• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ইরানি বিমানে কেন মিসাইল মেরে ২৯০ জনের প্রাণ নেয় যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ০৩ জুলাই ২০২১, ১৮:০৪
ইরানি বিমানে কেন মিসাইল মেরে ২৯০ জনের প্রাণ নেয় আমেরিকা
প্রতীকী ছবি

আজ থেকে ৩৩ বছর আগে ১৯৮৮ সালের এইদিনে মার্কিন নৌবাহিনী ইরানের একটি যাত্রীবাহী বিমান ধ্বংস করে। পারস্য উপসাগরে ইরান উপকূলের সমুদ্রসীমায় ঢুকে ‘ভিনসেন্স’ নামের একটি মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ ওই সন্ত্রাসী হামলা চালায়।

হামলায় বিমানটির ২৯০ জন আরোহীর সবাই প্রাণ হারান। বিমানটিতে ছিল ৬৬টি শিশু ও ৫৩ জন মহিলা। বিদেশি নাগরিক ছিল ৪৬ জন। পশ্চিমা মদদে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে তখন পরাজিত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে ছিল সাদ্দাম বাহিনী। সাদ্দাম বাহিনীকে রক্ষা করতেই ইরানি ওই যাত্রীবাহী বিমানটি ভূপাতিত করা হয়।

ওই দিন ইরানের বন্দরনগরী ‘বন্দর আব্বাস’ থেকে ইরান এয়ারের ৬৫৫ নম্বর ফ্লাইটের মাধ্যমে মাত্র ৩০ মিনিটের এক নিয়মিত যাত্রায় দুবাই যাওয়ার জন্য ওই বিমানে আরোহণ করেন ২৯০ জন নিরপরাধ মানুষ। বিমানটি আকাশে ওড়ার কিছু সময় পরই মার্কিন ভিনসেন্সের ক্যাপ্টেন ইরানের ওই যাত্রীবাহী বিমানের ওপর মিসাইল ছোঁড়ার আদেশ দেন।

ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিমানটি আকাশেই বিধ্বস্ত হয়। ইরান এয়ারের বহু মূল্যবান এয়ার বাস এ-৩০০ বিমানটি যখন ধ্বংস হয় তখন তার ভেতরে অনেক নারীর কোলে ছিল তাদের মাসুম বাচ্চারা। বিশ্ববিবেক যুক্তরাষ্ট্রের এই অপরাধের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। অন্যদিকে মার্কিন নেতারা একটা দায়সারা গোছের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ভুলক্রমে ঘটনাটি ঘটেছে। যাত্রীবাহী বিমানটিকে ভুল করে ইরানের বিমান বাহিনীর এফ-১৪ জঙ্গিবিমান ভেবেছিল বলে দাবি করে মার্কিন কর্তৃপক্ষ।

অথচ অনেক পরে জানা যায়, মার্কিন যুদ্ধ জাহাজের যেই সেনাকে যাত্রীবাহী ইরানি বিমান টার্গেট করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়তে বলা হয়েছিল তিনি প্রথমে ওই অমানবিক নির্দেশ শুনে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন। কারণ, জাহাজের সবার কাছেই এটা স্পষ্ট ছিল যে, ইরানি বিমানটি ছিল একটি যাত্রীবাহী বিমান এবং তাই সে ওই নির্দেশ মানতে প্রথমে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। কিন্তু সামরিক আদালতে বিচারের হুমকি দিয়ে তার ওপর চাপ সৃষ্টি করে মিসাইল নিক্ষেপে বাধ্য করা হয়। সূত্র : পার্সটুডে

টিএস/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh