• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ডেভিলদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ দিলো ৬ হাজার পেঙ্গুইন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ২৪ জুন ২০২১, ১৮:৫০
ডেভিলদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ দিলো ৬ হাজার পেঙ্গুইন
তাসমানিয়ান ডেভিল - সংগৃহীত ছবি

পূর্ব তাসমানিয়ার মারিয়া আইল্যান্ডে এক প্রজাতির প্রাণিকে বাঁচাতে গিয়ে অন্য প্রজাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়ার বিলুপ্তপ্রায় তাসমানিয়ান ডেভিলকে বাঁচাতে ২৮টি ডেভিল ছেড়ে দেয়া হয় মারিয়া দ্বীপে।

চার বছরের মধ্যেই তাদের সংখ্যা বেড়ে হয় ১০০। আর সেই শিকারি ডেভিল-বাহিনীর দাপটে ১১৬ বর্গকিলোমিটারের দ্বীপ থেকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে ৩ হাজার জোড়া ‘ব্রিডিং’ পেঙ্গুইন!

ফেসিয়াল টিউমারের সংক্রমণ থেকে বাঁচাতেই তাসমানিয়ান ডেভিলের ঠাঁই হয়েছিল জনশূন্য এই দ্বীপে। এখানে গাড়ি চলার রাস্তা নেই, জনবসতি নেই- ফলে সংক্রমণ কোনও ভাবেই এখান অবধি পৌঁছবে না, এমনটাই ভেবেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তবে সংক্রমণ না ছড়ালেও দ্বীপের যা অবস্থা, তাতে জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে!

‘বার্ডলাইফ তাসমানিয়া’র কনভেনার এরিক ওয়েহেলারের মতে, পক্ষীকূলের জন্য এটা বড় ধাক্কা। তবে, এটা হওয়ারই ছিল। যতবারই মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে বা না বুঝে সমুদ্র তীরবর্তী দ্বীপে এমন স্তন্যপায়ীদের এনেছে, ততবারই এমন হয়েছে। দ্বীপের পক্ষীকূলের উপর বিপর্যয় নেমে এসেছে।

ওয়েহেলারের দাবি, মানুষের জনবসতি বেড়ে চলার কারণে অস্ট্রেলিয়ার পেঙ্গুইনরা এমনিতেই বিপন্ন। সেক্ষেত্রে মারিয়া দ্বীপ, ভিক্টোরিয়া দ্বীপের মতো নির্জন স্থান ওদের বাসস্থান ও বংশবৃদ্ধির জন্য আদর্শ। কিন্তু সেখানেও এখন বিপদের মুখে পড়েছে তারা।

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু পেঙ্গুইন নয়, দ্বীপের কাছে বাসা বানিয়ে থাকা সামুদ্রিক পাখিরাও তাসমানিয়ান ডেভিলের অত্যাচারে বিপন্ন। ওয়েহেলারের যুক্তি, বিড়াল বা ওই গোত্রীয় প্রাণীদের থেকে ডেভিল আকারে বড়, সেই সঙ্গে মাটি খোঁড়ায় পটু ওরা।

এই কারণেই ওরা মারিয়া আইল্যান্ডের পাখিদের জন্য ক্রমে বিপদের কারণ হয়ে উঠছে। মারিয়া দ্বীপের কেপ ব্যারেন হাঁসেরা সাধারণ মাটিতে বাসা বানায়, কিন্তু ওই দ্বীপে ডেভিল আসার পর থেকে টিকে থাকার তাড়নায় হাঁসেরও স্বভাব বদলাতে শুরু করেছে। ডেভিলদের আক্রমণ এড়াতে গাছে বাসা বানাচ্ছে তারা! আর এই ডেভিলদের অত্যাচারে এখন তাদেরকে অন্যত্র সরিয়ে ফেলার চিন্তাভাবনা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্র : সিএনএন।

টিএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh