• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ঢল নিয়ে জাতিসংঘের উদ্বেগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২২:৩২

বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা প্রায় ৭৩ হাজারে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর। শুধু তাই নয় সংস্থাটি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছে এই হারে রোহিঙ্গারা পালিয়ে আসতে থাকলে তাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়া সংকটজনক হয়ে উঠবে।

এখনো অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসার পথে রয়েছে। বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অধিকাংশই নারী। স্কুল, মাদ্রাসা, খোলাস্থানে তারা আশ্রয় নিচ্ছেন।

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রাখাইনে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে, বিস্ফোরণের শব্দ আসছে, গ্রামের পর গ্রাম আগুনে পুড়ছে। ধোঁয়ার কুন্ডলী বর্ষার ধুসর আকাশে কালো হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে। রোহিঙ্গা মুসলমানরা জীবন বাঁচাতে ছুটছেন বাংলাদেশে, মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি ঝুঁকি আরো বাড়ছে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী ও রোহিঙ্গা মিলিশিয়াদের মধ্যে সংঘর্ষে।

রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বলছেন, তাদের গ্রামগুলো ঘেরাও করে একের পর এক আগুন লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে। বৌদ্ধ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বেসামকির নাগরিকদের নির্বিচারে হত্যা করছে। গেলো নয় দিন ধরে রোহিঙ্গা মুসলমানদের জনপ্রবাহ ছুটে আসছে বাংলাদেশে। হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান দাঁড়িয়ে আছে নোম্যানস ল্যান্ডে। যে ৪’শ রোহিঙ্গ বিদ্রোহীকে হত্যার কথা স্বীকার করছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ; তাদের কাছ থেকে কোনো অস্ত্র উদ্ধার, হামলার কোনো তথ্য প্রমাণ কিংবা তাদের কোনো তৎপরতার বিস্তারিত কিছুই প্রকাশ করছে না মিয়ানমার সরকার।

এই রকম পরিস্থিতির মধ্যে দেখা যায় ঈদের জামায়াতে কিছু রোহিঙ্গা মুসলমান অংশ নিয়েছেন। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র ভিভিয়ান তান বিবিসি’কে বলছেন, গেলো শুক্রবার অন্তত ২০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে আশ্রয়ের জন্যে ঢুকে পড়ে। তারা বলছেন, প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে বাধ্য হচ্ছি আসতে। করিম নামে এক রোহিঙ্গা যুবক বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধরা আমাদের ঘর বাড়িতে আগুন দিচ্ছে, আমাদের আগুনে পুড়িয়ে মারছে। আমার গ্রামে ১১০ জন রোহিঙ্গা মুসলমানকে হত্যা করা হয়েছে, তাই ভয়ে বাংলাদেশে পরিবার নিয়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছি। করিমের গ্রামের নাম কুন্নাপাড়া। উপকূলীয় শহর মংগদুর কাছেই গ্রামটি।

করিম আরো জানান, মিয়ানমার সেনাবাহিনী সবকিছু ধ্বংস করছে। দোকানপাট ও বাড়িঘর যা কিছু সামনে পড়ছে সব কিছু। ৮দিনের শিশুকে নিয়ে আমার পরিবার নিয়ে বাংলাদেশে এসেছি। সঙ্গে রয়েছেন আমার বৃদ্ধ মা যার বয়স ১০৫ বছর।

করিমের এসব কথার প্রমাণ মেলে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের উপগ্রহ থেকে তোলা রোহিঙ্গা গ্রামের ৭’শ বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়ার ছবি থেকে। কক্সবাজারের ডেপুটি কমিশনার আলী হোসেইন জানান, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে বাংলাদেশকে এখন রীতিমত সংগ্রাম করতে হচ্ছে।

এপি/জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh