• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

দুই মাসে ৪০টি গ্রাম পুড়িয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী : এইচআরডব্লিউ

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ১১:৪৬

যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) বলছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গেলো দুই মাসে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের প্রমাণ পেয়েছে তারা। স্যাটেলাইটে তোলা ছবি বিশ্লেষণের পর এটি জানিয়েছে সংস্থাটি।

তারা বলছে, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে আরো ৪০টি গ্রামের ভবনসহ বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস করে দিয়েছে মিয়ানমার। ২৫ অগাস্টের পর রাখাইনে এ নিয়ে ৩৫৪টি গ্রাম আংশিক বা পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।

এই সময়ে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

সংস্থাটি বলছে, স্যাটেলাইট ছবিগুলো প্রমাণ করছে এই ধ্বংসযজ্ঞ এমন সময়ে চালানো হয়েছে যখন রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছে মিয়ানমার। গেলো ২৩ নভেম্বর ওই সমঝোতা হয়।

কিন্তু ২৫ নভেম্বর রাখাইনের মংডুর কাছে মিয়াও মি চ্যাঙ গ্রামে আগুন আর ঘরবাড়ি ধ্বংসের ছবি তুলেছে স্যাটেলাইট। পরের এক সপ্তাহের মধ্যে চারটি গ্রামে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে।

এইচআরডব্লিউ এর এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ব্রাড অ্যাডামস বলছেন, সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষরের সময়েও রাখাইন গ্রামে বার্মার সেনাবাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞ চালানো থেকে এটাই প্রমাণ হয়, রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার এই প্রতিশ্রুতি স্রেফ একটি প্রচারণা। রোহিঙ্গা গ্রামগুলো ধ্বংসের যেসব অভিযোগ বার্মার সেনাবাহিনী অস্বীকার করে আসছে, সেটাই প্রমাণ করে দিচ্ছে এসব স্যাটেলাইট ছবি।

মিয়ানমারের মংডু, বুথিডাং আর রাথিডাং শহরে আশেপাশের এক হাজার গ্রামের ওপর স্যাটেলাইটের তোলা ছবি বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পেয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। চলতি বছরের আগস্ট মাসের শেষের দিকে রাখাইনে সামরিক অভিযান শুরুর পর এসব গ্রামে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয়।

সম্পূর্ণ বা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ৩৫৪টি গ্রামের মধ্যে অন্তত ১১৮টি গ্রামে হামলা হয়েছে ৫ সেপ্টেম্বরের পর, যখন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলরের অফিস থেকে ঘোষণা দেয়া হয় যে রাখাইনে অভিযানের সমাপ্তি হয়েছে।

এইচআরডব্লিউ বলছে, আগস্ট থেকে রাখাইনে শুরু করা এই অভিযানের সময় বার্মার সেনাবাহিনী হত্যা, ধর্ষণ, গ্রেপ্তার আর ব্যাপক অগ্নিকাণ্ড চালিয়েছে। জাতিগত নিধনের এই অভিযান মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গেই সমতুল্য বলে মনে করছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে বেসরকারি দাতব্য প্রতিষ্ঠান মেদসঁ সঁ ফ্রঁতিয়ে (এমএসএফ) বলছে, মিয়ানমারে আগস্টে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর এক মাসে অন্তত ৬ হাজার সাতশ রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে। যার মধ্যে পাঁচ অথবা তার চেয়ে কম বয়সের শিশু ছিল ৭৩০ জন।

এ/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়ে যাবে তুরস্ক
মিয়ানমারে রাতভর গোলার শব্দ, টেকনাফ সীমান্তে আতঙ্ক
রোহিঙ্গাদের জন্য বিদেশি অনুদান কমছে : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
মিয়ানমার সংঘাতে সৃষ্ট উদ্বেগ জাতিসংঘকে জানাবে বাংলাদেশ
X
Fresh