সৎ মেয়েকে বছরের পর বছর ধ'র্ষণ, জোর করে বিয়ে, অতঃপর...
দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর ত্যক্তবিরক্ত হয়ে এক ব্যক্তিকে হত্যা করেন এক নারী। এ ঘটনায় ফ্রান্সে ওই নারীর বিচার শুরু হয়েছে। যে ব্যক্তিকে তিনি গুলি করে হত্যা করেছেন সে ব্যক্তি সম্পর্কে তার স্বামী হন। তবে স্বামী হওয়ার আগে ওই ব্যক্তি তার সৎ বাবা ছিলেন। খবর বিবিসির।
ভ্যালেরি বাকোট নামের ওই নারীকে ১২ বছর বয়স থেকে ধর্ষণ শুরু করে ড্যানিয়েল পোলেট। এ ঘটনায় তার কারাদণ্ডও হয়। পরে জেল খেটে আবারও ফিরে আসেন তিনি। শুরু হয় আবারও অত্যাচার। এরপর ভ্যালেরিকে জোর করে বিয়ে করেন ড্যানিয়েল। চার সন্তানের বাবাও হন তিনি।
কিন্তু এতদিন ধরে অত্যাচার সইতে সইতে অধৈর্য হয়ে পড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২০১৬ সালে তাকে গুলি করে হত্যা করেন ভ্যালেরি। তবে ভ্যালেরি পক্ষে জনসমর্থন গড়ে ওঠে। এ পর্যন্ত ৬ লাখের বেশি মানুষ তার মুক্তির দাবিতে একটি পিটিশনে সই করেছে।
ভ্যালেরি জানান, তাকে দিয়ে পতিতাবৃত্তি করাতে চেয়েছিলেন ড্যানিয়েল। তাই বাধ্য হয়ে তিনি তাকে হত্যা করেন। পরে তার দুই সন্তানের সাহায্যের ড্যানিয়েল লাশ লুকান ভ্যালেরি। তবে ২০১৭ সালের অক্টোবরে ভ্যালেরিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তিনি এই হত্যার কথা স্বীকার করেন।
ভ্যালেরির আইনজীবীরা জানিয়েছে, ২৫ বছর ধরে চরম সহিংসতার শিকার হয়েছেন তিনি। তার মেয়েও একই ধরনের আচরণের শিকার হতে পারেন, এই ভয়ে তিনি এই হত্যাকাণ্ড চালান।
উল্লেখ্য, এর আগেও এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সে। জ্যাকুলিন সভাজ নামের এক নারী তার নির্যাতনকারী স্বামীকে হত্যা করে কারাদণ্ড পান। পরে অবশ্য প্রেসিডেন্টে ক্ষমা পান তিনি।
এ
মন্তব্য করুন