ইতিহাস কখনও রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধ ভুলবে না : ইইউ
‘ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধ ইতিহাস কখনও ভুলবে না’ বলে মন্তব্য করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতা চার্লস মিশেল।
বুধবার (২০ এপ্রিল) ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী চার্লস মিশেল এক টুইটবার্তায় বলেন, যুদ্ধাপরাধের অসংখ্য নজির ইউক্রেনের চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ইতিহাস কখনও রাশিয়ার এসব যুদ্ধাপরাধ ভুলবে না।
তিনি বলেন, রাশিয়া যা করছে, অবশ্যই এসবের বিচার হওয়া উচিত। ন্যায়বিচার ছাড়া শান্তি প্রতিষ্ঠা হতে পারে না।
এদিকে কিয়েভ ও তার আশপাশের এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে রুশ সেনারা সরে যাওয়ার পর বুচা ও বোরোদিয়ানকায় ১২শ’র বেশি মানুষের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নারী ও শিশুও রয়েছে।
উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ২০০৮ সাল থেকে আবেদন করে ইউক্রেন। মূলত, এ নিয়েই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তবে সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়ে। ন্যাটোর সদস্যপদের আবেদন প্রত্যাহারে চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। ঠিক তার দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে।
এদিকে রাশিয়া দাবি করেছে, যুদ্ধে ইউক্রেনের ২৩ হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছে। অন্যদিকে ইউক্রেনও দাবি করে, যুদ্ধে রাশিয়ার ২০ হাজার ৯০০ রুশ সেনা নিহত হয়েছে। সূত্র: এএফপি, সিএনএন, এনডিটিভি
মন্তব্য করুন