কিউবায় সামরিক বিমান বিধ্বস্তে নিহত ৮
কিউবার পশ্চিমাঞ্চলীয় পার্বত্য এলাকায় একটি সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়ে আটজন নিহত হয়েছেন।
সেনাবাহিনী বিবৃতিতে জানিয়েছে, দু’ইঞ্জিন বিশিষ্ট অ্যান্টোনোভ এএন-২৬ নামের বিমানটি আর্টেমিসা প্রদেশে বিধ্বস্ত হয়।
কিউবার রাজধানী হাভানার বাইরে প্লেয়া বারাসোয়া থেকে বিমানটি উড়ে যায়। বিধ্বস্তের কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে একটি তদন্ত শুরু হয়েছে। হাভানা থেকে প্রায় ৮০কিলোমিটার পশ্চিমে লোমা ডে লা পিমিয়েন্তা পর্বতে দুর্ঘটনাটি ঘটে। সশস্ত্র বাহিনী মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে জানায়, ‘এ দুর্ঘটনায় ক্রুসহ ৮ সামরিক সদস্য নিহত হয়েছেন।
এপি/জেএইচ
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ঘুরে ভারতে যেয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার স্প্যানিশ নারী
স্বামীর সঙ্গে বাইকে করে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ঘুরে ভারতে যেয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক স্প্যানিশ নারী।
শনিবার (২ মার্চ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যে এ ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ওই স্প্যানিশ নারী স্বামীর সঙ্গে বাইকে করে এশিয়া ভ্রমণে বের হয়েছিলেন। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ঘুরে ভারতে গিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি। সাত ধর্ষকের মধ্যে শনিবার তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। শুক্রবার (১ মার্চ) বাইকে করে দুমকা হয়ে বিহারের ভাগলপুরের দিকে যাচ্ছিলেন ওই ভুক্তভোগী দম্পতি। পথে হান্সদিহা এলাকায় তাঁবুতে রাত কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন। আর সেখানেই ঘটে এ ঘটনা। এ সময় ওই স্প্যানিশ দম্পতিকে নির্যাতনও করা হয়েছে।
এ বিষয়ে দুমকার পুলিশ সুপার পিতাম্বর সিং খায়েরওয়ার বলেন, বাইকার ওই দম্পতি পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসার পর ঝাড়খণ্ডের অঞ্চল দিয়ে নেপালের দিকে যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় দুমকার কুঞ্জি গ্রামে একটি অস্থায়ী তাঁবু স্থাপন করে তারা কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন। সেখানেই ঘটনাটি ঘটে। রাতে টহল পুলিশ ওই দম্পতিকে সড়কের ওপর থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে।
তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগী নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। অধিকতর তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদেরও নিয়োগ করা হয়েছে। শুক্রবার রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিল পুলিশ। মামলার তদন্ত চলছে এবং আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ওই নারী বর্তমানে সরিয়াহাট কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
দাম্পত্য কলহ বাড়াচ্ছে ‘প্রেমের বিয়ে’
প্রেম করে বিয়ে করলে দাম্পত্য কলহের আশঙ্কা বেশি থাকে। অনেক ক্ষেত্রে তা বিবাহবিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়ায়, এমনটিই মন্তব্য করেছেন ভারতের এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এ কারণে হিন্দু বিবাহ আইন সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেছেন ভারতের আদালত।
রোববার (৩ মার্চ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এ সংবাদ জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমে জানা যায়, গতকাল শনিবার এক যুবকের বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করার সময় এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক কুমার বিড়লা এবং বিচারপতি দোনাদি রমেশের ডিভিশন বেঞ্চ এসব মন্তব্য করেছেন। এ সময় তারা হিন্দু বিবাহ আইন সংশোধন করার জন্য সরকারকে অনুরোধও করেন।
শুনানির সময় এই বেঞ্চ আরও বলেন, ১৯৫৫ সালে হিন্দু বিবাহ আইন প্রণয়ন করার সময় ভারতীয় সমাজের বৈবাহিক অবস্থা যেমন ছিল, এখন তা নেই। সেই আবেগ, অনুভূতি ও শ্রদ্ধাবোধের পরিবর্তন হয়েছে। এখন প্রেমের বিয়ে অনেক সহজ হয়েছে, আগে যা ছিল না। সমাজ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি মুক্ত ও স্বাধীন হয়েছে। সুতরাং সময়ের সঙ্গে আইন সংস্কার হওয়া প্রয়োজন।
তবে প্রেমের বিয়ের কারণে ভারতীয় সমাজে দাম্পত্য কলহ আগের তুলনায় বেড়েছে বলেও পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন বিচারপতি বিবেক কুমার বিড়লা এবং বিচারপতি দোনাদি রমেশের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতিদের এই বেঞ্চ বলেন, প্রেমের মাধ্যমে যেসব বিয়ে হচ্ছে, সেসব বৈবাহিক সম্পর্ক একটা পর্যায়ে গিয়ে শিথিল হয়ে পড়ছে, নানা ধরনের বিবাদ তৈরি হচ্ছে এবং শেষে তারা আলাদা থাকতে শুরু করছে।
আদালতের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, বিয়ের এই বদলকে প্রভাবিত করেছে শিক্ষা, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, জাতপাতের বাঁধ ভাঙা, আধুনিকতা এবং পশ্চিমা সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ। সমাজ এখন আরও বেশি উদার, স্বাধীন হয়ে উঠেছে। যে কারণে বিয়েতে আর আগের মতো আবেগের প্রয়োজন হয় না। এ ধরনের কিছু বিষয় বর্তমানে দাম্পত্য জীবনকে প্রভাবিত করছে। তাই বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আইনে বদল আনা প্রয়োজন।
বাংলাদেশিকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা এফবিআইয়ের
যুক্তরাষ্ট্রে রুহেল চৌধুরী নামে এক বাংলাদেশিকে ধরিয়ে দিতে ২০ হাজার ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)। তার বিরুদ্ধে নিউইয়র্কে দুজনকে অপহরণ, নির্যাতন এবং মুক্তিপণের জন্য হুমকি দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করেছে এফবিআই। পরে বিষয়টি নিয়ে নিউইয়র্ক ডেইলি নিউজের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর কুইন্সের রাস্তা থেকে দুজনকে অপহরণের ঘটনায় জড়িত সাতজন সন্দেহভাজনের মধ্যে ৩৪ বছর বয়সী রুহেল চৌধুরী হলেন শেষ ব্যক্তি। তাকে ধরিয়ে দিতে গত ১ মার্চ এফবিআই একটি পোস্টারও প্রকাশ করে।
ফেডারেল প্রসিকিউটরদের অভিযোগ, গত বছরের ২৭ মার্চ জ্যামাইকার হিলসাইড এভিনিউয়ের কাছে ১৮১তম সেন্ট থেকে অপহরণকারীরা এক ব্যক্তিকে একটি হোন্ডা এসইউভিতে জোর করে তুলে নেন। পরে গাড়ির ভেতরেই তাকে মারধর করা হয়। পরে অপহরকারী দলটির সঙ্গে থাকা রুহেল চৌধুরী সারারাত ভিকটিমকে মারধর করার পাশাপাশি হুমকিও দেন।
এ ঘটনায় অপহরকারী চক্রের সদস্য আবু চৌধুরী এবং তার স্ত্রী ইফফাত লুবনাসহ আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে রুহেল চৌধুরী এখনও অধরা রয়ে গেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আরও বেশকয়েকটি অপহরণ, অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি এবং নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।
এফবিআইয়ের নোটিশে রুহেল চৌধুরীকে বাংলাদেশের বাসিন্দা বলে উল্লেখ করে কুইন্সের হলিস, কুইন্স ভিলেজ এবং জ্যামাইকা এলাকায় তার যাতায়াত রয়েছে বলে জানানো হয়। তার উচ্চতা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি, ওজন ১৫০ পাউন্ড এবং চোখের রঙ বাদামী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কেউ তাকে দেখলে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় এফবিআই অফিস বা নিকটস্থ আমেরিকান দূতাবাস বা কনস্যুলেটে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
মেক্সিকোতে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে বাসের সব যাত্রী নিহত
মেক্সিকোতে একটি পণ্যবাহী ট্রাকের সঙ্গে যাত্রীবাহী মিনিবাসের ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বাসটিতে থাকা ৯ জনের সবাই মারা গেছেন।
স্থানীয় সময় সোমবার (৪ মার্চ) দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত কুইন্টানা রু রাজ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এএফপি ও আনাদুলু এজেন্সির তথ্যমতে, নিহত ৯ জনের মধ্যে তিনজনই শিশু। দুর্ঘটনায় আরও ৬ জন আহত হয়েছে। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশটির একটি হাইওয়েতে দুর্ঘটনায় আর্জেন্টিনার পাঁচ পর্যটক এবং একজন মেক্সিকান নাগরিক মারা যান। এরপর একই মাসের ২৪ তারিখ সান লুইস পোটোসি রাজ্যে আরেকটি দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত হয়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সাল থেকেই মেক্সিকোতে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে। ২০২২ সালে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ২৩১টি দুর্ঘটনা রেকর্ড হয়েছে।
শরীরটা পুরুষের, হাত দুটো শুধু নারীর
পেশায় ছিলেন চিত্রশিল্পী, রঙ-তুলিই ছিল তার জীবন। ছবি এঁকেই উপার্জন করতেন অর্থ। আর সেই দুই হাতই ট্রেন দুর্ঘটনায় কাটা পড়ে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল জীবন। আয়-রোজগার নেই, সংসারও চালাতে হয় বহু কষ্টে।
আর এমন অবস্থাতেই এক নারীর দান করা দুটি হাত জোড়া লাগল ওই ব্যক্তির কাটা পড়া হাতের সঙ্গে। মূলত ব্রেথ ডেড এক নারীর দান করা হাতই জোড়া লেগেছে ৪৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির শরীরে।
১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অপারেশন চলার পর দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের চিকিৎসকদের দক্ষতায় নতুন এই দুই হাত পেলেন ওই চিত্রশিল্পী। বুধবার (৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রেন দুর্ঘটনায় দুই হাত হারিয়ে আর কোনওদিন রঙ-তুলি ধরতে পারবেন না ভেবেই অবসাদে চলে যাচ্ছিলেন ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। কিন্তু জীবন তাকে নতুন সুযোগ দিলো। চিকিৎসকদের দক্ষতায় নতুন দুই হাত পেয়েছেন তিনি। আর এতে করে আবারও তিনি ধরতে পারবেন রঙ-তুলি।
সংবাদমাধ্যম বলছে, দিল্লিতে এই প্রথম হাত প্রতিস্থাপনের অপারেশন হলো। দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে ব্রেন-ডেথ রোগীর দুই হাত নিয়ে তা সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয় ওই চিত্রশিল্পীর কেটে বাদ দেওয়া দুই হাতের জায়গায়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দাতার থেকে নেওয়া হাতের শিরা-ধমনী, হাড়-মজ্জা-মাংস সব নিখুঁতভাবে জোড়া লেগেছে গ্রহীতার হাতের সঙ্গে। দাতার থেকে নেওয়া হাত চিত্রশিল্পীর শরীরে মিলেও গেছে। নতুন দুই হাত দিয়ে এখন সব কাজই করতে পারবেন এই শিল্পী।
এর আগে ২০২০ সালে ট্রেন দুর্ঘটনায় দুই হাত হারিয়েছিলেন ওই চিত্রশিল্পী। তিনি বলছেন, দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে হাত প্রতিস্থাপন সম্ভব বলে জানিয়েছিলেন। শুধু দাতার খোঁজ করতে হবে। সে সুযোগও এসে যায়। মীনা মেহতা নামে ব্রেন-ডেথ এক রোগীর দুই হাত নিয়েই প্রতিস্থাপন করার পরিকল্পনা করেন চিকিৎসকরা।
দক্ষিণ দিল্লির একটি স্কুলের প্রশাসনিক প্রধান ছিলেন মীনা। তিনি লিখিতভাবেই তার অঙ্গ প্রতিস্থাপনের অনুমতি দিয়ে গিয়েছিলেন। এরপরই মীনার লিভার, কিডনি, হার্ট নেওয়ার পাশাপাশি দুই হাতও প্রতিস্থাপন করার কথা ভাবেন ডাক্তাররা। ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা অপারেশনে নিখুঁতভাবে মীনার দুই হাত চিত্রশিল্পীর কাটা হাতের জায়গায় জুড়ে দেওয়া হয়।
চিকিৎসকরা বলছেন, লিভার, কিডনি প্রতিস্থাপনের মতোই হাত প্রতিস্থাপনও খুবই জটিল প্রক্রিয়া। দাতার হাত গ্রহীতার শরীর গ্রহণ করবে কিনা সেটাই আসল ব্যাপার। অনেক সময় দেখা যায়, হাড়-মাংস বা ধমনী জুড়লেও শরীরে সেই হাত ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না বা নতুন বসানো হাতে রক্ত সরবরাহ হচ্ছে না। তখন বিপদ বাড়তে পারে।
