• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

চাকরি আছে, কর্মী নেই অস্ট্রেলিয়ায়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ২৭ অক্টোবর ২০২১, ২২:৩৪
চাকরি, আছে, কর্মী, নেই, অস্ট্রেলিয়ায়,
ছবি: সংগৃহীত

করোনা মহামারির পর অস্ট্রেলিয়ায় খুলছে রেস্টুরেন্ট, স্টেডিয়ামসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলো৷ কিন্তু সেগুলো পুরোদস্তুর চালু করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন উদ্যোক্তা ও ব্যবস্থাপকরা৷ দেখা দিয়েছে প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাব৷

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে জানায়, করোনার সময় বিপুল মৌসুমি কর্মী আর বিদেশি শিক্ষার্থীরা অস্ট্রেলিয়া ছেড়েছেন৷ সীমান্তে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের কারণে নতুন শিক্ষার্থী বা কর্মীরা এই সময়ের মধ্যে আসতে পারেননি৷ যারা গিয়েছেন তাদের অনেকেও ফিরে আসেননি৷ যে কারণে মৌসুমি কর্মী সংকটে পড়েছে বিভিন্ন ব্যবসা খাত৷ প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি চালু হলেও প্রয়োজনীয় কর্মী ছাড়াই তাই কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হচ্ছে অনেককে৷

আতিথেয়তানির্ভর খাতের জন্য কর্মী ভাড়া করে এমন একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক রোনডা এভারিংহাম৷ পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘লকডাউনের আগে একটি চাকরির বিজ্ঞপ্তি দিলে কয়েকশ’ আবেদন জমা পড়তো৷ এখন যদি পাঁচটি পাওয়া যায় তাহলেই আপনি সৌভাগ্যবান৷ এর মধ্যে তিনটি পাবেন উপযুক্ত৷ যেই সময় আপনি তাদের ডাকবেন ততক্ষণে দেখা যাবে তারা অন্য কোনো চাকরি পেয়ে গেছেন৷’

সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনির দুইটি বড় শহর ও মেলবোর্নের সেবানির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো৷ গত ১১ অক্টোবর সিডনি ও গত সপ্তাহে মেলবোর্নে কোভিডের নিয়ম শিথিল করা হয়েছে৷

কর্মী সংকটের মাঠের এই চিত্র ধরা পড়েছে দেশটির সরকারি পরিসংখ্যানেও৷ ‘নন-রেসিডেন্ট'কাজের ভিসায় আগতদের সংখ্যা ২০২০ সালের শুরুর তুলনায় চলতি বছরের জুন প্রান্তিকে দুই তৃতীয়াংশ কম ছিল৷ সেই সঙ্গে দেশটিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা করোনার আগের সময়ের চেয়ে তিন লাখ কমে গেছে৷

অস্ট্রেলিয়ার ২২ লাখ অনিয়মিত কর্মীর এক চতুর্থাংশই বাস করেন সিডনিতে৷ চার মাসের লকডাউন শেষে শহরটিতে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরুর অনুমতি মিলেছে৷ ২৫ অক্টোবর সাড়ে ২২ হাজার দর্শক নিয়ে ফুটবল ম্যাচ আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রথম বড় আয়োজনটি হতে যাচ্ছে৷ এজন্য ৭৩০ জন রাঁধুনি, পরিচ্ছন্নতা বা নিরাপত্তাকর্মী প্রয়োজন৷

একই সময় অন্য কোনো বড় আয়োজন না থাকায় এই লোকবল জোগাড় করতে পেরেছেন তারা৷ কিন্তু একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি জানান, আতিথেয়তা ব্যবসায় প্রত্যেকেই এখন কর্মী চ্যালেঞ্জে রয়েছেন৷

এমন অবস্থায় নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্য সরকার এবার বড় সংখ্যক বিদেশি শিক্ষার্থী নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে৷ সেই সঙ্গে কর্মী চাহিদা মেটাতে এক বছরে চার লাখ অভিবাসীকে নিতে চান তারা, যা কোভিড পূর্ববর্তী সময়ের চেয়েও দ্বিগুণ৷ কিন্তু সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, এই মুহূর্তে দেশটির নাগরিক, বাসিন্দা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরাই শুধু অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন৷

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

এনএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা একসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন
নারী কর্মীদের বোরকা ও নেকাব পরা নিষিদ্ধ করল চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল
বে গ্রুপে একাধিক পদে চাকরি, কর্মস্থল ঢাকা
X
Fresh