পালাতে চাওয়া ৫০০০ আফগানকে ১০ দিন আশ্রয় দেবে আমিরাত

বাইডেন সরকারের অনুরোধে আফগানিস্তান থেকে পালাতে ইচ্ছুক পাঁচ হাজার আফগানকে ১০ দিনের জন্য আশ্রয় দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। তারপর তাদের সেখান থেকে তৃতীয় কোনো দেশে বসবাসের জন্য পাঠানো হবে।

আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে শুক্রবার (২০ আগস্ট) এ তথ্য জানানো হয়েছে। আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে আসার পর থেকেই নানা শঙ্কায় দেশটি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে অনেক বাসিন্দা। আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ডব্লিউএএমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সামনের দিনগুলোয় কাবুল থেকে মার্কিন উড়োজাহাজে করে পাঁচ হাজার আফগানকে আরব আমিরাতে নেয়া হবে। দেশটি এখন পর্যন্ত তাদের উড়োজাহাজ ও বিমানবন্দর ব্যবহার করে ৮ হাজার ৫০০ মানুষকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নিতে সহায়তা করেছে।

এর আগে চলতি মাসের ৩১ তারিখের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা ও নাগরিককে ধাপে ধাপে প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। সরিয়ে নেয়ার কথা ছিল দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা করা আফগানদেরও। তবে তার আগেই ১৫ আগস্ট দেশটি তালেবানের দখলে চলে যায়। এ কারণে সেখান থেকে লোকজনকে স্থানান্তরপ্রক্রিয়া জোরদার করা হয়।

জানা গেছে, যাদেরকে স্থানান্তর করা হবে তাদেরকে সাময়িকভাবে মার্কিন ঘাঁটিতে রাখা হচ্ছিল। তবে ওই ঘাঁটির ধারণক্ষমতা পূর্ণ হয়ে যায়। এরপরই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেশত্যাগ করতে চাওয়া আফগানদের সাময়িক আশ্রয় দেয়ার জন্য ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

বিষয়টি নিয়ে কাতারের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, তারা আফগানিস্তান থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিতে সহায়তা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভবিষ্যতে আরও আফগানকে নিরাপদে নিতে উড়োজাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে এ কাজে সহায়তায় এগিয়ে এসেছে বাহরাইনও।

শুক্রবার বাহরাইনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেয়া লোকজনকে বহনকারী উড়োজাহাজগুলোকে দেশটিতে থামতে দেবে তারা।

এর আগে গত সপ্তাহে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের পতন ঘটে। আফগানিস্তানের ক্ষমতায় তালেবান আসার পর দেশটিতে চরম মানবিক বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকশ করতে শুরু করেন বিশেষজ্ঞরা। নানান শঙ্কায় হাজারো নাগরিক কাবুল বিমানবন্দরে ভিড় করে। তারা আফগানিস্তান ছাড়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। সূত্র : রয়টার্স •

টিএস/পি