মূলত এই ধরনের অপারেশনের ক্ষেত্রে শিরা, ধমনী, স্নায়ু ও টেন্ডন (শক্ত ও মোটা তন্তু) সব ঠিকঠাক ভাবে জুড়তে হয়। প্লাস্টিক সার্জারি, অর্থোপেডিক, নেফ্রোলজি-সহ অনেকগুলো বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দরকার হয়।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই প্রতিস্থাপনের পরবর্তী অধ্যায়ও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ গ্রহীতার শরীর কতটা সেই অঙ্গ গ্রহণ করবে, সে দিকে খুব সতর্ক ভাবে নজর রাখতে হয়। শরীর যাতে ওই অঙ্গকে প্রত্যাখ্যান না করে, সে জন্য গ্রহীতাকে সারা বছর ইমিউনো থেরাপি নিতে হবে যেন তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
৪৫ বছর বয়সী ওই চিত্রশিল্পীকে আগামীকাল স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
সূত্র : এনডিটিভি
মসজিদে ইফতার নিষিদ্ধ করল সৌদি
পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার আগেই মসজিদে ইফতারি খাওয়া নিষিদ্ধ করেছে সৌদি আরব।
গত সপ্তাহে দেশটির সরকার এ ঘোষণা দেয়। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ আরব এ খবর জানিয়েছে।
সৌদি আরবের ইসলামবিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি নোটিশ জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, ‘ইফতারি পণ্য নিয়ে মসজিদে যাওয়া যাবে না। মসজিদের পরিচ্ছন্নতার কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের ইফতারির জন্য মসজিদের উন্মুক্ত স্থানে একটি যথাযথ জায়গা খুঁজে বের করতে হবে। তবে অস্থায়ী কোনো রুম বা তাঁবু স্থাপন করা যাবে না। সেই সঙ্গে ইফতারি ক্রয়ের জন্য ইমাম ও মুয়াজ্জিনরা যেন কোনো অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে না।
নোটিশে বলা হয়েছে, মসজিদের ভেতর কোনো ধরনের ক্যামেরা ব্যবহার বা ছবি না তোলার জন্যও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে মসজিদের ভেতর ক্যামেরা স্থাপন করে তা সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রাচ্যে আগামী ১০ মার্চ রাতে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
সৌদি আরবে রোজা কবে, জানা যাবে আজ
সৌদি আরবে যদি আজ পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায় তাহলে আগামীকাল সোমবার থেকেই দেশটিতে রমজান শুরু হবে। আর যদি চাঁদ দেখা না যায় তাহলে আগামী মঙ্গলবার শুরু হবে প্রথম রোজা।
রোববার (১০ মার্চ) দেশটির চাঁদ দেখা কমিটি বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
সৌদি আরবের সুপ্রিম কোর্ট পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখতে মুসল্লিদের আহ্বান জানিয়েছে। গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, মুসল্লিরা খালি চোখ এবং দূরবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখার চেষ্টা করবেন। যদি কেউ চাঁদ দেখতে পান তাহলে নিকটস্থ কোর্টের কাছে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সৌদির উম্ম আল কুরা ক্যালেন্ডার অনুসারে, দেশটিতে রোববার শেষ হচ্ছে শাবান মাসের ২৯ তারিখ। তাই সৌদির বাসিন্দাদের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ অনুরোধ করেছে যে, কেউ খালি চোখে বা দূরবীনের সাহায্যে যদি চাঁদ দেখতে পান তবে সঙ্গে সঙ্গে তাদের কাছে সে খবর পৌঁছে দিতে।
এদিকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার আগেই মসজিদে ইফতারি খাওয়া নিষিদ্ধ করে সৌদি আরব।
দেশটির ইসলামবিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি নোটিশ জারি করেছে। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ আরব এ খবর জানায়।
এতে বলা হয়, ইফতারি পণ্য নিয়ে মসজিদে যাওয়া যাবে না। মসজিদের পরিচ্ছন্নতার কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের ইফতারির জন্য মসজিদের উন্মুক্ত স্থানে একটি যথাযথ জায়গা খুঁজে বের করতে হবে। তবে অস্থায়ী কোনো রুম বা তাঁবু স্থাপন করা যাবে না। সেই সঙ্গে ইফতারি ক্রয়ের জন্য ইমাম ও মুয়াজ্জিনরা যেন কোনো অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে না।
মসজিদের ভেতর কোনো ধরনের ক্যামেরা ব্যবহার বা ছবি না তোলা যাবে না। সেইসঙ্গে মসজিদের ভেতর ক্যামেরা স্থাপন করে তা সরাসরি সম্প্রচার না করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।