এবার ইউক্রেনকে ভয়ংকর ড্রোন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
শক্তিশালী রুশ বাহিনীকে পরাস্ত করতে এবার ইউক্রেনকে ১০০টি ভয়ংকর ট্যাংকবিধ্বংসী সুইচব্লেড ড্রোন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আত্মঘাতী এই ড্রোন ‘কামিকাজে ড্রোন’ নামে পরিচিত।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড জে. অস্টিন জানিয়েছেন, ভয়ংকর এই কীভাবে চালাতে হয় তা শেখানো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ইউক্রেনীয়দের।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ‘কামিকাজে ড্রোন’ একটি ব্যাকপ্যাকে ফিট করা যায়। এটি অপারেটর থেকে কয়েক মাইল দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে এবং সেটিকে অগ্রসর হতে থামিতে দিতে পারে। এই ড্রোনের সামনের অংশে ট্যাংকবিধ্বংসী এক ধরনের ব্লেড ব্যবহার করা হয়।
বিশ্বে এমন কিছু ড্রোন আছে, যা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা যায়। নিজেই ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে কাজ করা এ ড্রোনগুলোকে ‘কামিকাজে’ বা আত্মঘাতী ড্রোন বলা হয়।
এই ড্রোনকে ‘সুইচব্লেড ড্রোন’ও বলা হয়। এগুলো ছোট মানববিহীন বিমান যা বিস্ফোরকে পরিপূর্ণ থাকে। এটি ‘কিলার ড্রোন’ হিসেবেও পরিচিত।
উড্ডয়ন শুরুর সময় এদের ডানাগুলো ব্লেডের মতো বেরিয়ে আসে বলে এগুলোকে ‘সুইচব্লেড ড্রোন’ বলা হয়। লক্ষ্যবস্তুকে সরাসরি আঘাত হানতে সক্ষম এই আত্মঘাতী ‘কামিকাজে ড্রোন’।
একটি ট্যাংক মুহূর্তে গুঁড়িয়ে দিতে বা শত্রু সেনাবাহিনীর একটি দল নিমিষের মধ্যে ধ্বংস করতে সক্ষম এই ড্রোন। একবারই ব্যবহারযোগ্য এই ড্রোন আমেরিকার অন্য ড্রোনগুলোর তুলনায় অনেকটাই সস্তা।
এনভায়রনমেন্ট সংস্থা এই ‘কামিকাজে ড্রোন’-এর প্রস্তুতকারক। এই ড্রোনটি মূলত দুটি আকারে পাওয়া যায়। সুইচব্লেড ৩০০ এবং সুইচব্লেড ৬০০।
সুইচব্লেড ৩০০-এর ওজন প্রায় পাঁচ পাউন্ড (প্রায় আড়াই কিলোগ্রাম)। অপেক্ষাকৃত হালকা ড্রোনটি টানা ১৫ মিনিট পর্যন্ত উড়ে যেতে পারে। যা একটি পিঠের ব্যাগের মধ্যে বহন করা যায়।
শত্রুপক্ষের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে ছোট পদাতিক সেনাদলকে সাহায্য করে এই ড্রোন। এগুলো টানা ৪০ মিনিট পর্যন্ত উড়তে পারে। এটি ‘ভ্রাম্যমাণ মিসাইল’ হিসেবেও পরিচিত। প্রধানত শত্রুপক্ষের কামান ধ্বংস করতে এই মিসাইলের জুড়ি মেলা ভার। ছোট প্রাণঘাতী এই ড্রোনগুলো রাডারে শনাক্ত করা কঠিন। হস্তক্ষেপ ছাড়াই লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে।
সূত্র: সিএনবিসি
মন্তব্য করুন