বিনোদন কেন্দ্র করে সৌদির বাড়তি আয়ের পরিকল্পনা
সৌদি আরবের ভেতরে বিনোদন এবং অবকাশ যাপনের শিল্প গড়ে তুলে ২২ বিলিয়ন ডলার আয় করার কথা ভাবছে সৌদি প্রশাসন।
ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, দেশের ভেতরে বিনোদন এবং অবকাশ যাপনের শিল্প গড়ে তুলতে হবে। এটি গড়ে তুলতে পারলে প্রতি বছর ২২ বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব।
আল আরাবিয়া টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে সাক্ষাতকারে সৌদি আরবের ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স ভবিষ্যতে দেশটির অর্থনৈতিক পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।
মোহাম্মদ বিন সালমানকে সৌদি আরবের অর্থনৈতিক সংস্কারের মূল শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সালমান বলেন, দেশের ভেতরে অবকাশ যাপনের এবং বিনোদনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় সৌদি আরবের নাগরিকরা বিদেশে গিয়ে প্রতি বছর ২২ বিলিয়ন ডলার খরচ করে।
এ অর্থ দেশের ভেতরে রাখতে পারলে তেল বিক্রির উপর নির্ভরশীলতা কমে আসবে বলে তিনি মনে করেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্ববাজারে তেলের দাম ব্যাপকভাবে কমে গেছে এবং শিগগিরই এ দাম খুব একটা বাড়বে বলে মনে হচ্ছে না।
তাছাড়া ইরানের উপর অর্থনৈতিক অবরোধ তুলে নেবার পর দেশটিও এখন তেলের বাজারে এসেছে। ফলে বিশ্ববাজারে তেলের যোগান আরো বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সালমান বলেছেন, তেলের যাই হোক না কেন সৌদি আরবের অর্থনৈতিক সংস্কারের দিকে যেতেই হবে।
তিনি বলেন, তেলের দামের সঙ্গে অর্থনৈতিক ভিশনের কোন সম্পর্ক নেই। তেলের দাম যদি বাড়ে তাহলে সেটি আমাদের জন্য ভালো হবে। তেলের দাম যদি কম থাকে সে বিষয়টিকে মাথায় রেখে আমাদের অর্থনৈতিক ভিশনের মূল লক্ষ্য পরিচালিত হচ্ছে।
সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, ২০২০ সালে যদি তেল বন্ধ হয়ে যায়, তাহলেও সৌদি আরব চলতে পারবে। সালমান বলেন, অর্থনৈতিক দিক থেকে বর্তমানে সৌদি আরবের মানুষের জীবনযাত্রা পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত জীবনের মধ্যে অন্যতম।
তিনি মনে করেন, জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য বিনোদন এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইসলামিক জাদুঘর গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষের। এ জাদুঘর যাতে ইউনেস্কো দ্বারা স্বীকৃত হয় সে বিষয়টিও নিশ্চিত করবে তারা।
সালমান বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক দেশে একটি ইসলামিক জাদুঘর নেই। এটা কীভাবে সম্ভব? যখন কোন অমুসলিম সৌদি আরবে আসেন তখন সে ইসলাম সম্পর্কে কিছুই জানতে পারে না । কারণ সে কোন জায়গা খুঁজে পায় না, যেখানে গিয়ে ইসলাম সম্পর্কে জানতে পারে।
তিন জানান, সৌদি আরব সরকার বর্তমানে দু'ভাবে তাদের আয় বাড়ানোর চেষ্টা করছে। একটি হচ্ছে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং অপরটি হচ্ছে তেল বিক্রির বাইরে অন্য খাত থেকে আয় করা।
সৌদি আরব সরকার 'গ্রিন কার্ড' ব্যবস্থা চালু করার বিষয়টি ভাবছে বলে জানান ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স।
এপি/ এমকে
মন্তব্য করুন