কোটা সংস্কার আন্দোলন
দুজন নিহতের অভিযোগ, বিভ্রান্ত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে যেকোনো সহিংসতার নিন্দা জানাই। এই ছাত্র সহিংসতায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের নিয়ে আমরা চিন্তিত।’
সোমবার (১৫ জুলাই) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এসব কথা বলেছেন।
ম্যাথিউ মিলার বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশ যেকোনো বিকাশমান গণতন্ত্রের অপরিহার্য অংশ। আমরা ঢাকা এবং বাংলাদেশের আশেপাশে ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভের রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করছি যাতে, হামলা, দুজন নিহত এবং শত শত আহত হওয়ার খবর রয়েছে। যদিও বর্তমান ছাত্র বিক্ষোভের সময় কোনো মৃত্যুর বিষয়ে বাংলাদেশের মিডিয়া বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছ থেকে কোনো রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। এটি সামাজিকমাধ্যমে ছড়ানো গুজব কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
এর আগে, সোমবার কোটাবিরোধী আন্দোলনকে রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী আন্দোলনে পরিণত করার চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তরুণ শিক্ষার্থীদের আবেগকে কাজে লাগিয়ে সরকার কাউকে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে দেবে না।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেবে না। এই সরকার খুবই শক্তিশালী। তরুণ শিক্ষার্থীদের আবেগ নিয়ে খেলা করে কোনো রাজনৈতিক অপশক্তিকে দেশকে অস্থিতিশীল করতে দেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, রোববার রাতে কোটা আন্দোলনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দেওয়া হয়। ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে। এখানে রাজাকারদের পক্ষে স্লোগান দেওয়া রাষ্ট্রবিরোধী। এটা পরিষ্কার যে বিএনপি ও জামায়াতসহ রাজনৈতিক অপশক্তি কোটা আন্দোলনে ঢুকে পড়েছে, যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় এবং তাদের কিছু ভাড়া করা লোক এতে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
মন্তব্য করুন