• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সপ্তাহ পার না হতেই তালেবানের হাতছাড়া গুরুত্বপূর্ণ তিন জেলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ২১ আগস্ট ২০২১, ১৯:৫৯
সপ্তাহ পার না হতেই তালেবানের হাতছাড়া গুরুত্বপূর্ণ তিন জেলা
সংগৃহীত ছবি

তালেবানরা কাবুল দখলের সপ্তাহ পার না হতেই আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ বাগলানের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি জেলার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবানবিরোধীরা। শুক্রবার তাদের হামলায় বানো, দেহ সালেহ ও পুল-ই-হিসার তালেবানের হাতছাড়া হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট।

বিরোধীদের দাবি, হামলায় তালেবানের ৩০ সদস্য নিহত হয়েছে। ২০ তালেবান যোদ্ধাকে আটক করার দাবিও করেছে তারা। এর আগে গত কয়েকদিন আফগানিস্তানের বিভিন্ন শহরে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের পতাকা হাতে তালেবানবিরোধী বিক্ষোভ দেখা গেছে। কোথাও কোথাও বিক্ষোভকারীরা তালেবানের পতাকাও ছিড়ে ফেলেছে।

শুক্রবার তালেবানদের হাত থেকে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর জেলা তিনটির সরকারি ভবনগুলোতে তালেবানের সাদা রঙের পতাকা সরিয়ে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের তিন রঙা পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হয়। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ছবিতে সরকারি ভবনগুলোতে লাল, সবুজ ও কালো রঙের পতাকা লাগানোর সময় উপস্থিতদের উল্লাস করতে দেখা গেছে।

শুক্রবার তালেবান যোদ্ধাদের ওপর হামলায় অংশ নেয়া সাদেকুল্লাহ সুজা বলেছেন, তালেবান যোদ্ধাদের সাঁজোয়া যান ছিল, কিন্তু মানুষজন তাদের দিকে সমানে পাথর ছুড়ে মেরেছে, তাদের ভাগিয়ে দিয়েছে। একসময় আফগান বাহিনীতে থাকা ২৮ বছর বয়সী এ যুবক দীপ্ত কণ্ঠে বলেন, যতক্ষণ জীবিত আছি, ততক্ষণ তালেবান শাসন মেনে নেবো না আমরা।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট লিখেছে, তালেবান বাহিনী এখন আগের তুলনায় অনেক শক্তিশালী। তাদের সামরিক দক্ষতা ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত যে ৫ বছর তারা ক্ষমতায় ছিল, এখন তার চেয়েও অনেকগুণ বেশি। চলতি মাসে মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে তারা কাবুলসহ আফগানিস্তানের অধিকাংশ প্রাদেশিক রাজধানী দখল করে নেয়।

কাবুল দখলেরও পর আফগান সেনা ও পুলিশ সদস্যদের অস্ত্রাগার এখন তালেবানের দখলে; সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের বানানো বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র ও সাঁজোয়া যানও আছে। বাগলানের ঘটনা নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তালেবান কর্মকর্তাদের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তালেবানপন্থী একটি অ্যাকউন্ট থেকে করা টুইটে হামলায় ১৫ তালেবান যোদ্ধা নিহত ও আরও ১৫ জন আহত বলে জানানো হয়েছে।

ওই টুইটে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, স্থানীয়দের ক্ষমা করে দেয়ার পরও এমন হামলাকে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ বলেও অভিহিত করেছে তালেবানরা। যারা এই অপরাধ করেছে তাদের অবশ্যই হত্যা করা উচিত এবং তাদের সঙ্গে আর কোনো আলোচনায় বসা হবে না। সূত্র : ওয়াশিংটন পোস্ট

টিএস/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh