মহাকাশে কাপড় কাচতে বিশেষ ওয়াশিং মেশিন বানাচ্ছে নাসা

লালগ্রহ মঙ্গলে প্রাণের হদিস খুঁজতে দিনের পর দিন মহাকাশে অবস্থান করতে হচ্ছে গবেষকদের। এভাবে দীর্ঘদিন মহাকাশে থাকার কারণে তাদের পরে থাকতে হয় ময়লা-বাসি জামাকাপড়।

তবে এবার মহাকাশেই জামাকাপড় কাচার উদ্যোগ নিয়েছে নাসা। মূলত রকেটে বা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে কাপড় কাচার কোনো সুযোগ থাকে না। তাই একটি পোশাকেই তাদের থাকতে হয় বহুদিন।

তাছাড়া প্রতিদিন মহাকাশচারীরা ব্যায়াম করেন। ফলে তাদের পোশাক খুব অল্প সময়েই পরার অযোগ্য হয়ে ওঠে। প্রতি সপ্তাহে তাদের নতুন পোশাকের প্রয়োজন হয়। এমনিতে রকেটের ভেতরে জায়গা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে এবং ‘স্পেস সেন্টারে’ পানি থাকে সীমিত। তাই জামা কাপড় কাচার কোনো জায়গা বা সুযোগ থাকে না।

কিন্তু সেই পরিস্থিতির পরিবর্তন চাইছে নাসা। স্পেস সেন্টার গড়ে তোলা সম্ভব না হলে চাঁদ বা মঙ্গল গ্রহে কাপড় কাচা সম্ভব কিনা, সেই বিষয়ে গবেষণা চালাচ্ছে নাসা। অন্যদিকে বেশ কিছু দেশ চাঁদ কিংবা মঙ্গলগ্রহে ঘাঁটি গড়ার পরিকল্পনাও করছে।

এর আগে নাসা বিশেষ ‘অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল’ পোশাকের চিন্তা করে; যদিও সেটা স্থায়ী কোনো সমাধান নয়। তাই প্রক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বল সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে একটি বিশেষ ধরনের ডিটারজেন্ট তৈরি করা হচ্ছে যা এই বছরের শেষ দিকে ‘পরীক্ষামূলকভাবে’ পাঠানো হবে মহাকাশ স্টেশনে। প্রায় ছয় মাস ভরহীনতার পর এই ডিটারজেন্টের এনজাইম ও অন্যান্য উপকরণগুলো কতটা কাজ করে, নজর রাখা হবে সেই দিকেও।

একইসঙ্গে তৈরি করা হচ্ছে মহাকাশে ব্যবহারযোগ্য ওয়াশিং মেশিন। বিশেষ ভাবে তৈরি এই ডিটারজেন্ট সেই ওয়াশিং মেশিনে খুব কম পানি দিয়ে ব্যবহার করা যাবে। মহাকাশে এটা ঠিকমতো ব্যবহার করা গেলে পৃথিবীর শুষ্ক অঞ্চলগুলোতেও তা বিশেষভাবে কার্যকর হবে বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা।

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

টিএস