• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

বাল্যবিবাহ চলছেই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ১৯ জুন ২০১৭, ১৪:২১

সমীক্ষায় দেখা গেছে, ভারতে বাল্যবিবাহের সংখ্যা ২ কোটি ৩০ লাখের মতো - যা বিশ্বের মোট বাল্যবিবাহের প্রায় ৪০ শতাংশ৷ বাল্যবিবাহের সঙ্গে বিভিন্ন নেতিবাচক দিক সম্পৃক্ত থাকায় ভারতের মত দেশে গুরুতর সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে৷

জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল ইউএনএফপিএ মনে করে, ভারতে বাল্যবিবাহের প্রবণতা চলতে থাকলে ২০২০ সালের মধ্যে ১৪ কোটি নাবালিকার বিয়ে হয়ে যাবে, যার মধ্যে ১ কোটি ৮৫ লাখের বয়স হবে ১৫ বছরের নীচে৷

উন্নত বিশ্বে একমাত্র স্কটল্যান্ডেই বাল্যবিবাহ বৈধ৷ ভারতে মধ্যযুগ থেকেই এই বাল্যবিবাহ প্রথা চলে আসছে৷ মুসলিম শাসকদের আমলে এবং সামন্ত-প্রধান সমাজে এটা সবথেকে বেশি হতো নানা কারণে৷

মুসলিম শাসনকালে অনেক সময় জোর করে হিন্দু মেয়েদের ধর্মান্তরিত করা হতো৷ নাবালিকা মেয়েদের কুমারিত্ব বা আব্রু রক্ষায় এবং অপহরণ রোধে ছোট বয়সেই বিয়ে দেয়া হতো৷

হিন্দু সমাজে জাতিভেদ প্রথাও বাল্যবিবাহের অন্যতম কারণ বলে মনে করেন সমাজতত্ত্ববিদরা৷

সমজাতের মধ্যে বিয়ে দিতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে মেয়ের মা-বাবা কম বয়সে মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেন৷ সেটা এখনো বহাল আছে৷

সরকারি নিধেধাজ্ঞার পরও ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজারাটে চলছে বাল্য বিবাহ। বিবিসির ফাওজান হুসেইন সেখানকার একটি বাল্যবিয়ে নিয়ে তৈরী করেছেন ফটোফিচার।

ভারতের গুজারাট রাজ্যের কাছ্‌ এলাকায় যে রাবারি উপজাতির বসবাস, তাদের মধ্যে এখনও বাল্যবিবাহের প্রচলন রয়েছে।

ভারতে বিয়ের আইনগত বয়স নারীদের ক্ষেত্রে নূন্যতম ১৮ বছর এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে নূন্যতম ২০ বছর।

যদিও বাল্যবিবাহের ঘটনা এখন কমছে, কিন্তু আদম শুমারি অনুযায়ী এখনও বিবাহিত নারীদের এক তৃতীয়াংশের বিয়ে ১৮ বছরের আগেই হয়ে যায়।

ফটোগ্রাফার ফওজান হোসেন কাছ্‌ এলাকায় দু'টি শিশুর বিয়ের ছবি তুলেছেন। ভোর বেলায় বালক বর একটি গাড়িতে চড়ে কনের গ্রামে গিয়ে হাজির হয়।

বর পক্ষের মহিলারা আলাদা একটি ভ্যানে চড়ে আসেন। ভারত সরকার বলছে, বাল্যবিবাহের ফলে দারিদ্র্য দূরীকরণ, সার্বজনীন শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা, শিশুর সুরক্ষা এবং নারী স্বাস্থ্যের মতো কর্মসূচিগুলো ব্যহত হচ্ছে।

দীর্ঘ পথের ক্লান্তিতে বর এক সময় ঘুমিয়ে পড়ে। তারা বাবা তখন পাখা দিয়ে তাকে বাতাস করতে থকে। ভারতের প্রশাসন বলছে, বাল্য বিবাহের ফলে মেয়েরা যে নির্যাতন, শোষণ ও সহিংসতার শিকার হয় এমন প্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে।

ঘুম থেকে ওঠার পর মাথায় পাগড়ি পরার পালা। রাজস্থান এবং গুজারাটের মত রাজ্যে বাল্য বিবাহের সাথে বর্ণ ও উপজাতি সম্পর্কের একটা যোগসূত্র রয়েছে।

কনেকে তার বাবা নিজেই শূণ্যে তুলে বিয়ের আসরে নিয়ে আসে।

বিয়ের আনন্দ ফূর্তির ফাঁকে কনের সখীরা ব্যস্তু তাস নিয়ে।

বিয়ের আসরে প্রথমবারের মতো বর আর কনের শুভদৃষ্টি বিনিময়।

বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর চলে ভোজন পর্ব।। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যগুলোর একটি হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে বাল্য বিবাহ সম্পূর্নভাবে বিলোপ করা।

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh