সিরিয়ায় বিমান হামলায় ১৪ জনের প্রাণহানি
সিরিয়ার হামা প্রদেশে বিমান হামলায় হতাহতের খবর পাওয়া গেছে৷ ইসরায়েল এই হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে বিভিন্ন পক্ষ৷
এ হামলায় অন্তত ১৪ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে৷ আহত হয়েছেন আরো অনেকে৷
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে মধ্য হামা প্রদেশে রাতভর এই হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল৷ সিরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে, মাসায়েফের আশেপাশে বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি হামলায় নিহত শহিদের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জন হয়েছে৷ আহত ৪৩ জন, যাদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা সংকটাপন্ন৷
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস রাতভর ইসরায়েলি হামলার কথা উল্লেখ করে ১৮ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে৷ নিহতদের মধ্যে আটজন সিরিয় সৈন্য বলে জানিয়েছে তারা৷ ৩০ জনের বেশি আহত বলেও জানিয়েছে সিরিয়ার যুদ্ধপরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাটি৷
আরটিভি/এএইচ
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ নিয়ে যা বললেন রাহুল গান্ধী
বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ভারতের বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, আমি আত্মবিশ্বাসী যে বাংলাদেশে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন রাহুল গান্ধী।
তার এই বক্তব্য কংগ্রেসের ভেরিফায়েড ফেসবুক ও এক্স পেজে পোস্ট করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আমাদের পুরনো সম্পর্ক রয়েছে। আমার দাদি বাংলাদেশ সৃষ্টির সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত ছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে চরমপন্থিদের বিষয় নিয়ে ভারতে উদ্বেগ রয়েছে। সেই উদ্বেগের কিছুটা তাদের মধ্যে আছে। তবে আমি আত্মবিশ্বাসী যে বাংলাদেশে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে এবং আমরা বর্তমান সরকার বা তার পরবর্তী অন্য কোনো সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে সক্ষম হব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিষয়টি উত্থাপন করেছি এবং তারাও আমাদের সঙ্গে কথা বলেছে। আমরা যেকোনো ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে এবং এটা বন্ধ করতে চাই। যত দ্রুত সম্ভব এর অবসান ঘটানোটা বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব।’
কংগ্রেসের এই নেতা বলেন, ‘আমাদের দিক থেকে, আমাদের সরকারের দায়িত্ব চাপ প্রয়োগ করা, যাতে সহিংসতা বন্ধ হয়।’
প্রসঙ্গত, চার দিনের অনানুষ্ঠানিক সফরে যুক্তরাষ্ট্র যান রাহুল গান্ধী। গত মঙ্গলবার ছিল তার সফরের শেষ দিন।
আরটিভি/এফবি/এআর
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম তিন বছরে সর্বনিম্ন
আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামে রেকর্ড পতন হয়েছে। সেপ্টেম্বরের শুরুতেই বিশ্ববাজারে ব্যারেলপ্রতি জ্বালানি তেলের দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৭০ ডলার, যা বিগত ৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তেলের দাম ৬০ ডলারেও নেমে যেতে পারে।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববাজারে ডব্লিউটিআই ক্রুড তেলের দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৬৭ দশমিক ৬৮ ডলার। ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দামও কমেছে, যদিও তা এখনও ৭০ ডলারের নিচে নামেনি। প্রতিবেদন লেখার সময় এই তেলের দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৭১ দশমিক ০৫ ডলার।
গত এপ্রিল মাসেও বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল প্রতি ব্যারেল ৯০ ডলার। কোভিড মহামারীর সময় আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের চাহিদা শূন্যের কোটায় নেমে এসেছিল। তখন আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ২০ ডলারে নেমে এসেছিল। এরপর তেলের দাম বেড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। এরপর ২০২২ সালের অক্টোবর মাসেই তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৮০ ডলারে নেমে আসে। তারপর থেকে তেলের দাম এর আশপাশেই ছিল। কিন্তু চলতি মাসে দাম আরও কমে গিয়ে ৭০ ডলারের নিচে নেমে গেল।
তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেকের আশঙ্কা, ২০২৪-২৫ সালে তেলের চাহিদা আরও কমতে পারে। ওপেকের তথ্য বলছে, এখন দৈনিক চাহিদা ১৭ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল হলেও চাহিদা কমে ১৭ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেলে নেমে আসতে পারে।
অ্যাঙ্গোলা, আলজেরিয়া, ইরাক, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, নাইজেরিয়া, ভেনেজুয়েলা, লিবিয়া, সৌদি আরব, গ্যাবন, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি—এই ১২ দেশ নিয়ে গঠিত জোট ওপেকের ওপর মূলত নির্ভর করে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কতটা বাড়বে বা কমবে।
চাহিদা কমলেই ওপেক অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন ও সরবরাহ হ্রাস করে। গত এক বছরের বেশি সময় ধরে তারা তেলের উৎপাদন হ্রাস করেও বাজারে দাম খুব একটা বাড়াতে পারেনি। তবে ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো আগামী বছর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উত্তোলন বাড়াতে পারে বলে জানা গেছে।
এশিয়া-প্যাসিফিক পেট্রোলিয়াম কনফারেন্সে (এপিপিইসি) এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল কমোডিটি ইনসাইটসের গবেষণা বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট জিম বুরখার্ড এ কথা বলেছেন। সূত্র: রয়টার্স
মাঝ আকাশে থাকা ফ্লাইটে বাংলাদেশি যাত্রীর মৃত্যু
বাংলাদেশ থেকে হংকং যাওয়ার পথে একটি ফ্লাইট মাঝ আকাশে থাকা অবস্থায় ৪৭ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি আকস্মিকভাবে ঢলে পড়েন এবং পরে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় ওই বাংলাদেশি যাত্রীর ময়নাতদন্ত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) হংকং-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা থেকে হংকংগামী ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে মারা গেছেন ৪৭ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি যাত্রী। এই ঘটনায় তার ময়নাতদন্ত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
হংকং পুলিশ জানিয়েছে, লোকটি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে আসা সিএক্স৬৬২ ফ্লাইটে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে বলে তারা বুধবার খবর পেয়েছে। কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলেই লোকটিকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করা হবে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে স্থানীয় সময় রাত ২টায় ছেড়ে বুধবার সকাল ৭টা ৪৯ মিনিটে হংকংয়ে পৌঁছেছে।
আরটিভি/এফএ/এআর
বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানিতে বড় ধাক্কা খেলো ভারত
বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে গত আগস্টে বাংলাদেশ থেকে তাদের রপ্তানি আয় কমে গেছে ২৮ শতাংশ।
ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের আগস্টে বাংলাদেশে ভারতের রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৮ শতাংশ কমে ৬৮১ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত বছরের একই সময়ে বাংলাদেশে ৯৪৩ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল ভারত।
দুই দেশের বাণিজ্যিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বাংলাদেশে ভারতের অন্যতম প্রধান রপ্তানি পণ্য তুলা। চলতি বছরের আগস্টে বাংলাদেশে এই পণ্যের রপ্তানি কমেছে ১০ শতাংশ বা ১ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশে ১ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলারের তুলা রপ্তানির করেছিল ভারত।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলমান অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের বিদেশি অর্ডার কমে যাওয়ার কারণেই মূলত ভারতের তুলা রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে। বাংলাদেশের রপ্তানি আদেশ কমায় তার একটা প্রভাব পড়েছে ভারতের টেক্সটাইল শিল্পেও। এই শিল্প বাংলাদেশে কাঁচামাল ও অন্যান্য উপকরণ সরবরাহ করে।
আরটিভি/এসএইচএম
দেশে জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় ড. ইউনূসকে চার মার্কিন আইনপ্রণেতার চিঠি
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের চার সদস্য। এতে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং জবাবদিহিতার জরুরি প্রয়োজনের ওপর জোর দিয়েছেন তারা।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্কবিষয়ক কমিটির ওয়েবসাইটে এ চিঠি প্রকাশ করা হয়েছে।
চিঠিতে তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের এই সংকটময় সময়ে এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সফলভাবে উত্তরণ নিশ্চিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুত তারা। চিঠিতে স্বাক্ষরকারী আইনপ্রণেতা সিনেটর বেন কার্ডিন, সিনেটর ক্রিস মারফি, সিনেটর ক্রিস ভ্যান হলেন ও সিনেটর জেফ মার্কলে।
বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ায় চিঠির শুরুতেই অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা। এতে ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করে ছাত্রদের ওপর সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
সিনেটররা লিখেছেন, যখন নাগরিকেরা একত্র হন, তখন তাদের কণ্ঠস্বর এমনকি সবচেয়ে অনমনীয় ও কর্তৃত্ববাদী নেতাদেরও ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করতে পারে। বাংলাদেশের এই রাজনৈতিক পরিবর্তন সংস্কারের জন্য একটি ঐতিহাসিক সুযোগ তৈরি করেছে। বাস্তবিক অর্থেই দেশে একটি রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তন আনার প্রয়োজন।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের জনগণ এমন একটি সরকারের যোগ্য যে তাদের কণ্ঠস্বরকে সম্মান করবে, তাদের অধিকার রক্ষা করবে এবং তাদের মর্যাদা সমুন্নত রাখবে। তবে বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতিতে ড. ইউনূসের প্রতি আরও কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন ওই সিনেটররা। হিন্দু সম্প্রদায়, কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাসহ ঝুঁকিতে থাকা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত জবাবদিহি করার ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
সিনেটররা চিঠিতে বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশিদের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একত্রিত হওয়ার মাধ্যমে এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার পুনর্গঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগানো সম্ভব।
আরটিভি/এসএপি-টি
নিউইয়র্কে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও জয়শঙ্করের বৈঠক, উঠতে পারে যেসব বিষয়
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করবেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তৌহিদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে টানাপোড়েন চলছে, তা অস্বীকার করা যাবে না। সে টানাপোড়েন কাটিয়ে ওঠার জন্য আলোচনা হবে। এ বিষয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবো।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের কাছ থেকে ফেরত চাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। যদিও ঢাকার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে দিল্লিকে কোনো অনুরোধ জানানো হয়নি।
তবে এ বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দৈনিক জাগরণ জানিয়েছে, বৈঠকে জয়শঙ্কর বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত অত্যাচারের বিষয়টি উত্থাপন করতে পারেন। এছাড়া ঢাকার সঙ্গে দিল্লির কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করবেন তিনি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কোনো বৈঠক হবে না।
আরটিভি/এসএপি-টি
বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উল্টো করে ঝোলাব: অমিত শাহ
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উল্টো ঝুলিয়ে সোজা করার হুমকি দিয়েছেন।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঝাড়খণ্ডে বিজেপি আয়োজিত এক নির্বাচনী সমাবেশে তিনি এই হুমকি দেন।
অমিত শাহ বলেন, ভোটব্যাংক হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে জেএমএম, আরজেডি এবং কংগ্রেস অনুপ্রবেশ বন্ধ করছে না। যদি আপনারা ঝাড়খণ্ডের সরকার পরিবর্তন করেন তাহলে আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, ঝাড়খণ্ড থেকে একজন একজন করে সব রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে বের করে দেবে বিজেপি।
তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে পরিবর্তন করা বা জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডির যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত সরকারের পরিবর্তে নির্বাচনে বিজেপিকে আনা উদ্দেশ্য নয়। ভোটারদেরকে দুর্নীতিবাজ সরকারকে সরিয়ে দিতে হবে। এমন একটি সরকার আনতে হবে যারা দুর্নীতি বন্ধ করবে।
ভারতের কেন্দ্রীয় এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে সরকার অনুপ্রবেশকারীদের মাধ্যমে উপজাতি মেয়ে এবং তাদের সংস্কৃতিকে ধ্বংস করছে তাদেরকে সরিয়ে দিয়ে পরিবর্তন আনতে হবে। চাকরির জন্য আমার উপজাতি ভাই ও বোনেরা দেশের বিভিন্ন অংশে যান। এর পরিবর্তে এমন একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে যে সরকার সাঁওতাল পরগণার জন্য কর্মসংস্থান নিয়ে আসবে। আমরা শুধু মুখ্যমন্ত্রীর পরিবর্তন চাই না। আমরা চাই ঝাড়খন্ডকে পাল্টে দিতে।
বিজেপির এই নেতা বলেন, সাঁওতাল পরগনার জনসংখ্যার শতকরা ৪৪ ভাগই ছিল উপজাতি। কিন্তু এখন তা নেমে দাঁড়িয়েছে শতকরা ২৮ ভাগে। ৫ বছরের জন্য ঝাড়খন্ডে আপনাদের উচিত বিজেপির সরকার গঠন করা। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, সাঁওতাল পরগনায় যেসব বাংলাদেশির অনুপ্রবেশ হয়েছে তাদেরকে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখবে আমাদের সরকার।
প্রসঙ্গত, সব ঠিক থাকলে আগামী নভেম্বর মাসে ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। তবে নির্বাচনের তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি। এরই মধ্যে আগেভাগে প্রচারণা শুরু করেছে বিজেপি। আর নির্বাচনী প্রচারণায় বরাবরের মতোই কথিত বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে কথা বলছেন দলটির নেতারা।
সূত্র: টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া, দ্য হিন্দু ও হিন্দুস্তান টাইমস
আরটিভি/আইএম