• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

গাজার সঙ্গে যে কারণে সীমান্ত বন্ধ করে দিলো মিশর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ২৩ আগস্ট ২০২১, ২৩:৫৮
গাজার সঙ্গে যে কারণে সীমান্ত বন্ধ করে দিলো মিশর
আল জাজিরা থেকে নেয়া

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার সঙ্গে নিজেদের প্রধান সীমান্ত পারাপার বন্ধ করে দিয়েছে মিশর। উপত্যকার শাসকগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে উত্তেজনার জেরে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মিশরীয় কর্মকর্তারা। চলতি বছরের শুরুতে এই প্রথম কোনও কর্মদিবসে বন্ধ করে দেয়া হলো রাফাহ সীমান্ত পারাপার। গত মে মাসে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে ১১ দিনের যুদ্ধের সময়ও এই সীমান্ত খোলা রেখেছিল মিশর। খবর আল জাজিরার।

মিশরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কায়রো দীর্ঘদিন ধরেই ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী একটি যুদ্ধবিরতির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আর সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার জন্য এই ইস্যুটিই জড়িত। তবে ঠিক কতদিন এই সীমান্ত বন্ধ থাকবে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি মিশরীয় কর্মকর্তারা। একজন কর্মকর্তা বলেছেন, হামাসের ওপর চাপ প্রয়োগের জন্যই এমন কাজ করেছে মিশর।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তারা এই ইস্যুতে বার্তা সংস্থা এপির সঙ্গে কথা বলেছেন। এর আগে মিশরের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানায়, শুক্রবার এবং শনিবার বন্ধ থাকার রোববার খুলেছিল ওই সীমান্ত পারাপার। হামাস সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র ইয়াদ আল-বোজুম বলেছেন, হামাসকে সীমান্ত বন্ধের ব্যাপারে জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, রাফাহ সীমান্ত পুনরায় খুলে দেয়ার বিষয়ে মিশরীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তারা আলোচনা চালাচ্ছেন।

আল-বোজুম বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার ফলে গাজা উপত্যকার ভেতর মানবিক সংকট আরও প্রকট হবে। আমরা আশা করি এই সীমান্ত যত দ্রুত সম্ভব খুলে দেয়া হবে। গত মে মাসে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের সময় রাফাহ সীমান্ত খোলা রেখেছিল মিশর যাতে করে গাজার আহত ফিলিস্তিনেদের মিশরের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া যায় এবং তাদের সাহায্য পৌঁছানো যায়।

গাজার পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘাতের পর মিশর তাদের রাফাহ সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেয়। গত শনিবার হামাসের একটি বিক্ষোভ থেকে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ওই অঞ্চলে ইসরায়েলি-মিশরীয় অবরোধের বিরুদ্ধে ওই বিক্ষোভ আয়োজন করেছিল হামাস। কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি ইসরায়েলের সীমান্তের দিকে অগ্রসর হয়। এসময় সংঘর্ষ হলে ৪১ জন ফিলিস্তিনি এবং একজন ইসরায়েলি সৈন্য আহত হয়।

উল্লেখ্য, ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ একজন মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে মিশর। যুদ্ধবিরতি নিয়ে কথা বলতে গত সপ্তাহে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেতের সঙ্গে বিরল এক সাক্ষাৎ করেন মিশরের গোয়েন্দা প্রধান আব্বাস কামেল। এ বিষয়ে আলোচনা করতে তিনি বেনেতকে মিশর সফরের আহ্বানও জানান।

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধের শর্তেই জিম্মিদের ফিরিয়ে দিবে হামাস
হামাসের অবস্থানগুলোতে হামলা চালাতে অগ্রসর হচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী
গাজায় এক কবর থেকেই উঠে আসছে শত শত লাশ
ইসরাইলি গণহত্যাকে সুরক্ষা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র : হামাস
X
Fresh