• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মিয়ানমারে অর্থনৈতিক ও অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দেয়া উচিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৪:০১

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করা উচিত। একইসঙ্গে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন বন্ধে দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দেয়া উচিত বলে আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।

নিজেদের ওয়েবসাইটে চলমান রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে এক প্রতিবেদনে এইচআরডব্লিউ জানায়, ২৫ আগস্ট আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির (আরসা) হামলার পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গণহারে অগ্নিসংযোগ, গণহত্যা, লুটপাট, গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গার জীবন বাঁচাতে আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে।

জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে বিশ্ব নেতারা নিউ ইয়র্কে সমবেত হয়েছেন। সোমবার এ অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা। এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, মিয়ানমার সঙ্কটকে এজেন্ডায় অগ্রাধিকার দেয়া উচিত জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে। একইসঙ্গে চলমান সহিংসতার বিরুদ্ধে নিন্দা জানাতে হবে। যাদের কাছে সহায়তা পৌঁছানো খুবই জরুরি তাদের কাছে মানবিক সহায়তায় পাঠানোতে বাধা দেয়ার নিন্দা জানাতে হবে।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, মিয়ানমারের সেনা কমান্ডারসহ নৃশংসতায় জড়িত সবার সম্পদ জব্দ করতে হবে। এক্ষেত্রে শুধু জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের দিকে তাকিয়ে অপেক্ষা করলে হবে না। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে ব্যবস্থা নিতে হবে। নৃশংসতায় দায়ীদেরকে আমেরিকার স্পেশাল ডিজাইনেটেড ন্যাশনালস (এসডিএন) তালিকায় নিতে হবে। একই পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও এর সদস্যদের।

এইচআরডব্লিউ আরো জানায়, জরুরি ভিত্তিতে এসব নৃশংসতার জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে। তাদের সম্পদ জব্দ করতে হবে। কার্যকর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা ও আর্থিক বিনিময়ের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে।

এইচআরডব্লিউর এশিয়া বিষয়ক পরিচালক জন সিফটন বলেছেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতি নিধন চালাচ্ছে মিয়ানমারের নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী। এখন সময় এসেছে আরো কঠোরতা আরোপ করা, যা এড়িয়ে যেতে পারবেন না মিয়ানমারের জেনারেলরা।

জন সিফটন বলেন, যদি প্রকৃত অর্থনৈতিক করুণ পরিণতি নেমে আসে তাহলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বানে মিয়ানমারের সিনিয়র সামরিক কমান্ডাররা মনোযোগী হতে পারে। এতে যারা জাতি নির্মূল করছেন তাদের ওপর প্রভাব পড়বে। এরইমধ্যে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ স্যাটেলাইটে পাওয়া বেশ কিছু ছবি বিশ্লেষণ করেছে। তাতে দেখা গেছে কমপক্ষে ২২০টি রোহিঙ্গা গ্রাম পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে ২৫ আগস্ট থেকে ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে।

ওয়াই/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ভাসানচরে রোহিঙ্গা নাগরিককে গলা কেটে হত্যা
৫ মাসের শিশু চুরির ৫ দিন পর উদ্ধার, ২ রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার
জাতিসংঘে ফের রোহিঙ্গা সংকট উত্থাপন বাংলাদেশের
ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের মাঝে পুলিশের ইফতার বিতরণ
X
Fresh