কথায় কাজ না হলে উত্তর কোরিয়ায় মার্কিন আক্রমণ অবধারিত
কূটনৈতিক কথাবার্তায় কাজ না হলে উত্তর কোরিয়ায় মার্কিন আক্রমণ অবধারিত। দেশটি পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর আগেই বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটা বলেছিলেন ট্রাম্প। আর পরীক্ষা চালানোর পর পেন্টাগন প্রধান মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস বললেন, উত্তর কোরিয়া আমেরিকার বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর প্রতি যে হুমকিই সৃষ্টি করুক, তার জবাব শক্তিশালী সামরিক প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে দেয়া হবে।
উত্তর কোরিয়া হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষা করার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক ব্রিফিংয়ের পর এ মন্তব্য করলেন তিনি।
উত্তর কোরিয়া বারবারই আমেরিকা ও জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে এসেছে। দেশটি এমন মিসাইল তৈরির দাবিও করেছে যা দিয়ে আমেরিকার মূল ভূখণ্ডেও আঘাত হানা সম্ভব।
তবে হোয়াইট হাউজের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ম্যাটিস বলেন, আমেরিকার নিজেকে এবং এর মিত্র দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানকে রক্ষা করার সম্পূর্ণ ক্ষমতা রয়েছে। অবশ্য এরপরও তিনি সবার আগে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা ও প্রয়োগ বন্ধের পক্ষে আশাবাদী উল্লেখ করে বলেন, ‘কারণ আমরা উত্তর কোরিয়া বা অন্য কোনো দেশের পুরোপুরি ধ্বংস চাইছি না।’
রোববার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ’র মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া জানায়, তারা একটি ছোট আকারের, কিন্তু খুবই শক্তিশালী হাইড্রোজেন বোমা তৈরি করতে সফল হয়েছে, যা দূরপাল্লার আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রে ওয়ারহেডে বসানো যাবে।
এ তথ্য প্রকাশের কিছু সময় পরই ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে উত্তর কোরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চল ও এর আশপাশের এলাকা। প্রথমে শুধু ধারণা থাকলেও পরে পিয়ংইয়াং জানায়, তারা পারমাণবিক বোমাটির পরীক্ষা চালিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার এ ঘটনায় বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ ও নিন্দার ঝড় অব্যাহত রয়েছে। ট্রাম্প টুইটারে লিখেছেন, উত্তর কোরিয়ার কথাবার্তা ও কর্মকাণ্ড দু’টোই বিপদজনক।
উত্তর কোরিয়াকে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে জাতিসংঘকে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জাই-ইন।
চীনও পারমাণবিক পরীক্ষার নিন্দা জানিয়েছে। সঙ্কট নিরসনে সব পক্ষকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া।
এপি/এসএস
মন্তব্য করুন