• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী শহিদ খাকান আব্বাসী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ২৯ জুলাই ২০১৭, ১৯:১২

অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হলেন পাকিস্তান মুসলিম লীগের নেতা শহিদ খাকান আব্বাসী। নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণার আগ পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, দলের সঙ্গে আলোচনার পর সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী নিজেই তার নাম ঘোষণা করেন।

এদিকে নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ শরিফ জাতীয় পরিষদের সদস্য হওয়ার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে কোন অসুবিধা হবে না। কারণ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সংখ্যা গরিষ্ঠতা রয়েছে নওয়াজ শরিফের দলের।

দেশটির নিয়ম অনুযায়ী, জাতীয় পরিষদের সদস্য না হলে কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন না।

অন্যদিকে শাহবাজ শরিফ বর্তমানে পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সেই পদ ছাড়লে ওই পদে আনা হতে পারে মুজতবা সুজাউর রহমানকে।

১৯৫৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর জন্ম নেয়া শহিদ খাকান আব্বাসী সবশেষ নেওয়াজ সরকারের পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক সম্পদমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

২০০৮ সালের গিলানি প্রশাসনের প্রতিরক্ষা উৎপাদন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮ সালে প্রথমবার দেশটির সাধারণ নির্বাচন করে জয় লাভ করেন মুসলিম লীগের নেতা।

১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেছেন শহিদ।

শুক্রবার দেশটির সুপ্রিমকোর্ট অযোগ্য ঘোষণার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান নওয়াজ শরীফ।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, আদেশের বিষয়ে ‘আপত্তি’ থাকলেও নওয়াজ শরিফ সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

২০১৫ সালে পানামার ল ফার্ম মোসাক ফনসেকার কিছু নথি ফাঁস হয়ে আলোড়ন পড়ে যায় গোটা বিশ্বে। তাতে বিভিন্ন বিদেশি সংস্থায় রাজনীতিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রের প্রথম সারির ব্যক্তিত্বদের বিনিয়োগ নিয়ে তথ্য ছিল। পানামা নথি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় নওয়াজ শরিফের গোটা পরিবারের। বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে শরিফ-পরিবার লন্ডনে প্রচুর সম্পত্তি কিনেছেন বলে অভিযোগ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নওয়াজের বিরুদ্ধে তদন্তের আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় পাকিস্তানের দুই বিরোধী দল আওয়ামি মুসলিম লিগ আর জামাতে ইসলামি।

পরে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক এ ইনসাফও (পিটিআই) পৃথকভাবে একটি জনস্বার্থ আবেদন জমা দেয়। পানামা নথি মামলায় চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই নওয়াজকে বরখাস্ত করতে বলেছিলেন পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি আরিফ সাঈদ খান খোসা।

শীর্ষ আদালতের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এ বিষয়ে একমত হয়নি। তাই বিদেশে বিপুল সম্পত্তি ও আয়ের উৎস নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগে শরিফ-পরিবারের বিরুদ্ধে যৌথ তদন্তকারী দল গঠনের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তদন্তকারী দলের রিপোর্ট আগেই জমা পড়েছিল।

শুক্রবার নওয়াজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী পদের অযোগ্য বলে ঘোষণা করেছে পাক সুপ্রিম কোর্ট। এতে বলা হয়েছে, ২০১৩ সংসদীয় নির্বাচনে শরিফ তার মনোনয়নপত্রে সৌদি আরবের একটি সংস্থা থেকে প্রাপ্ত অর্থের কথা গোপন করেছিলেন।

আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইশাক দার এবং শরিফের জামাতা ক্যাপ্টেন মোহম্মদ সফদরের সাংসদ পদও খারিজ করে দিয়েছেন ওই পাঁচ বিচারপতি।

দেশটির দুর্নীতি দমন ব্যুরোকে শরিফের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছেন শীর্ষ আদালত। মামলা রুজু হবে শরিফের দুই ছেলে হাসান ও হুসেন নওয়াজ, মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ শরিফ ও তার স্বামী মোহম্মদ সফদরের বিরুদ্ধেও।

ওয়াই/এসজে/কে

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ভোট চাইতে গিয়ে প্রতিশ্রুতির বন্যা নওয়াজ শরীফের
X
Fresh