• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

হাইড্রোজেন চালিত বিশ্বের প্রথম দূষণমুক্ত ট্রেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১২ অক্টোবর ২০১৭, ১৩:৩৬

ট্রেনের ধোঁয়া বায়ু দূষণ করে এটা আমাদের সবার জানা। কিন্তু তাই বলে ধোঁয়ামুক্ত ট্রেন আবিষ্কার সম্ভব এটা কি কেউ জানতেন! বিষয়টি বিস্ময়কর মনে হলেও জার্মানি গেলো সেপ্টেম্বর মাসের ২০ তারিখে বার্লিনে রেলওয়ে নিয়ে এক ট্রেড-শোতে এমন এক ট্রেন প্রদর্শন করেছে যার জ্বালানি ডিজেল বা বিদ্যুৎ নয় বরং হাইড্রোজেন। খবর সিএনএন।

এই হাইড্রোজেন চালিত ট্রেনে ধোঁয়ার বদলে বের হবে ভাপ এবং ঘনীভূত পানি, যা পরিবেশবান্ধব। পরিবেশবান্ধব পরিবহন নিয়ে গবেষণায় আবিষ্কার হলো এই ট্রেন। যদিও এই ট্রেন সর্বপ্রথম যাত্রা করছে জার্মানিতে তবে এর নির্মাতা কিন্তু ফ্রান্সের আলস্টম নামের একটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ।

জ্বালানি হিসেবে হাইড্রোজেন ব্যবহারের ফলে ডিজেল ট্রেনের তুলনায় এই ট্রেনে ৬০ শতাংশ শব্দ দূষণ কম হবে।

এই ট্রেন একদিনে ৫০০ মাইল ট্রাভেল করতে পারবে। একসঙ্গে ২০০ যাত্রী বহন করতে সক্ষম ট্রেনটি। জার্মানির বিভিন্ন অঞ্চল ভিত্তিক পরিবহন কর্তৃপক্ষ অন্তত ৬০টি ট্রেনের জন্যে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।

মজার ব্যাপার হলো, এই ট্রেনের প্রধান জ্বালানি হাইড্রোজেন সংগৃহীত হবে কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের বর্জ্য থেকে। এই ট্রেনের কারণে শুধু বায়ুই দূষণ মুক্ত হবে তা নয়। বরং কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের বর্জ্যকেও পুনরায় ব্যবহার করা যাবে।

জার্মানিতে ডিজেল চালিত ট্রেন আছে ৪ হাজারটি। তবে হাইড্রোজেন চালিত এই ট্রেনের জন্যে আলাদা লাইনের প্রয়োজন হবে। এটা জার্মানির সাধারণ ট্রেন লাইন বা ইলেকট্রিক ট্রেন লাইনে চলতে পারবে না।

জার্মান কর্তৃপক্ষ ডিজেল ট্রেনের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে হাইড্রোজেন চালিত ট্রেন। যা ধোঁয়ার বদলে স্টিম বা ভাপ এবং ঘনীভূত পানি নির্গমন করবে।

আলস্টম কোম্পানির এই ট্রেন প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার বলেন, এটি এতোটাই পরিবেশ বান্ধব এরমধ্যে আপনার শ্বাস নিতে কোন কষ্ট হবে না।

আলস্টম কোম্পানির সিইও এবং চেয়ারম্যান হেনরি পপার্ট বলেন, ‘এটা পরিবেশের জন্যে দারুণ উপযোগী এক ট্রেন। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, আমরা এটা নিয়ে গবেষণার মাত্র ২ বছরের ভেতর একে বাস্তবে রূপ দিতে সক্ষম হয়েছি।’

এই ট্রেনের জন্যে আলাদা কোনো নকশা বা ডিজাইন কিংবা কাঁচামাল ব্যবহার করা হয়নি। ইলেকট্রিক ট্রেন যে কাঁচামাল বা নকশায় তৈরি হয়, হাইড্রোজেন ট্রেনও একই পদ্ধতিতে তৈরি হয়েছে। পার্থক্য শুধু দুই ট্রেনের জ্বালানি ভিন্ন। একটি চলে বিদ্যুৎ এবং ডিজেলের সহায়তায় এবং নির্গমন করে ধোঁয়া। আর অন্যটি চলে কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের বর্জ্য থেকে পাওয়া হাইড্রোজেন থেকে এবং নির্গমন করে ভাপ এবং ঘনীভূত পানি।

এপি/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh