দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা
জেল থেকে বের হওয়ার দুই দিন পরই নিজের পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিল্লিতে একটি দলীয় সভায় তিনি এ পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, দুই দিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছি। জনগণ রায় না দেওয়া পর্যন্ত আমি চেয়ারে বসব না।
তিনি আরও বলেন, আমি আইনি আদালত থেকে ন্যায়বিচার পেয়েছি। এখন জনতার আদালত থেকে ন্যায়বিচার পেতে চাই।
এর আগে আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ৬ মাস কারাবন্দি থাকার পর গত শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জামিনে মুক্তি পান কেজরিওয়াল। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তার জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর আজ রোববার দিল্লিতে আম আদমি পার্টির কর্মীদের উদ্দেশে ভাষণ দেন তিনি।
সূত্র: এনডিটিভি
আরটিভি/আইএম
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে মৌমাছি মোতায়েন করলো ভারত
বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে মৌমাছি মোতায়েন করেছে ভারত। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ায় বাংলাদেশ সীমান্তে মৌমাছির কৃত্রিম চাক স্থাপন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮ এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে বিএসএফের ১০ থেকে ১২ জওয়ান নদীয়া জেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম কাদিপুর জড়ো হন। সেখানে তাদের মৌমাছি চাষ শিখতে দেখা যায়। সেসময় তাদের মাথা ও মুখমণ্ডলে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সরঞ্জাম পরা ছিল।
সংবাদমাধ্যমটিতে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সীমান্ত বেড়ায় বেশ কয়েকটি মৌ-বাক্স ঝুলিয়ে রাখা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের ৪৬ কিলোমিটার সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে বিএসএফের ৩২ নম্বর ব্যাটালিয়ন। তারা এসব বাক্স ঝুলিয়ে রেখেছে। তাদের আশা, যদি কোনো বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বা দুই দেশের কোনো চোরাকারবারি কাঁটাতারের কাছে আসে তাহলে মৌমাছি তাদের উপর আক্রমণ করবে।
বিএসএফের ৩২ নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট সুজিত কুমার বলেছেন, ‘সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কী করা যায় সেই চিন্তা থেকে আমার মাথায় আসে মৌমাছি চাষের বাক্সগুলো কাঁটাতারের বেড়ায় রাখা যায়। আমরা প্রায়ই দেখি কাঁটাতার কেটে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটে। এছাড়া গরু চোরাচালানসহ অন্যান্য বিভিন্ন বিষয় ঘটে। আমরা খুবই অবাক হয়েছি যে সীমান্তে এসব বাক্স রাখার পর সেখানে অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালান শূন্যের কাছাকাছি চলে এসেছে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসার পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের
শিগগিরই শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সব ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহে বৈঠকটি হওয়ার কথা। মূলত দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিভিন্ন ইস্যুতে মুখোমুখি আলাপের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকার এ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো দুই দেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে সংলাপের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় উচ্চপর্যায়ের এই দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সংলাপে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বাংলাদেশের অন্যান্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা অংশ নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন প্রতিনিধিদলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ, পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য দপ্তর ও ইউএসএইডের কর্মকর্তাদের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। সংলাপে বাংলাদেশের আর্থিক ও মুদ্রানীতির পাশাপাশি আর্থিক খাতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হবে।
মার্কিন রাজস্ব ও অর্থ দপ্তরের আন্তর্জাতিক অর্থায়নবিষয়ক সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যান বলেছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক দুর্বলতা মোকাবিলা ও নিরবচ্ছিন্ন প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়ন নিশ্চিতে একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করতে পারবে বলে আশাবাদী যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি বলেন, আইএমএফ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশের নিরবচ্ছিন্ন সম্পৃক্ততা নিশ্চিতের জন্য মার্কিন সমর্থন বৃদ্ধির পরিকল্পনা করেছে ওয়াশিংটন। কারণ, আর্থিক খাতের সংস্কার গভীরতর করে টেকসই উন্নয়ন এবং দুর্নীতি কমিয়ে এনে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জোরদার করতে চায় ঢাকা।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমস বলছে, ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য সংলাপে বাংলাদেশের আর্থিক এবং মুদ্রানীতির পাশাপাশি আর্থিক খাতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করা হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সফরকালে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
আরটিভি/এসএইচএম/এসএ
পাওনা ৮০ কোটি ডলার চেয়ে ড. ইউনূসকে চিঠি দিলেন আদানি
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে পাওনা ৮০ কোটি ডলার চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চিঠি লিখেছেন ভারতের আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি।
ভারতীয় গণমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের বরাতে এ খবর প্রকাশ করেছে হিন্দুস্তান টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্রুত ৮০ কোটি ডলারের বকেয়া পরিশোধের জন্য চিঠিতে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারপ্রধানের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ভারতের শীর্ষ এই ব্যবসায়ী।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই চিঠিতে গৌতম আদানি লিখেছেন, আমরা যখন বাংলাদেশকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বজায় রাখছি, সেই সময়ে ঋণদাতারা আমাদের ওপর কঠোর হচ্ছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে থেকে আমরা যে ৮০ কোটি ডলার পাই, সেই অর্থ দ্রুত পরিশোধ করার জন্য হস্তক্ষেপ করতে আপনাকে অনুরোধ করছি।
বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ যে পাওনা হয়, তা নিয়মিতভাবে পরিশোধ করার জন্যও চিঠিতে অনুরোধ জানিয়েছেন গৌতম আদানি।
ঝাড়খন্ডের গড্ডায় অবস্থিত এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আদানি শিল্পগোষ্ঠী। গত জুন থেকে এ বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, গড্ডার ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুতের সবটুকুই বাংলাদেশে সরবরাহ করে আদানি গ্রুপ।
গৌতম আদানি বলেন, একটি আধুনিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও প্রয়োজনীয় সঞ্চালনব্যবস্থা তৈরি করতে ২০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে আদানি পাওয়ার। রূপচাঁদা, মেইজান ও ফরচুনের মতো জনপ্রিয় ভোজ্যতেল ও উন্নত মানের চালের ব্র্যান্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের খাদ্যনিরাপত্তায়ও ভূমিকা রাখছে আমার কোম্পানি।
চিঠিতে তিনি বলেন, আপনার দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ও অবকাঠামো উন্নয়নের প্রতি আমি আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনরায় ব্যক্ত করছি। এ সময় বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও অংশীজনের কাছ থেকে তার কোম্পানি যে সমর্থন ও সহযোগিতা পেয়ে এসেছেন, তারও প্রশংসা করেন ভারতীয় এ ধনকুবের।
বাংলাদেশ নিয়ে যা বললেন রাহুল গান্ধী
বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ভারতের বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, আমি আত্মবিশ্বাসী যে বাংলাদেশে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন রাহুল গান্ধী।
তার এই বক্তব্য কংগ্রেসের ভেরিফায়েড ফেসবুক ও এক্স পেজে পোস্ট করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আমাদের পুরনো সম্পর্ক রয়েছে। আমার দাদি বাংলাদেশ সৃষ্টির সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত ছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে চরমপন্থিদের বিষয় নিয়ে ভারতে উদ্বেগ রয়েছে। সেই উদ্বেগের কিছুটা তাদের মধ্যে আছে। তবে আমি আত্মবিশ্বাসী যে বাংলাদেশে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে এবং আমরা বর্তমান সরকার বা তার পরবর্তী অন্য কোনো সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে সক্ষম হব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিষয়টি উত্থাপন করেছি এবং তারাও আমাদের সঙ্গে কথা বলেছে। আমরা যেকোনো ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে এবং এটা বন্ধ করতে চাই। যত দ্রুত সম্ভব এর অবসান ঘটানোটা বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব।’
কংগ্রেসের এই নেতা বলেন, ‘আমাদের দিক থেকে, আমাদের সরকারের দায়িত্ব চাপ প্রয়োগ করা, যাতে সহিংসতা বন্ধ হয়।’
প্রসঙ্গত, চার দিনের অনানুষ্ঠানিক সফরে যুক্তরাষ্ট্র যান রাহুল গান্ধী। গত মঙ্গলবার ছিল তার সফরের শেষ দিন।
আরটিভি/এফবি/এআর
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম তিন বছরে সর্বনিম্ন
আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামে রেকর্ড পতন হয়েছে। সেপ্টেম্বরের শুরুতেই বিশ্ববাজারে ব্যারেলপ্রতি জ্বালানি তেলের দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৭০ ডলার, যা বিগত ৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তেলের দাম ৬০ ডলারেও নেমে যেতে পারে।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববাজারে ডব্লিউটিআই ক্রুড তেলের দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৬৭ দশমিক ৬৮ ডলার। ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দামও কমেছে, যদিও তা এখনও ৭০ ডলারের নিচে নামেনি। প্রতিবেদন লেখার সময় এই তেলের দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৭১ দশমিক ০৫ ডলার।
গত এপ্রিল মাসেও বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৯০ ডলার। কোভিড মহামারীর সময় আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের চাহিদা শূন্যের কোটায় নেমে এসেছিল। তখন আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ২০ ডলারে নেমে এসেছিল। এরপর তেলের দাম বেড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। এরপর ২০২২ সালের অক্টোবর মাসেই তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৮০ ডলারে নেমে আসে। তারপর থেকে তেলের দাম এর আশপাশেই ছিল। কিন্তু চলতি মাসে দাম আরও কমে গিয়ে ৭০ ডলারের নিচে নেমে গেল।
তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেকের আশঙ্কা, ২০২৪-২৫ সালে তেলের চাহিদা আরও কমতে পারে। ওপেকের তথ্য বলছে, এখন দৈনিক চাহিদা ১৭ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল হলেও চাহিদা কমে ১৭ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেলে নেমে আসতে পারে।
অ্যাঙ্গোলা, আলজেরিয়া, ইরাক, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, নাইজেরিয়া, ভেনেজুয়েলা, লিবিয়া, সৌদি আরব, গ্যাবন, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি—এই ১২ দেশ নিয়ে গঠিত জোট ওপেকের ওপর মূলত নির্ভর করে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কতটা বাড়বে বা কমবে।
চাহিদা কমলেই ওপেক অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন ও সরবরাহ হ্রাস করে। গত এক বছরের বেশি সময় ধরে তারা তেলের উৎপাদন হ্রাস করেও বাজারে দাম খুব একটা বাড়াতে পারেনি। তবে ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো আগামী বছর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উত্তোলন বাড়াতে পারে বলে জানা গেছে।
এশিয়া-প্যাসিফিক পেট্রোলিয়াম কনফারেন্সে (এপিপিইসি) এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল কমোডিটি ইনসাইটসের গবেষণা বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট জিম বুরখার্ড এ কথা বলেছেন। সূত্র: রয়টার্স
মাঝ আকাশে থাকা ফ্লাইটে বাংলাদেশি যাত্রীর মৃত্যু
বাংলাদেশ থেকে হংকং যাওয়ার পথে একটি ফ্লাইট মাঝ আকাশে থাকা অবস্থায় ৪৭ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি আকস্মিকভাবে ঢলে পড়েন এবং পরে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় ওই বাংলাদেশি যাত্রীর ময়নাতদন্ত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) হংকং-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা থেকে হংকংগামী ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে মারা গেছেন ৪৭ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি যাত্রী। এই ঘটনায় তার ময়নাতদন্ত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
হংকং পুলিশ জানিয়েছে, লোকটি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে আসা সিএক্স৬৬২ ফ্লাইটে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে বলে তারা বুধবার খবর পেয়েছে। কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলেই লোকটিকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করা হবে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে স্থানীয় সময় রাত ২টায় ছেড়ে বুধবার সকাল ৭টা ৪৯ মিনিটে হংকংয়ে পৌঁছেছে।
আরটিভি/এফএ/এআর
বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানিতে বড় ধাক্কা খেলো ভারত
বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে গত আগস্টে বাংলাদেশ থেকে তাদের রপ্তানি আয় কমে গেছে ২৮ শতাংশ।
ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের আগস্টে বাংলাদেশে ভারতের রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৮ শতাংশ কমে ৬৮১ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত বছরের একই সময়ে বাংলাদেশে ৯৪৩ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল ভারত।
দুই দেশের বাণিজ্যিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বাংলাদেশে ভারতের অন্যতম প্রধান রপ্তানি পণ্য তুলা। চলতি বছরের আগস্টে বাংলাদেশে এই পণ্যের রপ্তানি কমেছে ১০ শতাংশ বা ১ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশে ১ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলারের তুলা রপ্তানির করেছিল ভারত।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলমান অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের বিদেশি অর্ডার কমে যাওয়ার কারণেই মূলত ভারতের তুলা রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে। বাংলাদেশের রপ্তানি আদেশ কমায় তার একটা প্রভাব পড়েছে ভারতের টেক্সটাইল শিল্পেও। এই শিল্প বাংলাদেশে কাঁচামাল ও অন্যান্য উপকরণ সরবরাহ করে।
আরটিভি/এসএইচএম