• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

২৭ অক্টোবর নির্বাচন হলে আমিই হতাম প্রেসিডেন্ট

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ০৩ মে ২০১৭, ১৩:৪২

২৭ অক্টোবর নির্বাচন হলে আমিই হতাম তোমাদের প্রেসিডেন্ট। মঙ্গলবার সিএনএনের সঙ্গে সাক্ষাতকারে এমনটা বললেন হিলারি ক্লিনটন। শুধু তাই নয়, নির্বাচনে হারার কারণ হিসেবে রাশিয়া এবং উইকিলিক্সকে দায়ী করেছেন তিনি। ‘ওমেন ফর ওমেন ইন্টারন্যাশনাল’এর ইভেন্টের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত এ সাক্ষাতকারে তিনি বিশ্বখ্যাত সাংবাদিক ক্রিস্টিনা আমানপোরের মুখোমুখি হয়েছিলেন। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে অনুষ্ঠানটির সরাসরি সম্প্রচার হয়।

হিলারি ক্লিনটন বলেন, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরাজয়ের দায় একান্ত তার। তবে তিনি পরাজয়ের জন্য নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ, কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর (এফবিআই) পরিচালক জেমস কোমির কাছের চিঠি ও নারীবিদ্বেষকেও দায়ী করেন। ২৭ অক্টোবরের কথা তিনি উল্লেখ করেন কারণ জেমস কোমির ২৮ অক্টোবর প্রকাশ পায়। যার কারণে হিলারির জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করেছিলো।

হিলারি আরো বলেন, ‘আমি প্রার্থী ছিলাম, আমি ব্যালটে ছিলাম। প্রতিবন্ধকতা, নানা সমস্যা, ঘাটতির ব্যাপারে আমি ওয়াকিবহাল ছিলাম। ভালো প্রচারাভিযানের কোনো বিষয় ছিল না। এ রকম বিষয় নেই। তবে জেমস কোমির চিঠি, রাশিয়ার উইকিলিকস ফাঁস- এগুলোর মিলিত ফলে মানুষের মনে সন্দেহ তৈরি হয়, যারা আমাকেই ভোট দেয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল। এর আগ পর্যন্ত আমি জয়ের পথেই ছিলাম। ’

সাক্ষাতকারে সম্প্রতি সিরিয়ায় যে মার্কিন মিসাইল হামলা চালানো হয়েছিল এর প্রতি তার সমর্থন রয়েছে বলে জানান।

সিরিয়ায় আক্রমণ প্রসঙ্গে হিলারি বলেন, আমি এ আক্রমণকে সমর্থন করেছিলাম, জনসমক্ষে না করলেও ব্যক্তিগতভাবে করেছিলাম।

নির্বাচনে হারার প্রসঙ্গ এলে তিনি প্রথমেই এফবিআই প্রধান জেমস কোমির নামটি উচ্চারণ করেন এবং একটু ইতস্তত ভঙ্গিতে পরক্ষণেই তিনি রাশিয়া এবং উইকিলিক্সের কথা বলেন।

তিনি বলেন, রাশিয়া এবং উইকিলিক্স আসলে শেষ মুহূর্তে ভোটারদের মধ্যে ভয় সঞ্চারিত করেছিল।

নির্বাচন নিয়ে একটি বইও লিখছেন বলে জানান হিলারি। এসময় মজা করে বলেন, ‘নির্বাচনের উপর বই লেখা আসলে খুব কষ্টের।’ নির্বাচনী প্রচারণার বিষয়ে বলেন, ‘প্রচারণা আসলে নিখুঁত ছিল না, তবে আমি গর্বিত।’

সাক্ষাতকারে উত্তর কোরিয়া প্রসঙ্গও আসে। হিলারিকে সাম্প্রতিক উত্তেজনা এবং সমঝোতা প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, উত্তর কোরিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগ করা যুক্তরাষ্ট্রের একা সম্ভব নয়। এজন্য অন্যান্য দেশের সহযোগিতা প্রয়োজন।

কিম জং উনের পূর্বসূরীদের নাম উচ্চারণ করে তিনি বলেন, দেশটির ঔদ্ধত্যের ইতিহাস পুরনো। তাদের সঙ্গে এর আগেও বেশ কয়েকবার সমঝোতার চেষ্টা হয়েছে।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিষয়বস্তুকে কেন্দ্র করে তিনি বলেন, ‘নারী এবং শিশুদের ওপর আঘাত এলে তা সবার ওপরই আঘাত।’

এপি/জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh