রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে জাতির উদ্দেশে আজ ভাষণ দেবেন সু চি
মিয়ানমারের ডি- ফ্যাক্টো সরকারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি রাখাইন রাজ্যে বিরাজমান সংকট নিয়ে আজ (মঙ্গলবার) জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।
গেলো শনিবার জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলছে, রাখাইনের সাম্প্রতিক সহিংসতায় প্রায় ৪ লাখ ১০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতির উদ্দেশে প্রথমবারের মতো ভাষণ দিতে যাচ্ছেন তিনি।
মিয়ানমারের সরকারি মুখপাত্র জানান, সু চি ভাষণে জাতিগত পুনর্মিলন ও শান্তিরক্ষা নিয়ে কথা বলবেন।
রোহিঙ্গাদের সমব্যথীরা মনে করছেন এখনো সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে অং সান সু চি’র মন্তব্যের গুরুত্ব রয়েছে। শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি এরই মধ্যে রোহিঙ্গা ইস্যুতে তার দীর্ঘ নীরবতার জন্য বিশ্বনেতাদের বিদ্রুপের শিকার হয়েছেন।
মঙ্গলবার এ ভাষণে কী থাকবে, তা নিয়ে মিয়ানমারের ভেতরে ও আন্তর্জাতিক মহলে নানা জল্পনা চলছে। প্রশ্ন উঠেছে, সু চি কী বলবেন? কী করবেন? তিনি কি তার দেশের উগ্রবাদীদের জাতিবিদ্বেষকে উসকে দেবেন, না আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়াবেন?
অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, সু চির পক্ষে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া সম্ভব হবে না। বিরুদ্ধে গেলে সেখানে আরেকটি সামরিক অভ্যুত্থান ঘটতে পারে। কিন্তু তাই বলে অহিংস আন্দোলনের নেত্রী কি হিংসার পথ বেছে নেবেন? তাহলে তো মিয়ানমারের নিপীড়ক সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের হাতে দেড় দশকেরও বেশি সময় বন্দী থাকা অং সান সু চির কোনো পার্থক্য থাকে না।
এখন সু চিই ঠিক করুন তিনি কী করবেন।
এপি/জেএইচ
মন্তব্য করুন