আবিবের সঙ্গে সরাসরি কাজ করে যাচ্ছে। গেলো বছরের ডিসেম্বর মাসে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ পরিচালক মাইক পোম্পেও এমনটাই জানিয়েছিলেন।
এর আগে ইসরায়েলি জ্বালানিমন্ত্রী ইউভাল স্টেইনিটজ বলেছিলেন, সৌদি আরবে আমাদের কয়েকটি সূত্র রয়েছে, তবে রিয়াদে অনুরোধে সেগুলো গোপন রাখা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, দুই দেশের ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তা বৈঠকও করেছেন। এর মধ্যে গেলো বছরের অক্টোবরে দেশ দুটির সাবেক গোয়েন্দা প্রধান এই অঞ্চলে মার্কিন নীতির নিয়ে বৈঠক করেছে বলেও জানাচ্ছে সুইস পত্রিকাটি।
এ/পি
আরও পড়ুন -
মন্তব্য করুন