ভারতে আট বাংলাদেশি গ্রেপ্তার, ৩ জনই গোপালগঞ্জের
অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আট বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে তিনজনের বাড়ি গোপালগঞ্জে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) পশ্চিমবঙ্গের খরদহ থানার তিনটি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে বাবলু শেখ, ফারুক শেখ ও আলি শেখের বাড়ি গোপালগঞ্জে। খরদহ থানার অন্তর্গত এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন তারা। তবে বাকি পাঁচজনের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি ভারতীয় পুলিশ।
আরটিভি/এসএপি-টি
মন্তব্য করুন
বিশ্ববাজারে / কমেছে স্বর্ণের দাম, দুই মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর ডলারের মান শক্তিশালি হতে থাকে। এর পরপরই কমতে শুরু করে স্বর্ণের দাম। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে যে দামে স্বর্ণের কেনা-বেচা হচ্ছে, তা গত দুই মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
স্বর্ণের আন্তর্জাতিক বাজার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি আউন্স (এক আউন্স = ২৮ দশমিক ৩৫ গ্রাম) স্বর্ণ বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৫৯৭ দশমিক ৯১ ডলার বা ৩ লাখ ১০ হাজার ৮০৯ টাকায়।
স্বর্ণের বাজার পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শতকরা হিসেবে স্বর্ণের দাম কমেছে দশমিক ৯ শতাংশ এবং গত ২০ সেপ্টেম্বরের পর আজ মঙ্গলবার প্রথম এই দরে বিক্রি হচ্ছে মূল্যবান এই ধাতুটি।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বাজার পর্যবেক্ষণ সংস্থা কেসিএম ট্রেডের শীর্ষ বাজার বিশ্লেষক টিম ওয়াটেরার রয়টার্সকে বলেন, সাম্প্রতিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং তার ফলাফল ডলারের মানের জন্য আশীর্বাদ বয়ে এনেছে। স্বর্ণের দাম কমার মূল রহস্য লুকিয়ে আছে ডলারের মান শক্তিশালী হওয়ার মধ্যে।
ডলারের মান বৃদ্ধি অবশ্য এমনি এমনিই ঘটেনি; বরং এর পেছনে ভূমিকা রেখেছে বা বিটকয়েনের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার ব্যাপারটি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প বাণিজ্যিক লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে বিটকয়েন ব্যবহারের পক্ষে থাকায় নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে বিটকয়েনের ব্যবহার। ফলে ডলারের মানও বাড়ছে।
স্বর্ণের বাজার বিশ্লেষণকারী অপর মার্কিন সংস্থা বেরেনবার্গ জানিয়েছে, বিটকয়েনের ব্যবহার বৃদ্ধির এই ধারা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে আগামী ২০২৫ সালে স্বর্ণের দর কম-বেশি স্থিতিশীল থাকবে, তবে চাহিদার তেমন হেরফের হবে না। ফলে দামও খুব বেশি হ্রাস পাবে না।
রয়টার্সকে বেরেনবার্গের এক বিশ্লেষক বলেন, স্বর্ণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং অনন্য দিক হলো, এটি মূল্যস্ফীতির সময় রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। ডলারের মান শক্তিশালী হচ্ছে—এটা আন্তর্জাতিক অর্থনীতির জন্য বেশ ইতিবাচক। তবে শেষপর্যন্ত মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি থেকেই যাবে এবং সেই ঝুঁকি এড়াতে বিনিয়োগকারীরা তাদের অর্থের একটি অংশ স্বর্ণ ক্রয়ের জন্য আলাদা করে রাখবেন।
আরটিভি/একে
নভেম্বরে একসঙ্গে শক্তিশালী ৪ ঘূর্ণিঝড়!
পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে বর্তমানে চারটি শক্তিশালী ঝড় সক্রিয় রয়েছে। জাপানের আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে একসঙ্গে চারটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সক্রিয় থাকার ঘটনা ১৯৫১ সালের পর এই প্রথম এবং গত সাত বছরের মধ্যে এই ধরনের পরিস্থিতি কখনোই দেখা যায়নি।
সিএনএন জানিয়েছে, যৌথ টাইফুন সতর্কীকরণ কেন্দ্রের স্যাটেলাইট চিত্রে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে টাইফুন ইংজিং, টাইফুন তোরাজি, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় উসাগি এবং গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় ম্যান-ইকে সক্রিয় অবস্থায় দেখা গেছে। এই চারটি ঝড় ফিলিপিন্সের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) টাইফুন ইংজিং উত্তর-পূর্ব ফিলিপিন্সে আঘাত হানে যার বাতাসের গতিবেগ আটলান্টিকের ক্যাটাগরি ৪ মাত্রার ঘূর্ণিঝড়ের সমান ছিল। তবে এত কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। ঝড়টি প্রবল বৃষ্টিপাত, উত্তাল ঢেউ এবং ভূমিধস ঘটিয়ে শেষ হয়। পরে ইংজিং পশ্চিম দিকে চীনের হাইনান প্রদেশ হয়ে ভিয়েতনাম আঘাত হানে।বর্তমানে সেখানে প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
পরদিন ঘূর্ণিঝড় তোরাজি ফিলিপিন্সের লুজোনের অরোরা প্রদেশের পূর্ব উপকূলে আঘাত হানে। এর বাতাসের গতি আটলান্টিকের ক্যাটাগরি ওয়ান হারিকেনের সমান। এর আগে আরও হাজারো মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়। বর্তমানে এটি দুর্বল হয়ে দক্ষিণ চীন সাগরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভারী বৃষ্টি বয়ে আনবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
এদিকে, ফিলিপিন্স আরও দুটি ঝড়ের সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় উসাগি লুজোনের উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত এবং মঙ্গলবারের মধ্যে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাশাপাশি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় ম্যান-ই গুয়ামের কাছাকাছি অবস্থান করছে এবং এটি শুক্রবার ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরটিভি/ এএ
ধেয়ে আসছে দুই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, আঘাত হানবে যেখানে
সম্প্রতি একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগের আঘাতে বিপর্যস্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইন। মাত্র এক মাসেই পাঁচটি ঝড় আঘাত হেনেছে, যার ফলে অনেক মানুষের প্রাণহানি এবং অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দেশটিকে তছনছ করতে প্রস্তুত আরও দুটি ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়— সুপার টাইফুন উসাগি এবং ক্রান্তীয় ঝড় ম্যান-ই।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফিলিপাইনে এক মাসের মধ্যে পঞ্চম ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে চলেছে। এজন্য উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহরের বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দেশটিতে আঘাত হানতে যাওয়া এ ঘূর্ণিঝড়কে উসাগি নামে নামকরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এক সপ্তাহের ব্যবধানে আরও একটি ঝড়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সরকারি তথ্যমতে, কাগায়ন প্রদেশের ২৪ হাজারের বেশি বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আগের টাইফুনের সময় শহর ছেড়ে আসা মানুষেরাও রয়েছেন। তাদের সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
সুপার টাইফুন উসাগি স্থানীয়ভাবে অফেল নামে পরিচিত। এটি প্রদেশে বৃহস্পতিবার বিকালে আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কাগায়ানের দুর্যোগ ত্রাণ অফিসের প্রধান রুয়েলি রেপসিং বলেন, উসাগির বৃষ্টির কারণে কাগায়ান নদীর পানির স্তর আবার বেড়ে যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে মধ্য ও দক্ষিণ অংশে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় ১০০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে চলছে। টাইফুনের কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কায় জরুরি জিনিসপত্র যেমন জেনারেটর প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ম্যান-ই নামের আরেকটি ঝড়ও এগিয়ে আসছে। শনিবারের মধ্যে এটি মধ্য ফিলিপাইনে আঘাত হানবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় প্রদেশগুলোতে এ সময়ে সব ধরনের অ-প্রয়োজনীয় ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক উপদেষ্টা।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর গড়ে প্রায় ২০টি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় ফিলিপাইনে আঘাত হানে। এর ফলে দেশটিতে ভারি বৃষ্টিপাত, প্রবল ঘূর্ণিঝড় এবং মারাত্মক ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার তথ্যমতে, অক্টোবরে দেশটির প্রধান দ্বীপ লুজানে ঘূর্ণিঝড় ট্রামি এবং কং-রের লুজোনের আঘাত হেনেছে। এতে অন্তত ১৫৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া এখনও ২২ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
আরটিভি/একে/এসএ
বিশ্ববাজারে বাড়লো স্বর্ণের দাম, বাড়তে পারে দেশেও
মার্কিন নির্বাচনের পর কয়েক দফা কমে এবার বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে। সেই হিসেবে দেশের বাজারেও যেকোনো সময় দামি এই ধাতুটির দাম বাড়তে পারে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাত ৮টা পর্যন্ত স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম অবস্থান করছিল ২ হাজার ৫৭০ দশমিক ৬৬ ডলারে। একদিনে প্রতি আউন্সে ৫ দশমিক ৩৪ ডলার দাম বেড়েছে।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করে থাকে। সংগঠনটির সবশেষ দেওয়া দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫০৯ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২৮ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৬২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯০ হাজার ২৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সংগঠনটির পক্ষে স্বর্ণের দাম বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি। এই কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘বিশ্ববাজারে যে হারে স্বর্ণের দাম বাড়ছে, তাতে দেশের বাজারেও দাম বাড়ানো লাগবে। এর কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমার স্বর্ণের দাম বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি স্থানীয় বাজারের ওপর ভিত্তি করে। স্থানীয় বাজারে পাকা স্বর্ণের দাম বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আবার পাকা স্বর্ণের দাম কমলে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববাজারের দামের চিত্র পাকা স্বর্ণের দামে প্রভাব ফেলে।’
আরটিভি/এসএপি/এআর
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সমুদ্র যোগাযোগ চালু, উদ্বিগ্ন ভারত
১৯৭১ সালের পর এই প্রথম কোন পাকিস্তানি পণ্যবাহী জাহাজ সরাসরি বাংলাদেশের বন্দরে নোঙর করেছে। গত সপ্তাহে জাহাজটি চট্টগ্রামে নোঙর করায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে ভারত।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি সামুদ্রিক সংযোগ ভারতের সেভেন সিস্টার্স রাজ্যগুলোতে সম্ভাব্য অস্থিরতা তৈরির কাজে ব্যবহার করা হতে পারে। কারণ, ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় সেভেন সিস্টার্স বাংলাদেশ সীমান্তের খুব কাছাকাছি।
ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশের প্রধান দুই বন্দর চট্টগ্রাম ও মংলায় পাকিস্তান কোন জায়গা পায়নি। সিঙ্গাপুর ও কলম্বোর মাধ্যমে দুদেশের বাণিজ্য হতো। তবে এখন পাকিস্তানি জাহাজ সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে। ফলে পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ জিনিস (অস্ত্র) আসতে পারে। যেগুলো সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে যেতেও পারে। যেমন ২০০৪ সালে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ১ হাজার ৫০০ চাইনিজ অস্ত্র ট্রলারে করে আসামের বিচ্ছিন্নতাবাদী দল উলফার জন্য পাঠিয়েছিল। তবে সেগুলোর উলফার হাতে যাওয়ার আগেই জব্দ করা হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্যবহার করে ভারত চট্টগ্রাম ও মংলা থেকে চীনকে দূরে রেখেছিল। কিন্তু এখন পাকিস্তান চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছে। ফলে বিষয়টি অবশ্যই এই অঞ্চলের ভূরাজনীতির ওপর প্রভাব ফেলবে। কেননা মিয়ানমারও চট্টগ্রামের খুব কাছে, সেই সঙ্গে মিয়ানমারে অবস্থা এখন টালমাটাল। ভারত শক্কা করছে, মিয়ানমার থেকে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং মাদক কারবারি বেড়ে যেতে পারে।
এদিকে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে জাহাজ আসার বিষয়টিকে ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে অভিহিত করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট। কেননা এর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান জটিল সম্পর্ক উষ্ণ হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
আরটিভি/এসএপি
রাসূল (সা.)-এর রওজা শরিফ জিয়ারতে নতুন নির্দেশনা
মহানবি মুহাম্মদ (সা.)-এর সমাধি পবিত্র রওজা শরিফ জিয়ারতে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে সৌদি আরব। ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে এখন থেকে মহানবি মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা শরিফ জিয়ারতের জন্য আগাম অনুমতি নিতে হবে। সেই সঙ্গে বছরে একবারের বেশি রওজা শরিফ পরিদর্শন করা যাবে না।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সৌদি সরকারের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় এক্স পোস্টে এ তথ্য জানায়।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ঘোষণায় বলা হয়, রওজা শরিফে ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও অনিয়ম কমানোর লক্ষ্যে এই নিয়ম চালু করা হয়েছে। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া রওজা শরিফে প্রবেশ করা যাবে না। আগের মতো অনুমতি ছাড়া প্রবেশের বিষয়টি আর বৈধ থাকবে না।
এ ছাড়া জিয়ারতের সময় এক ঘণ্টায় সীমিত রাখা হবে। এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো অপেক্ষার সময় কমানো এবং ভিড় এড়িয়ে জিয়ারতকারীদের জন্য একটি সহজ ও সুশৃঙ্খল অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করা।
নতুন নির্দেশনার আওতায় রওজা শরিফ জিয়ারতের জন্য বছরে একবারের বেশি সুযোগ পাবেন না মুসল্লিরা। এই নিয়মটির মাধ্যমে বৃহত্তর সংখ্যক মুসলিমকে রওজা শরিফ জিয়ারতের সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সৌদি সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে প্রায় ১ কোটি মুসলিম রওজা শরিফ জিয়ারত করেছেন, যা গত বছরের তুলনায় ২৬ শতাংশ বেশি। হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের মতে, বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ ও ভ্রমণ সহজলভ্য হওয়ায় রওজা শরিফ জিয়ারতকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের জন্য রওজা শরিফ জিয়ারত একটি পবিত্র আকাঙ্ক্ষা। তবে অতিরিক্ত ভিড় এবং প্রশাসনিক জটিলতা মোকাবিলা করতে গিয়ে সৌদি সরকার বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। নতুন এই নির্দেশনা সেই সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলছে, আমরা চাই প্রত্যেক মুসলিম যেন সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে রওজা শরিফ জিয়ারত করতে পারেন। এই নিয়ম শুধু ভিড় কমানো নয়, বরং জিয়ারতের অভিজ্ঞতাকে আরও স্মরণীয় করার জন্য।
সৌদি সরকারের এই নতুন নির্দেশনা মুসলিম বিশ্বের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। অনেকে এ নিয়মকে সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে দেখছেন, আবার অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে কেন বছরে একবারের বেশি জিয়ারতের সুযোগ সীমিত করা হলো।
বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের জন্য রওজা শরিফ জিয়ারত এক অনন্য অনুভূতির জায়গা। এই নতুন নিয়ম নিয়ে যেকোনো সমন্বয় ও পরিবর্তন যেন তাদের জন্য সহজ এবং গ্রহণযোগ্য হয়, সেদিকে সৌদি সরকারের নজর থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সৌদি সরকারের হিসাবে চলতি বছর এক কোটির বেশি মুসলিম রওজা জিয়ারত করেছেন, যা গত বছরের চেয়ে ২৬ শতাংশ বেশি।
আরটিভি/এফআই
বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম আরও কমলো
বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ২ শতাংশেরও বেশি কমেছে। চীনের দুর্বল চাহিদা এবং যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার কমানো নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ১ দশমিক ৫২ ডলার বা ২ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ কমে ৭১ দশমিক শূন্য ৪ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে, ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ব্যারেলপ্রতি ১ দশমিক ৬৮ ডলার বা ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমে ৬৭ দশমিক শূন্য ২ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম প্রায় চার শতাংশ ও ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম কমেছে প্রায় পাঁচ শতাংশ।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকস শুক্রবার দেখিয়েছে, অক্টোবরে চীনের তেল শোধনাগারগুলো গত এক বছরে আগের তুলনায় ৪.৬ শতাংশ কম অপরিশোধিত প্রক্রিয়া করেছে। দেশটির তেল শোধনাগারগুলোর উৎপাদন গত মাসে অনেক কমে গেছে, যা বিশ্বের বৃহত্তম অপরিশোধিত আমদানিকারকদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।
একই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, অক্টোবরে চীনের তেল শোধনাগারগুলো এক বছর আগের তুলনায় ৪ দশমিক ৬ শতাংশ কম প্রক্রিয়াকরণ করেছে। কারণ প্ল্যান্ট বন্ধ হয়ে গেছে ও ছোট স্বাধীন শোধনাগারগুলোতে অপারেটিং হার হ্রাস পেয়েছে। তাছাড়া গত মাসে চীনের কারখানার উৎপাদন প্রবৃদ্ধি ধীর হয়েছে। পাশাপাশি সমস্যা কাটেনি প্রোপার্টি সেক্টরেও।
আরটিভি/কেএইচ/এআর