ইংলাক কোথায় জানে না সরকার
থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা কোথায় আছেন সে সর্ম্পকে জানে না দেশটির সরকার। এমনটা বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রায়ুত ওয়াংসুয়ান।
সোমবার সংবাদ সম্মেলনে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রায়ুত ওয়াংসুয়ান বলেন, ‘ইংলাক কোথাও পালিয়ে গেছেন বা তিনি কোথাও আশ্রয় চেয়েছেন কিনা আমরা তা জানি না। আমরা তার বাইরে আশ্রয়ের বিষয়ও কোনো আলোচনা শুরু করিনি।’
দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে একটি মামলার শুনানিতে গেলো শুক্রবার আদালতে হাজির না হওয়ায় ইংলাকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এদিন ওই মামলার রায় দেয়ার কথা ছিল। ওই দিন তার আইনজীবীরা আদালতে তার অসুস্থতার কথা বলেছিলেন। যদিও এ সংক্রান্ত কোনো প্রমাণ তারা উপস্থাপন করতে পারেননি। একদিন পরই ইংলাকের দল পুয়ে থাই পার্টির এক সদস্যের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, গেলো সপ্তাহেই সিঙ্গাপুর হয়ে দুবাইয়ে ভাইয়ের বাড়ি পৌঁছে গেছেন তিনি।
ইংলাকের ভাই থাকসিন সিনাওয়াত্রাও থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। ২০০৮ সালে দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাদণ্ডের বদলে দুবাইয়ে স্বেচ্ছা নির্বাসন বেছে নেন থাকসিন। ২০১১ সালে থাইল্যান্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হন ইংলাক। চালে ভর্তুকি প্রকল্পে লাখ লাখ ডলার অনিয়মের অভিযোগ উঠার পর ২০১৪ সালে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।
ইংলাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিজের সমর্থক কৃষকদের খুশি করতে চাল ক্রয় প্রকল্পে আন্তর্জাতিক বাজার দরের চেয়ে বেশি মূল্যে চাল কিনেছিল ইংলাক সরকার। এতে সরকারি গুদামে চাল উপচে পড়ে, কিন্তু বেশি দামে কেনায় আন্তর্জাতিক বাজারে সেই চাল রপ্তানি করা যায়নি। বর্তমানে ক্ষমতাসীন সামরিক সরকারের অভিযোগ, এর মাধ্যমে রাষ্ট্রের অন্তত ৮শ কোটি ডলার অপচয় হয়েছে। চাল ক্রয় সংক্রান্ত অন্য একটি মামলায় শুক্রবারই ইংলাকের সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রীকে ৪২ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত।
এপি/এমকে
মন্তব্য করুন