• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সিঙ্গাপুরে টানেল থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ আগামী বছরই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২০ ডিসেম্বর ২০১৭, ২২:৩৯

সিঙ্গাপুরে ৪০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তিনটি আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল টানেল তৈরি করছে দেশটির সরকার। তারা বলছে আগামী বছরের শেষদিক থেকে ওই টানেল থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হবে।

মঙ্গলবার দেশটির সিঙ্গাপুর পাওয়ার (এসপি) গ্রুপ এ ঘোষণা দিয়েছে। খবর চ্যানেল নিউজ এশিয়ার।

টানেলের বেশিরভাগই মাটি থেকে ৬০ মিটার নিচে, যা ২০তলা ভবনের সমান। তবে সবচেয়ে গভীর পয়েন্ট হবে ৮০ মিটার। যা দেশটিতে এ যাবতকালের সবচেয়ে গভীরতম।

ওই টানেলে এক হাজার দুইশ কিলোমিটার লম্বা হাই-ভোল্টেজ বিদ্যুৎ ক্যাবল থাকবে। যেটি সিঙ্গাপুর থেকে কুয়ালালামপুরের দূরত্বের তিনগুণ।

উত্তর-দক্ষিণ টানেল, পূর্ব-পশ্চিম টানেল ও জুরঙ দ্বীপ-পায়নিয়র টানেল এ বছরের শুরুতে শেষ হয়েছে। তবে ক্যাবল বসানো শেষ হবে ২০২২ সালে।

এই ক্যাবলগুলো আগের পুরনো আটটি সার্কিটের পরিবর্তে বসানো হবে।

উত্তর-দক্ষিণ টানেলটি গাম্বাস থেকে মে রোড পর্যন্ত বিস্তৃত। আর পূর্ব-পশ্চিম টানেলটি পায়া লেবার থেকে আয়ার রাজাহ পর্যন্ত বিস্তৃত। জুরুঙ দ্বীপ থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ৫ কিলোমিটার ব্যাপী জুরুঙ-আইল্যান্ড পায়নিয়র টানেল থেকে সরবরাহ করা হবে।

প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এই ক্যাবলগুলো পুরোপুরিভাবে লাগানো হলে তা সিঙ্গাপুরের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ২০ শতাংশ মেটাতে সক্ষম হবে। তবে প্রতি বছর এই চাহিদা ২ বা ৩ শতাংশ হারে বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছে তারা।

এসপি গ্রুপ বলছে, নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিত করতেই এই আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল তৈরি করা হয়েছে।

এসপি গ্রুপের অবকাঠামো ও প্রজেক্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাইকেল চিন বলেছেন, রাস্তার কিছুটা নিচেই পানির পাইপ আর টেলিযোগাযোগের ক্যাবল বসানো তাই এত গভীরে এই টানেল তৈরি করা হলো। আর তাছাড়া এ ধরনের টানেলে সুবিধা মতো মেরামতও করা যাবে।

তিনি বলেন, মাটির এতটা নিচে হওয়ায় রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি ও মানুষকে বিরক্ত না করেই আমরা সেখানে প্রয়োজন মতো মেরামত ও পরিবর্তন করতে পারবো। আর আমরা পরে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহও বৃদ্ধি করতে পারবো।

শুধু তাই নয় যন্ত্রপাতি মেরামতের জন্য লাইভ কভারেজের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, কাজের দক্ষতা বাড়াতেই এমনটা করা হয়েছে।

চিন আরো বলেছেন, ভিডিও রেকর্ড করে সেগুলো বিশ্লেষণ করা হবে। যা দিয়ে বোঝা যাবে টানেলে কোনো লিক বা কোনো ফাটল হয়েছে কিনা।

তিনি বলেছেন, যাতে সবসময় আমরা টানেলের ভেতরের কার্যক্রম মনিটর ও সমস্যার সমাধান করতে পারি সেজন্যই এমনটা করা হয়েছে।

এই ক্যাবল টানেল শেষ করতে পাঁচ বছর লাগবে। খরচ হবে ২৪০ কোটি ডলার। আর টানেলগুলোর আয়ু হবে ১২০ বছর।

এ/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নবাবগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
এসির টেম্পারেচার যত হলে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, হবে বিদ্যুৎ বিলেরও সাশ্রয়
সিলেটে বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট
পাকিস্তানে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ১২৫ বিলিয়ন রুপি
X
Fresh