• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বেনজির ভুট্টো হত্যায় জারদারি জড়িত : পারভেজ মোশাররফ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১০:৫৬

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো হত্যায় তার স্বামী পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা আসিফ আলি জারদারি জড়িত। এমনই দাবি করেছেন পাকিস্তানের সাবেক সেনাশাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফ। যিনি বেনজির হত্যার সময়টিতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

মোশাররফ বৃহস্পতিবার তার অফিসিয়াল ফেইসবুক পাতায় একটি ভিডিও পোস্ট করে এ দাবি করেন এবং বেনজির ভুট্টো হত্যাকাণ্ডের ফলে পিপিপি নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জারদারিই সবচেয়ে লাভবান হয়েছেন বলে মন্তব্য করেন।

বেনজির হত্যায় জড়িত থাকা নিয়ে মোশাররফ অভিযুক্ত হবার বেশকিছুদিন পর এ ভিডিও পোস্ট করলেন তিনি।

২০০৭ সালের ডিসেম্বরে রাওয়ালপিন্ডিতে এক নির্বাচনী সমাবেশের পরপরই বন্দুক ও বোমা হামলায় নিহত হন বেনজির ভুট্টো।

হত্যার ঘটনা তদন্তে তখন মোশাররফকে দোষী করা হয়। বলা হয়, মোশাররফ সরকার বেনজিরের অনুরোধ সত্ত্বেও তার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেনি। বিষয়টি নিয়ে ২০১৩ সালে মোশাররফের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

বৃহস্পতিবারের ভিডিওতে বেনজির-জারদারি দম্পতির তিন সন্তান, ভুট্টো পরিবার এবং সিন্ধুর জনগণের উদ্দেশ্যে সরাসরি বার্তায় মোশাররফ বলেন, ‘ভুট্টো পরিবারকে শেষ করে দেয়ার জন্য আসিফ আলি জারদারি দায়ী। তিনি বেনজির ভুট্টো এবং মুর্তজা ভুট্টো হত্যাকাণ্ডেও জড়িত।’

তিনি বলেন, ‘সবসময়ই কোনো হত্যাকণ্ড ঘটলে প্রথমেই যে বিষয়টি লক্ষ্য করা দরকার তা হচ্ছে, এ ঘটনা থেকে সবচেয়ে লাভবান হয়েছে কে। এক্ষেত্রে আমি ক্ষমতায় থাকায় সবকিছুই হারানোর মুখে ছিলাম। এ হত্যাকাণ্ড আমার সরকারকে কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছিল। মাত্র একজন মানুষই ছিলেন যার বেনজির হত্যাকাণ্ড থেকে সবকিছুই পাওয়ার ছিল। আর তিনি হচ্ছেন (বেনজির ভুট্টোর স্বামী) আসিফ আলি জারদারি।’

মোশাররফ আরো বলেন, ‘জারদারি ৫ বছর পাকিস্তানের ক্ষমতায় ছিলেন। তিনি এ হত্যা মামলাটি তদারক করলেন না কেন। তদন্তকাজ কেন এগোয়নি। কারণ, তিনি বেনজির হত্যায় জড়িত ছিলেন।’

গেলো ৩১ আগাস্টে বেনজির ভুট্টো হত্যা মামলায় অভিযুক্ত পাঁচ তালেবান সদস্যকে খালাস দেয়ার পাশাপাশি মোশাররফকে পলাতক ঘোষণা করে আদালত।

রাওয়ালপিন্ডির বিশেষ সন্ত্রাসবিরোধী আদালত প্রমাণের অভাবে দোষী সাব্যস্ত না হওয়ায় তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সন্দেহভাজন ওই সদস্যদের খালাস দেয়।

তবে হত্যাকাণ্ড ঠেকাতে ব্যর্থতার অভিযোগে দুইজন পুলিশ কর্মকর্তা দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাদেরকে ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেয় আদালত।

এপি/জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh