• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রাখাইনে সমুদ্র বন্দরের ৭০ ভাগ মালিকানা চীনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৮ অক্টোবর ২০১৭, ১৩:৫৬

মিয়ানমারের রাখাইনে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি গভীর সমুদ্র বন্দরের ৭০ শতাংশের মালিকানা পেয়েছে চীন। চীনা সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, স্থানীয়দের ক্রমাগত চাপের কারণে প্রস্তাবিত অংশীদারিত্বের পরিমাণ কমে এসেছে। বন্দরের মালিকানা চীনের ৮৫ ভাগ পাওয়ার কথা ছিল। খবর রয়টার্সের।

সরকার নিয়ন্ত্রিত এই প্রকল্পের ভাইস চেয়ারম্যান ও মৌং বলেন, ৭২০ কোটি ডলারের প্রকল্পে মিয়ানমারের পক্ষে আরও বেশি মালিকানা চাওয়া হয়। তিনি বলেন, গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের বিষয়ে চীনের সিআইটিআইসি গ্রুপের নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে আলোচনায় শেয়ার বাড়ানোর চেষ্টা করেছে মিয়ানমার। গত সেপ্টেম্বর দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তি হয়।

তিনি আরও জানান, নতুন প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য মিয়ানমারের ভাইস প্রেসিডেন্ট হেনরি ভ্যান থিওরের কাছে পাঠানো হয়েছে। তবে প্রকল্পে অর্থায়ন নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

এর আগে গত মে মাসে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সিআইটিআইসি গ্রুপ কিয়াউকপু বন্দরের ৭০ থেকে ৮৫ শতাংশ মালিকানা চেয়েছে। আলোচিত ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই গুরুত্বপূর্ণ বন্দরের মালিকানা পেতে আগ্রহী চীন।

চীন ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড বাস্তবায়নের মাধ্যমে এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার দেশগুলোকে একটি বাণিজ্যিক অবকাঠামো নেটওয়ার্কে নিয়ে আসতে চায়। এর মাধ্যমে মূলত প্রাচীন সিল্ক রুট নতুন করে চালু হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্য থেকে জ্বালানি আমদানির জন্য মালাক্কা প্রণালি বাদ দিয়ে বিকল্প পথের জন্য বঙ্গোপসাগরের কিয়াউকপু বন্দর পেতে আগ্রহী চীন। এখানে চীনা তেল ও গ্যাস পাইপলাইনের সূচনা স্থল হবে। এছাড়া রাখাইনে একটি স্পেশাল ইকোনোমিক জোন তৈরি করতে চায় চীন।

এই অঞ্চলে চলমান রোহিঙ্গা সংকটের তেমন কোন প্রভাবই পড়েনি রাখাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় কিয়াউকপু বন্দর এলাকায়।

এ/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘাত, আতঙ্ক বাংলাদেশ সীমান্তে
X
Fresh