• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

কপ-২৬ সম্মেলন ব্যর্থতার ঝুঁকিতে, সতর্কতা বরিস জনসনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ০১ নভেম্বর ২০২১, ১৫:৪১
কপ-২৬ সম্মেলন ব্যর্থতার ঝুঁকিতে, সতর্কতা বরিস জনসনের
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (ফাইল ছবি)

কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলন ব্যর্থতার গুরুতর ঝুঁকিতে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সোমবার (১ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে জনসন এ সতর্কবার্তা দেন বলে খবর প্রকাশ করেছে দ্য গার্ডিয়ান।

বরিস জনসন বলেছেন, কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলন ব্যর্থতার গুরুতর ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ দেশগুলো এখনও বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে সীমাবদ্ধ করার জন্য যথেষ্ট প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে না।

স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে রোববার শুরু হয়েছে বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৬। এই সম্মেলন চলবে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত। বিশ্বের প্রায় ২০০ দেশের নেতারা এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। এই সম্মেলনে তারা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নিজেদের পরিকল্পনা তুলে ধরছেন।

কপ-২৬ সম্মেলন শুরুর আগে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ইতালির রাজধানী রোমে জি-২০ ভুক্ত দেশের নেতারা বৈঠকে একত্রিত হন। ওই বৈঠকের পর জনসন জানান, বিশ্বনেতারা জলবায়ু পরিবর্তন রোধে লক্ষ্য অর্জনের প্রতিশ্রুতি দিতে রাজি হচ্ছেন না। জলবায়ু পরিবর্তনে তাদের অগ্রগতি ছিল খুবই সামান্য।

জি-২০ ভুক্ত দেশের মধ্যে মাত্র ১২টি দেশ সেই বৈঠকে ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় আনার অঙ্গীকার করে। এ ছাড়া চীন, সৌদি আরবসহ অন্যান্য দেশ ২০৬০ সালের মধ্যে লক্ষ্য অর্জনের আনুষ্ঠানিক অঙ্গীকার করে।

সংবাদ সম্মেলনে জনসন বলেন, ‘কার্বন নিঃসরণ কমানোর বিষয়ে বিশ্বনেতাদের অঙ্গীকার আরও জোরালো হওয়া উচিত। ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ কমাতে দেশগুলোর বলিষ্ঠ ও অর্থপূর্ণ অঙ্গীকার করা জরুরি।’

একই সঙ্গে জনসন বিশ্বনেতাদের প্রতি কয়লার ওপর নির্ভরতা কমানো, বৈদ্যুতিক যান তৈরি, বন উজাড় বন্ধ, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঝুঁকিতে থাকা উন্নয়নশীল দেশে অর্থসহায়তা দেয়া- বিষয়গুলোতে অঙ্গীকারের আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘যেসব দেশ অতীতে ও বর্তমানে বায়ুমণ্ডলে কার্বন নিঃসরণ বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী, সেসব দেশ এখনও জলবায়ু বিপর্যয় ঠেকাতে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা যদি কপ২৬ সম্মেলনকে ব্যর্থ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে চাই, তাহলে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বিশ্বনেতাদের অবশ্যই অর্থপূর্ণ প্রতিজ্ঞা ও সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে। কপ-২৬ ব্যর্থ হলে আমাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হতে বাধ্য। প্যারিস চুক্তির আর কোনো প্রাসঙ্গিকতাই থাকবে না।’

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তিতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা সম্ভব হলে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার অঙ্গীকার করেছিলেন বিশ্বনেতারা। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
ডব্লিউএস/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
পাকিস্তানে ব্রিটিশ নাগরিকদের ভ্রমণে সতর্কতা
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের শঙ্কা, ভ্রমণে সতর্কতা
ইসরায়েলে কর্মরত মার্কিনীদের সতর্কতা যুক্তরাষ্ট্রের
ঈদের ছুটিতে নিরাপদে ভ্রমণের জন্য কিছু সতর্কতা
X
Fresh