• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

তুষারপুরীর বাসিন্দারা

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ২৮ জুলাই ২০১৭, ১২:০০

ওয়মায়াকোন। পৃথিবীর সবচে’ শীতল গ্রাম। ‘ঠাণ্ডার শেষ সীমা’ হিসেবে পরিচিত রাশিয়ার ইয়াকুৎস্ক প্রদেশের গ্রামের গড় তাপমাত্রা মাইনাস ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড আছে মাইনাস ৭১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের।

সারা বছরই নাক-কান-গলাসহ পুরো শরীর মুড়িয়ে থাকতে হয় ওয়মায়কোনবাসীদের। তীব্র শীতের কারণে গাড়ির স্টার্ট করতে সময় লাগে বলে তা বন্ধ করা হয় না। মুহূর্তেই জমে যায় পানি-কলমের কালি। সেকেন্ডেই ঘোলা হয় চশমার কাঁচ। মোড়ক খোলার কিছুক্ষণের মধ্যে নষ্ট হয় ব্যাটারি। এমন কি সেখানে কাজ করে না মোবাইল ফোনের ব্যাটারিও।

উষ্ণ প্রস্রবণের জন্য দুর্গম গ্রামটি ছিলো বল্গা হরিণের পানি পানের স্থান। ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশের দশকে এখানে বসতি গড়ে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন সরকার। বর্তমানে প্রায় পাঁচশো মানুষের বাস গ্রামটিতে। আছে স্কুলও।

কেবল জমাট বাঁধা শীতই নয় ওয়মায়কোনবাসীর জীবন কষ্ট-সহ্যের চরম উদাহরণ হলো প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় ফসল না হওয়ায়। সেখানকার স্থানীয়দের খাবার বলতে বল্গা হরিণ, ঘোড়ার মাংস, পোষা প্রাণীর দুধ ও মাছই ভরসা। বল্গা হরিণ পালন, শিকার ও মাছ ধরা তাদের প্রধান জীবিকা। বরফের আস্তরণ ভেঙে মাছ ধরেন শিকারিরা।

হাড় হিম করা ঠাণ্ডাতেই অভ্যস্ত সেখানকার মানুষ।নিজেদের গরম রাখতে বাসা-বাড়িতে আগুন জ্বলে সবসময়। ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে ফারের পোশাকই ভরসা স্থানীয়দের। পায়ে পড়েন বিশেষ ধরনের জুতা।

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাড়ে সাতশো মিটার উঁচু গ্রামটিতে গরমে ২১ ঘণ্টা সূর্য থাকলেও শীতে থাকে মাত্র তিন ঘণ্টা। এমন অবস্থার কারণেই ওয়মায়কোন টেনে আনে পর্যটকদের। আর নতুন সূর্যের অপেক্ষায় থাকেন তুষারপুরীর বাসিন্দারা।

আরকে/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh