• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

চীন সফরে যাচ্ছেন সু চি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২৭ নভেম্বর ২০১৭, ১৩:১০

মিয়ানমারের বেসামরিক সরকার অংশের প্রধান অং সান সু চি খুব ‘শিগগিরই’ বেইজিং সফর করবেন। সোমবার এমন তথ্য জানিয়েছে মিয়ানমারের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদ মাধ্যম দৈনিক গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার। খবর রয়টার্সের।

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমালোচনার মধ্যেই বেইজিং সফরে যাচ্ছেন সু চি।

বেইজিংয়ে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি আয়োজিত রাজনীতিকদের বিশ্ব ফোরামে সু চি যোগ দেবেন বলে কথা রয়েছে।

কিন্তু এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে সু চির মুখপাত্র জ হতয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জিনহুয়া জানিয়েছে, ওই বৈঠক আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।

গেলো সপ্তাহে মিয়ানমারের শক্তিশালী সেনাবাহিনীর প্রধান মিন অং হেইং চীন সফর করেন। তখন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং দেশটির শীর্ষ সেনা কর্মকর্তারা হেইংকে সমর্থন দেয়ার পাশাপাশি একসঙ্গে কাজ প্রতিশ্রুতি দেন।

এদিকে তিনদিনের সফরে আজ সোমবার মিয়ানমার পৌঁছেছেন পোপ ফ্রান্সিস। রোমান ক্যাথলিক চার্চে প্রধান বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে পোপ ফ্রান্সিসের এটি প্রথম সফর।

পোপ ফ্রান্সিসের আলোচ্যসূচিতে রোহিঙ্গা ইস্যুটি থাকার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত এই জনগোষ্ঠীর ওপর নির্মমতার বিষয়ে আওয়াজ তুলেছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। তাই এই সফরে তিনি রোহিঙ্গাদের নিয়ে কী বার্তা দেন সেটার দিকেই তাকিয়ে আছে বিশ্ব সম্প্রদায়।

এর আগে পোপ ফ্রান্সিসের এই সফরকে সামনে রেখে ইয়াঙ্গুনের আর্চবিশপ কার্ডিনাল চার্লস মং বো ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি উচ্চারণ না করতে তার প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের উপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংস অভিযান শুরুর পর থেকেই মূলত নেইপিদোর ওপর পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ চাপ দেয়া শুরু করে।

রাখাইনে ‘জাতিগত শুদ্ধি অভিযান’ চলছে বলে অভিযোগ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ। একইসঙ্গে তারা রাখাইনে হত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গ্রহণযোগ্য তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। এর আগে রাখাইনে এ ঘটনায় জন্য সেনাবাহিনী দায়ী বলে অভিযোগ করে আমেরিকা।

তবে রাখাইনে এই সেনা অভিযান বৈধ উল্লেখ করে এটির প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছে চীন। শুধু তাই নয় জাতিসংঘের একটি নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাবও আটকে দেয় দেশটি।

উল্লেখ্য, আদি জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের জাতিগত পরিচয় স্বীকার করে না মিয়ানমার। নাগরিক অধিকার ক্ষুণ্ণ করতে ‘বাঙালি’ হিসেবে রোহিঙ্গাদের পরিচিত করতে চায় নেইপিদো।

এ/এপি

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে জিনপিংকে নিষেধ করলেন বাইডেন
বিলিয়নেয়ারদের সংখ্যায় বিশ্বে তৃতীয় মুম্বাই
বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্ব শক্তিশালী হয়েছে : শি জিনপিং
রাশিয়ার সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্কের ঘোষণা চীনের
X
Fresh